মো. আখতারুজ্জমান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মো. আখতারুজ্জমান (জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৬৬) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি। [১] তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা বিচারক ছিলেন। [২]

প্রথমিক জীবন[সম্পাদনা]

আখতারুজ্জমানের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি।[৩] তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পিএইচডি করেন।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আখতারুজ্জমান ১৯৯১ সালের ২৭ মে জেলা আদালতে তাঁর আইনি অনুশীলন শুরু করেন ।[৩]

১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল আখতারুজ্জমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিচার বিভাগে যোগদান করে এবং সহকারী বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হয়।[৩]

আখতারুজ্জমান ২০১৫ সালের ১৪ জুন জেলা ও দায়রা জজ পদে উন্নীত হন ।[৩] তিনি ঢাকার বিশেষ জজ কোর্ট - ৫ - এর বিচারক ছিলেন ।[৪]

২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আখতারুজ্জমান।[৫][৬]

২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে আখতারুজ্জমান হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হয়।[৩][৭]

আখতারুজ্জমানকে ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক করা হয়।[৮]

২০২২ সালের ১৪ জুলাই আখতারুজ্জমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপিল করার পর দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক প্রাক্তন কর্মকর্তাকে জামিন প্রদান করেন। [৯] বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায়ের সমালোচনা করে বলেছে যে কেবল দোষীদের বয়স বিবেচনা করে জামিন দেওয়া উচিত নয়।[৯] হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আখতারুজ্জমান ও বিচারপতি জাফর আহমেদ ৪ আগস্ট ২০২২ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্য সামিয়া রহমানকে সাহিত্যচৌর্যের জন্য পদচ্যুত করার আদেশ বাতিল করেন।[১০] ১৮ অক্টোবর আখতারুজ্জমান ও বিচারপতি জাফর আহমেদ বাংলাদেশ সরকারকে নির্দেশ দেন যে , কেন মানারাত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের পুনর্গঠনকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।[১১] গত নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে অন্য এক শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার জন্য সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন বিচারপতি আখতারুজ্জমান ও বিচারপতি জাফর আহমেদ।[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Newly appointed nine permanent judges sworn-in"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  2. Correspondent, Court (২০১৮-০৯-২১)। "Trial can go on without Khaleda's presence"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  3. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  4. Correspondent, Court (২০১৬-১০-০৫)। "Jihad's Death in Well: Five railway men indicted"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  5. Liton, Shakhawat; Ch, Chaitanya; Halder, ra (২০১৮-১০-৩০)। "Zia Charitable Trust Graft Case: Khaleda jailed for 7 years"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  6. Correspondent, Staff (২০১৮-০১-১৭)। "A coercive trial, not a trial at all"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  7. "President appoints 9 new additional judges"Dhaka Tribune। ২০১৯-১০-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  8. "Nine HC judges take oaths"The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  9. Sarkar, Ashutosh (২০২২-০৯-২৭)। "'Bail on mere grounds of age not rational'"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  10. "HC quashes DU order demoting Samia Rahman for plagiarism"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  11. "Why Manarat's trustee board reform not illegal: HC to govt"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০ 
  12. "JU decision to suspend 2 female students for assaulting a male student illegal: HC"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১১-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১০