বিষয়বস্তুতে চলুন

মো. রিয়াজ উদ্দিন খান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মো. রিয়াজ উদ্দিন খান
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১ এপ্রিল ১৯৯৫
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1970-12-15) ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭০ (বয়স ৫৩)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাবিচারক

মো. রিয়াজ উদ্দিন খান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ একজন বিচারপতি।[১][২][৩]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

খান ১৯৭০ সালের ১৫ই ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।[৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৫ সালের ১ এপ্রিল খান জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।[৪] ১৯৯৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।[৪]

২০১১ সালের মে মাসে খান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হন।[৪]

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ৩১ মে খানকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেন।[৪]

২০১৯ সালের আগস্টে খান এবং বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বাংলাদেশ পুলিশ ফেনী জেলা চার সাংবাদিককে হয়রানি না করার বা ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে দায়ের করা ধ্বংসাত্মক কাজ ও ভাঙচুরের অভিযোগে চারটি পৃথক থানায় দায়ের করা নয়টি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দেন।[৫]

২০২০ সালের ৩০শে মে খানকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক করা হয়।[৬] ২০২০ সালের নভেম্বরে খান এবং বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ঢাকায় বাসে বন্দুক হামলার ১১টি মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ১২০ জন রাজনীতিককে আগাম জামিন দেন।[৭]

২০২১ সালের আগস্টে চাঁদরিমা উদ্দানে পুলিশকে আক্রমণ করার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় খান এবং বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি আমানউল্লাহ আমান এবং মিজানুর রহমান মিনু সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৭৪ জন রাজনীতিককে আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।[৮]গত ডিসেম্বরে খান ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ড. মুহাম্মদ ইউনুস নোবল লরেটের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।[৯]

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে খান এবং বিচারপতি মো. সেলিম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাজনীতিবিদ মির্জা আব্বাস এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মীদের এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের একটি মামলায় ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।[১০]বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সহিংসতার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ২৫ জন আইনজীবীকে আগাম জামিন দিয়েছেন খান ও বিচারপতি মো. সেলিম।[১১]

২০২৩ সালের জুলাই মাসে খানকে হাইকোর্টে পুরনো জামিনের আবেদনের শুনানি করার জন্য গঠিত একটি বিশেষ বেঞ্চে রাখা হয়।[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Foreign Minister Momen's cabinet position challenged in High Court"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  2. "'Of course, journalists will seek information': HC observes"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  3. "High Court to resume regular benches from Wednesday"Dhaka Tribune। ২০২০-০৮-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  4. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  5. "HC directs police not to harass 4 Feni journos"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  6. "18 High Court judges take oath"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৫-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  7. "Buses torched in Dhaka: 120 BNP men get anticipatory bail in 11 cases"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  8. "Violence, Sedition Cases: 74 BNP activists get anticipatory bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  9. "High Court stays case proceedings against Dr Yunus for 6 months"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  10. "Fakhrul, Abbas get six-month bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  11. "Violence at SCBA: 25 pro-BNP lawyers get anticipatory bail from HC"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৬ 
  12. "5 special HC benches to dispose of old bail petitions"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪