মুজাদ্দিদিয়া তরিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুজাদ্দিদিয়া তরিকা মুজাদ্দিদে আলফে সানি খ্যাত আহমেদ সিরহিন্দি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি সুফি তরিকা। এটি নকশবন্দি তরিকা থেকে উদ্ভুত হয়েছে। এ তরিকায় সুফিবাদের নামে প্রচলিত গজল, কাওয়ালী ও সামা শুনা নিষিদ্ধ। আহমেদ সিরহিন্দির খলিফাদের নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ইতিহাসে উল্লেখ নেই। তবে তিনি উপমহাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে খলিফাগণের প্রতিনিধি প্রেরণ করেন। তার অন্যতম দুজন খলিফা যাদের মাধ্যমে মুজাদ্দিদিয়া সিলসিলার প্রসিদ্ধি পেয়েছে এবং ভারতবর্ষে সূলুক, তরবিয়াত দ্বারা জনসাধারণের ঈমান-আকিদা পরিশুদ্ধ করেছেন তারা হলেন; খাজা মাসুম ও আদম হুসাইনী বানুরী। তারা মাসুমিয়্যা সিলসিলা ও আহসানিয়া’ সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা। এ তরিকার বিশ্বব্যাপী প্রচার-প্রসার হয়েছে শাহ গুলাম আলী বাটালভীর মাধ্যমে। ভারতবর্ষের এমন কোন শহর ছিলো না যেখানে তার মুরিদ ছিলো না। কেবল আম্বালা শহরে তার পঞ্চাশ জন খলিফা ছিলো। এ তরিকার অন্যতম সিলসিলা আহসানিয়া, শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী, শাহ আবদুল আজিজ এবং তার থেকে সৈয়দ আহমদ বেরলভিমিয়াজি নূর মুহাম্মদ খেলাফত প্রাপ্ত হোন।

মিয়াজি নূর মুহাম্মদ থেকে ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি, মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি, আশরাফ আলী থানভী, মাহমুদ হাসান দেওবন্দি, আব্দুর রহীম রায়পুরী, ইয়াহিয়া কান্ধলভি, খলিল আহমদ সাহারানপুরি, হুসাইন আহমদ মাদানি, মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি, মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি এবং আবুল হাসান আলী নদভী পর্যন্ত প্রমূখ উল্লেখযোগ্য। যদিও পরবর্তীতে কাসেম নানুতুবি ও আশ্রাফ আলী থানভী গং ওহাবী আকীদায় পর্যবসিত হয়ে পড়ে এবং ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি তাদের খারিজ করে দেন। [১][২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মুজাদ্দিদিয়া তরীকা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৫ 
  2. "ভারতবর্ষে নকশবন্দিয়া সিলসিলার ইতিহাস"Jugantor (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৫