মোশাররফ হোসেন (ক্রিকেটার)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোশাররফ হোসেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামখন্দকার মোশারফ হোসেন
জন্ম(১৯৮১-১১-২০)২০ নভেম্বর ১৯৮১
বাজিতপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
মৃত্যু১৯ এপ্রিল ২০২২(2022-04-19) (বয়স ৪০)
ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা
ডাকনামরুবেল
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি অর্থোডক্স
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮৭)
৯ মার্চ ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ ওডিআই১৪ মার্চ ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০১–বর্তমানঢাকা বিভাগ
২০০৪/০৫বরিশাল বিভাগ
২০১৩ –ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩৩ ৩৫
রানের সংখ্যা ১৫ ৯১১ ৬৬৩
ব্যাটিং গড় ৫.০০ ১৯.৩৮ ২৪.৫৫
১০০/৫০ ০/০ ০/৪ ০/৪
সর্বোচ্চ রান ৮৫ ৭২
বল করেছে ১৩২ ৮,১৪৬ ১,৭২৮
উইকেট ১২২ ৩৭
বোলিং গড় ১০০.০০ ২৮.১৭ ৩১.৮১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট না না
সেরা বোলিং ১/২৬ ৯/১০৫ ৪/৪২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ১৫/– ১০/–
উৎস: CricketArchive, ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮

খন্দকার মোশারফ হোসেন (২০ নভেম্বর ১৯৮১ - ১৯ এপ্রিল ২০২২)[১][২][৩] বাংলাদেশের একজন প্রথম-শ্রেণীলিস্ট এ ক্রিকেটার। তিনি ২০ নভেম্বর ১৯৮১ তারিখে বাজিতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বামহাতি ব্যাটসম্যান এবং বামহাতি অর্থোডক্স বোলার। তাকে কখনো কখনো তার ডাকনাম, রুবেল নামে অভিহিত করা হয়। ঢাকা বিভাগ-এর হয়ে ২০০১/০২ মৌসুমে তার অভিষেক হয় এবং একই দলের হয়েই ২০০৬/০৭ মৌসুম পর্যন্ত খেলেন। যদিও তিনি ২০০৪/০৫ মৌসুমে বরিশাল বিভাগ-এর হয়ে খেলেন। তিনি ২০০৫/০৬ ও ২০০৬/০৭ মৌসুমে বাংলাদেশ এ দলের হয়ে খেলেন।

তিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনবার ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। তিনি একবার ম্যাচ-এ ১০ উইকেট নেন, সেই ম্যাচে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে তার অবিস্মরণীয় ১০৫ রানে ৯ উইকেট নেন। এর পাশাপাশি তিনি ৩ টি পঞ্চাশ-ঊর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন এবং তার সর্বোচ্চ ৮৫, চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে।

অসুস্থতা ও অকাল মৃত্যু[সম্পাদনা]

২০১৯ সালের মার্চে, মোশাররফ হোসেনের মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। পরবর্তীকালে তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করান ও ক্রিকেটে ফিরে আসেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে, তিনি চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে আরেকটি অস্ত্রোপচার করান। মোশাররফ হোসেন নিয়মিত কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন, কিন্তু ২০২২ সালে হঠাৎ করে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করানো হয়। ২০২২ সালের ১৫ মার্চ তিনি স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[৪][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]