বিষয়বস্তুতে চলুন

রবিন ঘোষ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রবিন ঘোষ
রবিন ঘোষ
জন্ম১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯
মৃত্যু১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬(2016-02-13) (বয়স ৭৬)
পেশাসঙ্গীত পরিচালক
কর্মজীবন১৯৬১-১৯৮৬
দাম্পত্য সঙ্গীশবনম
সন্তানরনি
পুরস্কারনিগার পুরস্কার

রবিন ঘোষ (১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯ - ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬) বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে উপমহাদেশে সুনাম কুড়িয়েছেন। বিখ্যাত গায়ক আহমেদ রুশদি তার সাফল্যের সাথে জড়িয়ে আছেন।

শৈশবকাল

[সম্পাদনা]

রবিন ঘোষের পিতা আন্তর্জাতিক রেডক্রসে চাকরি করতেন। চাকরি সূত্রেই তিনি ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ইরাকের বাগদাদে স্থানান্তরিত হন। সেখানেই রবিন ঘোষ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের একটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তার এক ভাই অশোক ঘোষ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে বিখ্যাত পরিচালক ছিলেন।

চলচ্চিত্র জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৬০-এর দশকে চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম রেডিও স্টেশন পরিদর্শনে আসেন। সেখানে তিনি রবিন ঘোষকে তার চলচ্চিত্রসমূহের গানে সুর দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। রাজধানীর বুকে নামীয় বাংলা চলচ্চিত্রের গানের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। এরপর থেকে তিনি অগণিত বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রের অনেক গানে সুরারোপ করেন। তন্মধ্যে - তালাস, পয়সা, চাকোরী এবং ভাইয়া অন্যতম।

তুম মেরে হো চলচ্চিত্রটি মুক্তিলাভের পর রবিন ঘোষ করাচীতে চলে যান। সেখানে তিনি চলচ্চিত্রের গানে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত একাধানে সুর করে যান। তিনি আয়না চলচ্চিত্রের গানগুলোয় সুরারোপ করেন। এ চলচ্চিত্রটি পরবর্তীতে পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম সফল চলচ্চিত্রের মর্যাদা পায়।[]

পারিবারিক জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৫০-এর দশকে রবিন ঘোষ এক বন্ধুর মাধ্যমে ঢাকা রেডিও স্টেশনে চাকরির জন্য প্রস্তাবনা পান। ঐ বন্ধুর বোন ঝর্ণা বসাক তখন বাংলা চলচ্চিত্রে মাঝে-মধ্যে অভিনয় করতেন। এ ঝর্ণা বসাকই পরবর্তীকালে বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনম হিসেবে পরিচিত পান।[] দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে ১৯৬৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর তাদের বিবাহকার্য সম্পন্ন হয়।[] ১৯৬৬ সালে এ দম্পতির রনি নামে এক সন্তান জন্মগ্রহণ করে।[] বর্তমানে তারা বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

নিগার পুরস্কার

[সম্পাদনা]

রবিন ঘোষ তালাশ (১৯৬৩), চকোরী (১৯৬৭), চাহাত (১৯৭৪), আয়না (১৯৭৭), আম্বার (১৯৭৮) এবং দরিয়ান (১৯৮৪) চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে নিগার পুরস্কার লাভ করেন।[][]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে তাকে গুলশানের কিউর মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করানো হয়।[] তিনি ব্রঙ্কাইটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। সেখানেই তিনি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "www.mazhar.dk"। ১৩ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  2. "নেট পাকিস্তানি.কমে শবনম"। ২৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  3. "দৈনিক জনকণ্ঠে শবনম"। ২০০৯-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১৩ 
  4. "বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম.বিডিতে শবনম" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "Nigar awards 1957-1971"। ৩ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  6. "Nigar awards 1972-1986"। ২৫ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  7. "আর নেই গানের কারিগর রবিন ঘোষ"বাংলা ট্রিবিউন। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ২ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৭ 
  8. "চলে গেলেন 'সাদা মনের মানুষ' রবিন ঘোষ"দৈনিক প্রথম আলো। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]