মুহাম্মদ ইবনে আলি আস-সেনুসি
মুহাম্মদ ইবনে আলী আস সানুসি | |
---|---|
সানুসি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা | |
উত্তরসূরি | মুহাম্মদ আল-মাহদি আস-সেনুসি |
জন্ম | ১৭৮৭ মোস্তাগানেম, উসমানীয় আলজেরিয়া |
মৃত্যু | ১৮৫৯ জাগবুব, উসমানীয় লিবিয়া |
বংশধর | মুহাম্মদ আল-মাহদি আস-সেনুসি |
রাজবংশ | সানুসি রাজবংশ |
পিতা | আলী আস সানুসি |
ধর্ম | ইসলাম |
সাইয়িদ মুহাম্মদ ইবনে আলি আস-সানুসি (১৭৮৭ –১৮৫৯) ছিলেন সানুসি তরিকার প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৩৭ সালে এই তরিকা প্রতিষ্ঠিত হয়। মুহাম্মদ ইবনে আলি আলজেরিয়ার মুস্তাগানিমের নিকটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ওয়ালাদ সিদি আব্দুল্লাহ গোত্রের সদস্য ছিলেন। [১][২] তার রহস্যময় জিহাদি আন্দোলন আফ্রিকা জুড়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি লিবিয়াকে ইতালি থেকে তার স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছিল। শেখ ওমর মুখতার ছিলেন মুহাম্মদ ইবনে আলী আস-সানুসি দ্বারা শুরু করা সেই সানুসি সামরিক অভিযানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আস-সানুসির নাতি প্রথম ইদ্রিস ১৯৫১ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত লিবিয়ার রাজা হিসেবে শাসন করেছিলেন
মুহাম্মদ ইবনে আলি ফেজের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি সাহারা ভ্রমণ করে তিউনিসিয়া এবং ত্রিপলিতে আত্মশুদ্ধি প্রচার করেন। এসময় তিনি অনেক অনুসারী লাভ করেন। এরপর তিনি কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যান। প্রথমে তিনি জাবাল আখদারে তার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি সিরেনাইকার বাইদায় মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি জাগবুবে চলে আসেন।[৩] তিনি একটা বৃহৎ মসজিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির নির্দেশে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। একই সময় সেনুসি পরিবারের সদস্যদের কবর এবং অবশিষ্ট চিহ্নগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়। মুহাম্মদ আস-সেনুসির মৃত্যুর পর তার পুত্র মুহাম্মদ আল-মাহদি আস-সেনুসি সেনুসি তরিকার নতুন প্রধান হন এবং তিনি তাদের কেন্দ্র জাগবুব থেকে কুফরায় সরিয়ে নেন।[১] তার নাতি মুহাম্মদ ইদ্রিস আল-সেনুসি লিবিয়ার প্রথম এবং একমাত্র বাদশাহ ছিলেন।
মুহাম্মদ ইবনে আলি আস-সেনুসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মুহাম্মদ আশ-শরিফ আস-সেনুসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মুহাম্মদ আল-মাহদি বিন মুহাম্মদ আস-সেনুসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আহমেদ আশ-শরিফ আস-সেনুসি | মুহাম্মদ আল-আবিদ আস-সেনুসি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মুহাম্মদ আর-রিদা | বাদশাহ ইদ্রিস | রাণী ফাতিমা আশ-শরিফ | আজ-জুবাইর বিন আহমাদ আশ-শরিফ | আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মদ আল- আবিদ আস-সেনুসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||
হাসান আস-সেনুসি | আহমেদ আস-সেনুসি (ন্যাশনাল ট্রান্সিশনাল কাউন্সিললের সদস্য) | ইদ্রিস বিন আবদুল্লাহ আস-সেনুসি (দাবিদার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
মুহাম্মদ আস-সেনুসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Shillington, Kevin (2005) "Libya: Muhammad Al-Sanusi (c.1787–1859) and the Sanusiyya" Encyclopedia of African History Fitzroy Dearborn, New York, p. 830-831, আইএসবিএন ১-৫৭৯৫৮-২৪৫-১
- ↑ "Al-Sanūsī | Islamic religious leader"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-১০।
- ↑ The Senussi Family ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে Retrieved 1 October 2011.
- S. Khuda Bukhsh, Studies Indian and Islamic, Routledge 2001, p. 28 আইএসবিএন ০-৪১৫-২৪৪৬৪-১ [১] (retrieved 26-09-2011)
মুহাম্মদ ইবনে আলি আস-সেনুসি সেনুসি রাজবংশ
| ||
ধর্মীয় পদবীসমূহ | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী নেই |
সেনুসি তরিকার প্রধান ১৮৪৩-১৮৫৯ |
উত্তরসূরী মুহাম্মদ আল-মাহদি আস-সেনুসি |
- সানুসি রাজবংশ
- আলজেরীয় সুফি
- ১৭৮৭-এ জন্ম
- ১৮৫৯-এ মৃত্যু
- মুস্তাগানিম প্রদেশের ব্যক্তিত্ব
- আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী
- লিবিয়ান মুসলিম
- লিবিয়ান পণ্ডিত
- লিবিয়ান মালিকি পণ্ডিত
- আলজেরীয় বংশোদ্ভূত লিবিয়ান ব্যক্তিত্ব
- হাশিমি ব্যক্তিত্ব
- ১৮শ শতাব্দীর আরব ব্যক্তি
- ১৯শ শতাব্দীর আরব ব্যক্তি
- আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- উসমানীয় সাম্রাজ্যের মুসলিম
- সুফি তরিকার প্রতিষ্ঠাতা