বিষয়বস্তুতে চলুন

মিশনারি আসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফরাসী চিত্রকর এদুয়ার্দ অঁরি অভ্রিল কর্তৃক আঁকা মিশনারী পজিশনে যৌনমিলন

মিশনারি আসন (মিশনারী পজিশন, মিশনারী অবস্থান, ম্যান অন টপ পজিশন নামেও পরিচিত) হচ্ছে এক প্রকারের যৌনাসন যেখানে নারী সঙ্গী শুয়ে থাকে আর পুরুষ সঙ্গীটি হয় তার উপরে শোয় বা একটু বাঁকা হয়ে তার দিকে শোয়া অবস্থায় থাকে।[][][] এই ধরনের কর্ম সাধারণত যোনিতে শিশ্ন প্রবেশ করানোর জন্য করা হয়।[] এরূপ যৌনকর্মের নাম মিশনারী আসন হয়েছে খ্রিষ্টানদের দ্বারা, একসময় খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারকেরা ভারতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তাদের এরূপ সঙ্গমপদ্ধতির প্রচার করার জন্য, পরে সাধারণ ভারতীয়রা এই সঙ্গমপদ্ধতিকে মিশনারী আসন নাম দেন।[] মার্কিন যৌনবিদ আলফ্রেড কিন্সে (১৮৯৪-১৯৫৬) মিশনারী পজিশন শব্দটিকে ইংরেজি ভাষায় চালু করে তুলেছিলেন চল্লিশ এর দশকে তার 'সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার ইন হিউম্যান মেইল' বইয়ের মাধ্যমে, এছাড়া ১৯৫৩ সালে তার 'সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার ইন হিউম্যান ফিমেইল' নামের আরেকটি বইতেও তিনি অনুরূপ সঙ্গম আসনের কথা বলেন।[][]

মিশনারী পজিশনে পায়ুকাম[] এবং সমকামও করা যায়।[]

রূপান্তরসমূহ

[সম্পাদনা]
মিশনারি আসনে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থাকে, যেখানে নারী পিঠের ওপর শুয়ে থাকে এবং পুরুষ তার উপরে অবস্থান করে।

আসনের বিভিন্ন রূপ ও ব্যবহার রয়েছে, তবে মূল মিশনারি আসনে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থাকে, যেখানে নারী পিঠের ওপর শুয়ে থাকে এবং পুরুষ তার উপরে অবস্থান করে। ভঙ্গির পার্থক্য মূলত লিঙ্গ প্রবেশের কোণ এবং গভীরতা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

মিশনারি

মৌলিক ভঙ্গি

[সম্পাদনা]

মিশনারি আসনে, নারী শোবার জায়গায় পিঠের ওপর শুয়ে থাকে এবং তার পা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ছড়িয়ে থাকে, পায়ের তালু মাটিতে বা বিছানায় বিশ্রাম দেয়। প্রবেশকারী সঙ্গী নারীর ছড়ানো পায়ের মধ্যে নিজেকে অবস্থান করায়, এবং হাত দিয়ে নিজেকে সমর্থন করে অথবা তার ওজন নারীর ওপর রাখে। নারীর যোনি পর্যাপ্ত স্নিগ্ধ হলে, যা বিশেষ করে আঙুল দিয়ে তার যোনিমণ্ডল বা clitoris উদ্দীপিত করে হতে পারে, পুরুষ তার শক্ত লিঙ্গ নারীর যোনিতে প্রবেশ করায়। প্রয়োজনে পুরুষ আঙুল দিয়ে নারীর লাবিয়া খুলে লিঙ্গকে পথ দেখাতে পারে।

পুরুষের লিঙ্গ যখন নারীর যোনির মধ্যে থাকে, তখন পুরুষ ধাক্কা দেওয়ার শক্তি, গভীরতা এবং গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, পাশাপাশি নারীর কিছুটা গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পুরুষের ওজন এবং অবস্থানের ওপর নির্ভর করে নারী তার পা এবং পায়ের সাহায্যে বিছানায় ঠেলা দিয়ে, কোমরের পাশে দিক পরিবর্তন করে, এবং সঙ্গীর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারে।[]

নারী তার শরীর পুরুষের গতি অনুযায়ী মেলালে পুরুষের ধাক্কা দেওয়ার শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Missionary position" (ইংরেজি ভাষায়)। Merriam-Webster। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ {{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: |প্রকাশক=-এ ইটালিক বা গাঢ় লেখা অনুমোদিত নয় (সাহায্য)
  2. 1 2 3 "What is the missionary position?" (ইংরেজি ভাষায়)। Go Ask Alice! (Columbia University)। ২৬ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৫
  3. Keath Roberts (২০০৬)। Sex (ইংরেজি ভাষায়)। Lotus Press। পৃ. ১৪৫। আইএসবিএন ৮১৮৯০৯৩৫৯২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১২ {{বই উদ্ধৃতি}}: অজানা প্যারামিটার |লেখকগণ= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  4. Roberts, Amanda; Padgett-Yawn, Barbara (১৯৯৮)। Reader's Digest Guide to Love & Sex (ইংরেজি ভাষায়)। Reader's Digest Association। আইএসবিএন ৯৭৮০৭৬২১০০৪৩৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫The missionary position is so called because it was allegedly the sexual position recommended by Christian missionaries to their Polynesian converts in the era of European colonialism.
  5. "Assuming the missionary position… again"The Straight Dope (ইংরেজি ভাষায়)। Cecil Adams। ১৭ জুন ২০০৫।
  6. Priest, Robert J. (২০০১)। "Missionary Positions: Christian, Modernist, and Postmodernist"Current Anthropology (ইংরেজি ভাষায়)। ৪২ (1): ২৯–৬৮। ডিওআই:10.1086/318433পিএমআইডি 14992209
  7. Hite, Shere (২০০৪)। The Hite Report: A Nationwide Study of Female Sexuality। New York, NY: Seven Stories Press। পৃ. ৩২২। আইএসবিএন ১৫৮৩২২৫৬৯২। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১২
  8. Kar, Nilamadhab; Kar, Gopal Chandra (২০০৫)। Comprehensive Textbook of Sexual MedicineJaypee Brothers Publishers। পৃ. ১০৭–১০৮। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১৮০৬১৪০৫৭। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]