বিষয়বস্তুতে চলুন

মোতি মসজিদ (আগ্রা দুর্গ)

স্থানাঙ্ক: ২৭°১০′৪৯.৫″ উত্তর ৭৮°০১′১৭.৮″ পূর্ব / ২৭.১৮০৪১৭° উত্তর ৭৮.০২১৬১১° পূর্ব / 27.180417; 78.021611
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোতি মসজিদ আগ্রা দুর্গ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিসুন্নি
অবস্থান
অবস্থানআগ্রা, উত্তর প্রদেশ, ভারত
মোতি মসজিদ (আগ্রা দুর্গ) ভারত-এ অবস্থিত
মোতি মসজিদ (আগ্রা দুর্গ)
ভারত
স্থানাঙ্ক২৭°১০′৪৯.৫″ উত্তর ৭৮°০১′১৭.৮″ পূর্ব / ২৭.১৮০৪১৭° উত্তর ৭৮.০২১৬১১° পূর্ব / 27.180417; 78.021611
স্থাপত্য
ধরনজামে মসজিদ (জামাতের মসজিদ)
সৃষ্টিকারীশাহ জাহান
সম্পূর্ণ হয়১৬৫৩
নির্মাণ ব্যয়২ লাখ ৬০ হাজার ভারতীয় মুদ্রা
বিনির্দেশ
দৈর্ঘ্য৭১.৪ মিটার[]
প্রস্থ৫৭.২মিটার[]
গম্বুজসমূহ

আগ্রার মোতি মসজিদ (উর্দু: موتی مسجد‎‎) সম্রাট শাহজাহান নির্মাণ করেন। এটি আগ্রা দুর্গে অবস্থিত। শাহজাহানের শাসনামলে মুঘল স্থাপত্য তার স্বর্ণযুগে প্রবেশ করে। মুক্তার মত দ্যুতির জন্য এই মসজিদের নাম মোতি মসজিদ হয়েছে। এটি ১৭ শতকে নির্মিত হয় । ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট-একে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে । মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
স্যামুয়েল বোর্ন, "মতি মসজিদের সম্মুখভাগ,আগ্রা,১২২০," ১৮৬৩-১৮৬৯, পিচবোর্ডের শীটে লাগানো ছবি, চিত্র সংগ্রহ বিভাগ, ন্যাশনাল গ্যালারি অফ আর্ট লাইব্রেরি, ওয়াশিংটন, ডিসি

আগ্রা ফোর্টের আধুনিক সংস্করণটি মূলত শাহজাহানের কাছে ঋণী, যিনি আগ্রা ফোর্টের মধ্যে বেশ কয়েকটি অবকাঠামো ভেঙে দিয়েছিলেন এবং যাতে তিনি মার্বেল পাথর সংযুক্ত করেন । মতি মসজিদ ছিল তেমনই একটি স্থাপনা । মসজিদটি ১৬৪৬-১৬৫৩ সালে নির্মিত হয়েছিল, যা তার অন্যান্য আগ্রা ফোর্টের অবদানের তুলনায় উল্লেখযোগ্যতার পর্যায়ে পড়ে ছিল (এগুলো ১৬২৭ সালে শুরু হয়েছিল, তার প্রথম রাজত্বের বছর, এবং এটি ১৬৩৮ সালে শেষ হয়েছিল)। মুঘলদের বাসস্থান শাহজাহানাবাদ স্থানান্তরিত হওয়ার পাঁচ বছর পর ১৬৫৩ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। শাহজাহান যখন মসজিদটি সমাপ্তির পরে পরিদর্শন করেন, তখন তিনি এই কাঠামো দেখে এতটাই মুগ্ধ হন যে তিনি দুই বছর পরে ফিরে আসেন তার দুই ছেলেকে দেখাতে। [][]


স্থাপত্য

[সম্পাদনা]

মসজিদ কমপ্লেক্সটি, একটি উঁচু চূড়ার উপর নির্মিত, দুর্গের উঠানের উত্তরে অবস্থিত একটি প্রাচীর ঘেরা। এটি পূর্ব-পশ্চিম দিকে অবস্থিত এবং যমুনা নদীর কাছাকাছি। দেয়ালের বাইরের অংশটি লাল বেলেপাথরে আবৃত, আর ভিতরে মার্বেল দ্বারা আবৃত। প্রতিটি প্রাচীরের মাঝখানে একটি উচ্চ প্রবেশপথ আছে; পূর্ব দিকেরটি প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ঘেরের দেয়ালের ভিতরে একটি প্রায় বর্গাকার উঠোন রয়েছে যেটি উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব প্রান্তে তোরণ দ্বারা সারিবদ্ধ। উঠানের মাঝখানে একটি অযু খানা রয়েছে।

পশ্চিম প্রান্তে প্রধান প্রার্থনা হল রয়েছে, এখানে একটি বে (স্থাপত্য) আইল কাঠামো যা বারো-পার্শ্বযুক্ত স্তম্ভ দ্বারা গঠিত। হলের সম্মুখভাগে সাতটি প্রবেশপথ রয়েছে, যেখানে ছাদে তিনটি গম্বুজ এবং বেশ কয়েকটি ছত্রী রয়েছে হলের সামনের অংশটি একটি গভীর ছাজ্জা (ইভ) দ্বারা ছায়াযুক্ত যার নিচে কালো মার্বেলে পার্সিয়ান শিলালিপি রয়েছে। শিলালিপিগুলি শাহজাহান এবং মতি মসজিদকে মহিমান্বিত করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। প্রার্থনা হলের অভ্যন্তরে খুব বেশি সাজসজ্জা নেই বললে চলে; আশের উল্লেখ করেছেন যে অলঙ্কৃত মার্বেল ব্যবহার শাহজাহানের ব্যক্তিগত ধর্মীয় স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য।


মতি মসজিদটি, আজমীর শরীফ দরগাহ যেটি শাহ জাহান পূর্বে নির্মাণ করেছিলেন মার্বেল পাথর দিয়ে একটি জামাতের মসজিদ হিসেবে মতি মসজিদ বলতে গেলে তার থেকেও অনেক বেশি সুন্দর দেখায়।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Moti Masjid"Archnet। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৬ 
  2. Asher, Catherine B. (১৯৯২-০৯-২৪)। Architecture of Mughal India। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 182। আইএসবিএন 978-0-521-26728-1ডিওআই:10.1017/chol9780521267281 
  3. Alfieri, Bianca Maria (২০০০)। Islamic Architecture of the Indian Subcontinent। Lawrence King Publishing। পৃষ্ঠা 242–244। আইএসবিএন 9781856691895 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]