মির্জা রুহুল আমিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মির্জা রুহুল আমিন
ঠাকুরগাঁও-২-এর অঞ্চলের সাবেক সংসদীয় প্রতিনিধি
কাজের মেয়াদ
১৯৮৮ – ১৯৯০
রাষ্ট্রপতিহুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1921-02-28) ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯২১ (বয়স ১০৩)
ঠাকুরগাঁও জেলা, পূর্ব বাংলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
দাম্পত্য সঙ্গীমির্জা ফাতেমা আমিন
সন্তানমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা ইকবাল আমিন, মির্জা ফয়সল আমিন
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ
দফতরকৃষি মন্ত্রণালয়

মির্জা রুহুল আমিন (২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯২১ - ১৯ জানুয়ারি ১৯৯৭) পঞ্চগড় জেলায় জন্মগ্রহণকারী একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, ক্রীড়ানুরাগী, প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য।[১] তিনি এরশাদ সরকারের মন্ত্রীসভার একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি দিনাজপুর-৪ ও ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মির্জা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] ১৯৩৮ সালে তিনি ঠাকুরগাঁও ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়) থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। দেশ বিভাগের পর তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

পরিবার[সম্পাদনা]

মির্জা রুহুল আমিনের পিতার নাম মির্জা আজিমউদ্দিন সরকার। মির্জা আমিনরা তিন ভাই, তার অপর দুই ভাই হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য ৪র্থ সংসদের স্পিকার মির্জা গোলাম হাফিজ ও এস আর মির্জা। মির্জা আমিনের তিন সন্তান, বড় ছেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মেঝ ছেলে মির্জা ইকবাল আমিন ও ছোট ছেলে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন।[৩][৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ঠাকুরগাঁও হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন তিনি।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯৬২-৬৬ সালে পরপর দুই বার পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় দীর্ঘ ১৭ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর সহযোগী ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হন এবং খুন, লুন্ঠন ও অগ্নিসংযোগে অভিযোগ থাকায়, বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা ও তার কারামুক্তি লাভ হয় নি, কিন্তু জেনারেল জিয়াউর রহমানের নির্বাহী আদেশে কারামুক্তি হলে পুনরায় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৭৯ সালে তিনি দিনাজপুর-৪ ও ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভার কৃষিমন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এবং মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৫]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মির্জা রুহুল আমিন ১৯৯৭ সালের ১৯ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রায়, অজয় কুমার (আগস্ট ২০১৮)। "রাজনৈতিক ও গুণী ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি"। ঠাকুরগাঁও জেলার ইতিহাস (২ সংস্করণ)। ঢাকা: টাঙ্গন প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ২৪৫। আইএসবিএন 978-9843446497 
  2. "মির্জা রুহুল আমিন - Golden Bangladesh"www.goldenbangladesh.com। ২০১৯-০২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-১০ 
  3. https://www.nbs24.org/2018/05/28/271045/মির্জা-রুহুল-আমিনের-২২-তম[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. BanglaNews24.com। "ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নবনির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলরদের দায়িত্ব গ্রহণ :: BanglaNews24.com mobile"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-১০ 
  5. "মির্জা পরিবারের ঐতিহ্য রক্ষা করলো ফয়সাল আমিন"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২৪