মুহাম্মদ আল-জাহির বিআমরিল্লাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুহাম্মদ আল জহির বিআমরিল্লাহ
আব্বাসীয় খলিফা আল জাহিরের নামে সিন্ধুর শাসক সাইফুদ্দিন আল হাসানের জারি করা মুদ্রা (১২২৫-২৬ সাল)।
৩৫ তম আব্বাসীয় খলিফা
পূর্ণ নামمحمد بن أحمد بن حسن بن يوسف بن محمد بن أحمد بن عبد الله بن محمد بن عبد الله بن أحمد بن إسحاق بن جعفر بن أحمد بن محمد بن جعفر بن محمد بن هارون بن محمد بن عبد الله بن محمد بن علي بن عبد الله بن العباس بن عبد المطلب.

আবুল-নাসর মুহাম্মাদ আল-জাহির বি আমরিল্লাহ ইবনে আহমদ আল-নাসের ( ১১৭৯ - ১২২৬ খ্রিস্টা.) হলেন পঁয়ত্রিশতম আব্বাসী খলিফা, যিনি ১২২৫ সাল থেকে ১২২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাগদাদ শাসন করেন।[১] তিনি তার পিতা আল-নাসের লি-দিনিল্লাহর পর ক্ষমতা গ্রহণ করেন। যখন তার পিতার বয়স রায়ান্ন বছর ছিল , তখনই জাহির তার পিতার চেয়ে বেশি পরিমিতভাবে শাসন করার চেষ্টা করেছিলেন এবং সেই কারণে তিনি কর কমিয়েছিলেন এবং একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করেছিলেন।

ইবনুল আসির তার সম্পর্কে বলেন: আল-জাহির যখন খিলাফতে নিযুক্ত হন, তখন দীর্ঘ দুই যুগের চেয়ে বেশি সময় ধরে অবহেলিত সুন্নাহ পুনরুদ্ধার করেন। জাহির ন্যায়বিচার ও দানশীলতা দেখান। তিনি একটি দিনার কারো থেকে অন্যায়ভাবে নেননি। কারারুদ্ধ লোকদের তিনি মুক্ত করেন। তিনি আলেম এবং ধার্মিকদের প্রতি উদার ছিলেন। তার শাসন প্রায় ৯ মাস ১৪ দিন স্থায়ী হয় এবং ৬২৩ হিজরির ১১ রজবের মোতাবেক ১২২৬ সালের ১০ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র[সম্পাদনা]

জীবনী[সম্পাদনা]

আল-জাহির বিআমরিল্লাহ ছিলেন আল-নাসির এবং আসমা উম্মে মুহাম্মদের পুত্র। তার পুরো নাম ছিল মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আল-নাসির এবং তার কুনিয়া ছিল আবু নাসর। তাকে ১১৮৯ সালে উত্তরসূরি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে নামকরণ করা হয়। তার সংক্ষিপ্ত রাজত্বকালে, তিনি কর কমিয়েছিলেন এবং আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করেছিলেন। তিনি ১২২৬ সালের ১০ জুলাই তারিখে (তার সিংহাসন আরোহণের নয় মাস পরে) মারা যান।

আল-নাসির ১১৮০ থেকে ১২২৫ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আব্বাসীয় খলিফা ছিলেন। তার পিতা খিলাফতকে এর প্রাচীন প্রভাবশালী ভূমিকায় পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন। ঐতিহাসিক অ্যাঞ্জেলিকা হার্টম্যানের মতে, আল-নাসির ছিলেন সর্বশেষ কার্যকর আব্বাসীয় খলিফা।[২]

পরিবার[সম্পাদনা]

আল-জাহিরের একজন উপপত্নী ছিলেন, যার নাম হায়াত খাতুন। তিনি তুর্কি বংশোদ্ভূত, তাঁর প্রিয় এবং বিশ্বস্ত উপপত্নী ছিলেন। তিনি তাঁর এক পুত্রের মা ছিলেন। তিনি তার মৃত্যুর পর দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন এবং একজন স্বাধীন মহিলা হিসাবে বাকি জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। ১২৪১ সালের ১৬ আগস্ট তিনি মারা যান এবং খলিফা আল-মুস্তাদির সমাধিতে তাকে সমাহিত করা হয়।[৩] তার আরেক উপপত্নী ছিলেন বাব জওহর। তিনি একজন তুর্কি দাস ছিলেন যিনি আল-জাহিরেরও প্রিয় ছিলেন। তিনি ১২৪১ সালের ১ আগস্ট মারা যান এবং তাকে রুসাফাহ কবরস্থানে খলিফাল সমাধির কাছে সমাহিত করা হয়।[৩] তার আরেক উপপত্নী ছিলেন একজন তুর্কি দাস। তিনি ছিলেন ভবিষ্যতের খলিফা আল-মুস্তানসিরের মা।[৪][৫]

উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

আল-জাহিরের মৃত্যুর পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মনসুর আল-মুস্তানসির বিল্লাহ

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "معلومات عن محمد الظاهر بأمر الله على موقع nomisma.org"। nomisma.org। 
  2. Hanne, Eric J. (২০০৭)। Putting the Caliph in His Place: Power, Authority, and the Late Abbasid Caliphate। Fairleigh Dickinson University Press। পৃষ্ঠা 204। আইএসবিএন 978-0-8386-4113-2 
  3. al-Sāʿī, Ibn; Toorawa, Shawkat M. (২০১৭)। كتاب جهات الأئمة الخلفاء من الحرائر والإماء المسمى نساء الخلفاء: Women and the Court of Baghdad। Library of Arabic Literature। NYU Press। পৃষ্ঠা 75–76। আইএসবিএন 978-1-4798-6679-3 
  4. Rizvi, Sayyid Saeed Akhtar; Shou, Salman (২০০৫)। Utumwa: Mtazamo wa Kiislamu na wa Nchi za Magharibi। Al-Itrah Foundation। পৃষ্ঠা 64। আইএসবিএন 978-9987-9022-4-8 
  5. Hasan, M. (১৯৯৮)। History of Islam: Classical period, 571-1258 C.E। History of Islam। Islamic Publications। পৃষ্ঠা 304।