মোজাম্বিকের ইতিহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক ১৯৭৫ সাল অবধি একটি পর্তুগিজ উপনিবেশ এবং পর্তুগালের একটি সদস্য রাষ্ট্র ছিল। বহু সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে মোজাম্বিক।

প্রাক-ঔপনিবেশিক ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রস্তর যুগের মোজাম্বিক[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলিও মারক্যাডার মোজাম্বিকের নিয়াসা হ্রদের নিকটে গভীর চুনাপাথরের গুহা থেকে কয়েক লক্ষ বছরের পুরানো পাথরের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিলেন; এই পাথুরে সরঞ্জামগুলি থেকে বোঝা যায় যে বর্তমানে আফ্রিকার উপ-সাহারান অঞ্চলে প্রধান শস্য হিসেবে যে বুনো শোরগম খাওয়ার প্রচলন আছে, প্রস্তর যুগের এই অঞ্চলের বাসিন্দা হোমো স্যাপিয়েন্সরা শোরগমের অনুরূপ কিছু শস্যদানা, ওয়াইন পাম, ভুয়া কলা, হনুমান কড়াই, বুনো কমলা এবং আফ্রিকান "আলু" সহ বারোডিজ এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় গ্রহণ করতে অভ্যস্ত ছিলেন। এটি পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় মানুষের খাদ্যশস্য ব্যবহারের প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ। [১]

প্রাচীন ইতিহাস[সম্পাদনা]

এখনকার মোজাম্বিকের প্রথম অধিবাসীরা ছিলেন বর্তমানের খোইসানি প্রজাতির লোকজনের পূর্বপুরুষ স্যান প্রজাতির শিকারী ও সংগ্রহকারী মানুষজন। প্রথম এবং পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যে বানটু ভাষাভাষী লোকেরা জাম্বেজি নদী পেরিয়ে ধীরে ধীরে মালভূমি এবং উপকূলীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েন। তারা ছিলেন মূলত কৃষক এবং লৌহ ব্যবহারকারী মানুষজন।

আন্ত: সাংস্কৃতিক যোগাযোগ[সম্পাদনা]

পর্তুগালের অভিযাত্রী ভাস্কো দা গামা যখন ১৪৯৮ সালে মোজাম্বিকের উপকূলে পৌঁছেছিলেন, তখন উপকূল এবং বাইরে দিকের দ্বীপপুঞ্জের প্রধানত আরব ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং উপকূলের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় সুলতানের হাতে ছিল। তার আগে মুসলমানরা এই অঞ্চলে বেশ কিছুদিন ধরে বাস করেছিল; বিখ্যাত আরব ঐতিহাসিক এবং ভূগোলবিদ আল-মাসুদি আফ্রিকার মধ্যে সোফার ভূমিতে মুসলমানদের বসবাস সম্বন্ধে ৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে জানিয়েছিলেন (মনে করা হয় মোজাম্বিকের নামকরণ হয়েছে, পর্তুগিজদের আগমনের সময় এই অঞ্চলটির শাসক মুসা বিন উইক -এর নামে )।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্রথম শতাব্দীর উপকূলীয় গাইডে বর্ণিত এরিথ্রিয়ান সমুদ্রের পেরিপ্লাস নামে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যপথটি যা লোহিত সাগর, আরবের হাদরামৌট উপকূল এবং ভারতীয় উপকূলকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল, তার একেবারে দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত মোজাম্বিকের উপকূলটি ব্যবসা বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল সেই সময়ে।

পর্তুগিজ মোজাম্বিক (১৪৯৮–১৯৭৫)[সম্পাদনা]

আইল্যান্ড অফ মোজাম্বিক- উত্তর মোজাম্বিকের নাকালা উপকূলে মোসুরিল বের মোহনাতে একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ, পঞ্চদশ শতকে ইউরোপিয়ানরা প্রথম এখানে পা রেখেছিল

প্রায় ১৫০০ সাল থেকে পর্তুগিজ ট্রেডিং পোস্ট এবং দুর্গগুলি আরব বাণিজ্যিক এবং সামরিক আধিপত্যকে খণ্ডন করে পূর্বদিকের ইউরোপীয় সমুদ্রপথের নিয়মিত বন্দরে পরিণত হয়।

১৪৯৮-এ উত্তমাশা অন্তরীপে র আশেপাশে ভাস্কো দা গামার সমুদ্রযাত্রার মাধ্যমে এই অঞ্চলের বাণিজ্য, রাজনীতি এবং সমাজে পর্তুগিজ আধিপত্য শুরু হয়েছিল। ষোড়শ শতকের শুরুর দিকেই পর্তুগীজরা মোজাম্বিক দ্বীপ এবং বন্দর নগরী সোফালা দখল করে ফেলে। ১৫৩০ সালের মধ্যেই পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা স্বর্ণের লোভে জাম্বেজি নদীর আশেপাশে সেনা, টেটে ইত্যাদি শহরের আরো অভ্যন্তর অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন করে এবং স্বর্ণ বাণিজ্য পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে। [২]

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে পর্তুগিজরা মোজাম্বিকের বেশিরভাগ প্রশাসনকে ব্রিটিশদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও অর্থায়নে পরিচালিত মোজাম্বিক কোম্পানি, জামবেজিয়া সংস্থা এবং নিয়াসা কোম্পানির মতো সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছিল, এই সংস্থাগুলিই দক্ষিণ আফ্রিকা, রোডেশিয়া ও প্রতিবেশী উপনিবেশগুলিতে রেলপথ লাইন স্থাপন করেছিল । যদিও মোজাম্বিকে দাসত্ব আইনত বিলোপ করা হয়েছিল, তবুও ঊনবিংশ শতকের শেষে এই সংস্থাগুলি একটি বাধ্যতামূলক শ্রম নীতিমালা কার্যকর করেছিল এবং সেই নীতিমালার ভিত্তিতে অসাধু উপায়ে নিকটবর্তী ব্রিটিশ উপনিবেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার খনি এবং কফি ও কোকো চাষজমিতে সস্তা আফ্রিকান শ্রমিক সরবরাহ করত। সবচেয়ে লাভজনক চার্টার্ড সংস্থা জামবেজিয়া সংস্থা বেশ কয়েকটি ছোট প্রজেইরো হোল্ডিং দখল করে এবং নিজদের সম্পত্তি রক্ষার জন্য সামরিক ফাঁড়ি স্থাপন করেছিল। চার্টার্ড কোম্পানিগুলি মোজাম্বিকান বন্দর বেইরার সাথে বর্তমান জিম্বাবুয়ে সড়কপথে যোগ করার জন্যে একটি রেলপথ এর বন্দোবস্ত করেছিল। [৩][৪]

অলিভিরা সালাজারের এবং এস্তাদো নভোর শাসনের পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের অর্থনীতির শক্তিশালীকরণের কারণে এই সংস্থাগুলিকে প্রশাসন থেকে ক্রমশ ছেঁটে ফেলা শুরু হয় এবং প্রশাসন পরিচালনার ভার পর্তুগাল সরাসরি হাতে নেয়। ১৯২৯ সালে নিয়াসা কোম্পানিকে এবং ১৯৪২ সালে মোজাম্বিক কোম্পানিকে প্রশাসন পরিচালনার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয় যদিও তারা কৃষি ও বাণিজ্যিক খাতে কাজ চালিয়ে যায়। ১৯৫১ সালে আফ্রিকার পর্তুগিজ বিদেশী উপনিবেশগুলিকে পর্তুগালের বিদেশ প্রদেশ হিসাবে পুনর্নবীকরণ করা হয়। [৩][৪][৫]

মোজাম্বিকান স্বাধীনতা যুদ্ধ (১৯৬৪–১৯৭৪)[সম্পাদনা]

কমিউনিস্ট এবং উপনিবেশবাদ বিরোধী মতাদর্শগুলি আফ্রিকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে মোজাম্বিকের স্বাধীনতার সমর্থনে অনেক গোপন রাজনৈতিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়। যেহেতু নীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলি মোজাম্বিকের পর্তুগিজ জনগোষ্ঠীর সুবিধার জন্য ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল, তাই মোজাম্বিকের আদিবাসী সংহতকরণ এবং তার আদি সম্প্রদায়ের বিকাশের প্রতি খুব একটা মনোযোগ দেওয়া হয়নি - এই দাবিতে রাজনৈতিক সংগঠনগুলি মোজাম্বিকের রাজনৈতিক স্বাধীনতা দাবী করে। [৬]

এটি আদিবাসী জনগণের শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়ায়- যারা পর্তুগাল সরকারের বৈষম্য এবং মুক্তি আন্দোলনের সামাজিক চাপ- উভয়ই ভোগ করেছে।

স্বাধীনতা (১৯৭৫)[সম্পাদনা]

দশ বছরের বিক্ষিপ্ত যুদ্ধ এবং পর্তুগালের পুনরায় গণতন্ত্র প্রত্যাবর্তনের পর লিসবনে একটি বামপন্থী সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পর্তুগালের এস্তাদো নোভো সরকারকে সামরিক জান্তার (১৯৭৪ সালের এপ্রিলের কার্নেশন বিপ্লব ) দ্বারা প্রতিস্থাপনের পরে ফ্রেইলিমো এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। এক বছরের মধ্যে, মোজাম্বিক থেকে আড়াই লাখ পর্তুগিজ মোজাম্বিক ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। ১৯৭৫ সালের ২৫ শে জুন মোজাম্বিক পর্তুগাল থেকে স্বাধীন হয়। ফ্রেইলিমো দলের তৎকালীন অধিনায়ক আরমান্ডো গুয়েবুজার উদ্যোগে একটি আইন পাস করা হয়, যেখানে কেবলমাত্র ২০ কেজি (৪৪ পাউন্ড) লাগেজ সহ 24 ঘণ্টা সময়ে পর্তুগিজদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বেশিরভাগ পর্তুগীজ মানুষ কপর্দকশূন্য অবস্থায় পর্তুগালে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। [৭]

গৃহযুদ্ধ (১৯৭৭–১৯৯২)[সম্পাদনা]

স্বাধীনতা পেলেও মোজাম্বিকের মানুষের শান্তি আসেনি। ১৯৭৫ সালে গঠিত, রোডেসিয়ান ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকার দ্বারা উতসাহপ্রাপ্ত একটি গোষ্ঠী রেনামো বা মোজাম্বিকান ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স, পরিবহন , স্কুল এবং স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলিতে একাধিক হামলা চালিয়েছিল এবং দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূচনা করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ এবং রক্ষণশীলরা রেনামোর সমর্থনের পক্ষে তদবির করেছিল, কিন্তু মোজাম্বিকের পররাষ্ট্র দফতর এর তীব্র প্রতিরোধ করেছিল এবং তারা কোনভাবেই "রেনামোর সাথে স্বীকৃতি বা আলোচনা করবে না" বলে জানিয়েছিল। [৮][৯][১০]

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রেনামোর পক্ষে সমর্থন কমে যাওয়ার পরে, ১৯৯০ সালে ফ্রিলিমো সরকার এবং রেনামোর মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনা হয়েছিল। ১৯৯০ সালের নভেম্বরে একটি নতুন সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। এই সংবিধানের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিক নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের নিশ্চিত করা হয় এবং মোজাম্বিক নিজেকে বহুজাতিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯২ সালের ৪ঠা অক্টোবর, জাতিসংঘের সহায়তায় সান'জিদিও সম্প্রদায় এর পরিচালনায় রাষ্ট্রপতি চিসানো এবং রেনামো নেতা আফনসো ধ্লাকামার মধ্যে রোমে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ ই অক্টোবর, ১৯৯২ সালে কার্যকর হয়েছিল। এরপরে দুই বছর, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী (ওএনএমওজেড) দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে তদারকি করতে থাকে এবং সর্বশেষ শান্তিরক্ষা বাহিনী ১৯৯৫ সালের শুরুর দিকে মোজাম্বিক ছেড়ে চলে যায়।

গণতান্ত্রিক যুগ (১৯৯৪–)[সম্পাদনা]

মোজাম্বিক ১৯৯৪ সালে নির্বাচন আয়োজন করে, যা বেশিরভাগ দলই অবাধ ও নিরপেক্ষ হিসাবে গ্রহণ করেছিল। জোয়াকিম চিসানোর নেতৃত্বে ফ্রিলিমো জিতেছিল, আর আফনসো ধ্লাকামার নেতৃত্বে রেনামো সরকারী বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছিল।

১৯৯৫ সালে মোজাম্বিক কমনওয়েলথ অফ নেশনস-এ যোগ দিয়েছিল এবং সেই সময় তারাই ছিল একমাত্র সদস্য জাতি যারা কখনও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল না।

১৯৯৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে, প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নেওয়া ১৭ লাখেরও বেশি শরণার্থী মোজাম্বিকে ফিরে এসেছিলেন; এটি স সাব-সাহারান আফ্রিকার বৃহত্তম পুনর্বাসন বলে মনে করা হয়। এছাড়াও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত অতিরিক্ত আরও চল্লিশ লাখ লোক নিজেদের বাড়িতে ফিরতে সমর্থ হন।

১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে, মোজাম্বিক গৃহযুদ্ধের পরে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন আয়োজন করে, যেখানে আবার ফ্রেলিমো জিতেছিল। রেনামো ফ্রিলিমোর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিল এবং গৃহযুদ্ধে ফিরে আসার হুমকি দিয়েছিল, তবে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরে এবং সেখানে হেরে যাওয়ার পরে রেনামো আর বিরোধিতা করে নি।

২০০১ সালে তিনি তৃতীয় মেয়াদে অংশ নেবেন না বলে ইঙ্গিত করে, চিসানো তার চেয়ে বেশি সময় ধরে থাকা নেতাদের সমালোচনা করেছিলেন; মনে করা হয় এই কটাক্ষ ছিল প্রতিবেশী জাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি ফ্রেডেরিক চিলুবার, যিনি তখন তৃতীয়বারের মত রাষ্ট্রপতি ছিলেন, এবং জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রপতি রবার্ট মুগাবের প্রতি, যিনি চতুর্থবারের মত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০৪এর ডিসেম্বর মাসে তৃতীয়বারের মত রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল । ফ্রিলিমোর প্রার্থী আরমান্ডো গুয়েবুজা 64৪ % জনপ্রিয় ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী, রেনামোর আফনসো ধলকামা ৩২% ভোট পেয়েছিলেন। ফ্রিলিমো সংসদে ১৬০টি আসন জয়লাভ করে এবং রেনামো এবং কয়েকটি ছোট দলের একটি জোট বাকি ৯০ টি আসনে জয়লাভ করে। ২০০৫ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি মোজাম্বিকের রাষ্ট্রপতি হিসাবে আরমান্ডো গুয়েবুজা শপথ গ্রহণ করেন।

মোজাম্বিকান গৃহযুদ্ধের (১৯৭৫-১৯৯২) পরে ধ্বংসপ্রাপ্ত মোজাম্বিকান অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পূর্ব এশিয়া থেকে আসা পর্যটকরা এবং বিনিয়োগকারীরা। বেশ কিছু পর্তুগিজ নাগরিকরাও মোজাম্বিকে ফিরে এসে বিনিয়োগ করেছেন। পাশাপাশি কিছু ইতালীয় সংস্থাও এখানে বিনিয়োগ করেছে। কয়লা ও গ্যাস বড় সেক্টরে পরিণত হয়েছে। গৃহযুদ্ধের পর থেকে কুড়ি বছরে মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়েছে। [১১]

২২ বছর ধরে স্বাধীনতা এবং গৃহযুদ্ধের সময় লাগানো বিস্ফোরক ডিভাইসগুলি অপসারণের প্রচেষ্টার পরে অবশেষে ২০১৫ সালে মোজাম্বিককে ল্যান্ড মাইনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। [১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Stone age pantry: Archaeologist unearths earliest evidence of modern humans using wild grains and tubers for food"ScienceDaily। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-১৮ 
  2. Arming Slaves, Arming slaves: from classical times to the modern age, Christopher Leslie Brown, Philip D. Morgan, Gilder Lehrman: Center for the Study of Slavery, Resistance, and Abolition. Yale University Press, 2006 আইএসবিএন ০-৩০০-১০৯০০-৮, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩০০-১০৯০০-৯
  3. The Cambridge history of Africa, The Cambridge history of Africa, John Donnelly Fage, A. D. Roberts, Roland Anthony Oliver, Edition: Cambridge University Press, 1986, আইএসবিএন ০-৫২১-২২৫০৫-১ISBN 0-521-22505-1, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-২২৫০৫-২ISBN 978-0-521-22505-2 উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "The Cambridge history of Africa" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  4. The Third Portuguese Empire, 1825–1975, The Third Portuguese Empire, 1825–1975: A Study in Economic Imperialism, W. G. Clarence-Smith, Edition: Manchester University Press ND, 1985, আইএসবিএন ০-৭১৯০-১৭১৯-XISBN 0-7190-1719-X, 9780719017193 উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "The Third Portuguese Empire, 1825-1975" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  5. Agência Geral do Ultramar
  6. Dinerman, Alice (26 September 2007). Independence redux in postsocialist Mozambique ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৫-০৪-২৪ তারিখে. ipri.pt
  7. Couto, Mia (April 2004). Carnation revolution. Le Monde diplomatique
  8. Deciding to Intervene, p. 204.
  9. Deciding to Intervene, p. 207.
  10. Africa: The Challenge of Transformation
  11. "Mozambique: Gas-fired tension"The Economist। ২০১৩-১১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-১৮ 
  12. Smith, David (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Flash and a bang as Mozambique is declared free of landmines"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫