মিয়া খলিফা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা কুউ পুলক (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৮:৫০, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

মিয়া খলিফা
আরবি: ميا خليفة
জন্ম
মিয়া খলিফা

(1993-02-10) ফেব্রুয়ারি ১০, ১৯৯৩ (বয়স ৩১)
জাতীয়তালেবানিয়-মার্কিন
শিক্ষাস্নাতক
পেশা
কর্মজীবন২০১৪-২০১৫
পরিচিতির কারণপর্নহাব-এ প্রথম স্থানধারী (ডিসেম্বর, ২০১৪)
আদি নিবাসবৈরুত
উচ্চতা৫ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৫৭ মিটার)[১]
প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্রের
সংখ্যা
২৩ (আইএএফডি অনুযায়ী)[২]
ওয়েবসাইটmiakhalifa.com

মিয়া খলিফা (আরবি: ميا خليفة, জন্ম: ফেব্রুয়ারি ১০, ১৯৯৩), এছাড়াও মিয়া ক্যালিস্টা নাামেও পরিচিত, একজন লেবানিয় মার্কিন সামাজিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব,[৩] ওয়েবক্যাম মডেল[৪] এবং প্রাপ্তবয়স্ক মডেল,[১] যিনি ২০১৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পর্নোগ্রাফিক অভিনেত্রী হিসেবে সংক্ষিপ্ত সফল কর্মজীবনের জন্য পরিচিত।

বৈরুতে জন্ম নিয়ে খলিফা ২০০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন। অক্টোবর ২০১৪ সালে তিনি পর্নোগ্রাফি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন এবং ডিসেম্বরে পর্নহাব ওয়েবসাইট তালিকায় ১ নম্বরে অবস্থান নেন। তার পেশা নির্বাচন মধ্যপ্রাচ্যে বিতর্কের বিষয় হয়েছিল, বিশেষ করে একটি ভিডিও, যেখানে তিনি ইসলামিক হিজাব পরিহিত অবস্থায় যৌনকর্ম সঞ্চালন করেছিলেন। যদিও প্রায় তিন মাস পরই তিনি পর্ন শিল্প থেকে অবসর নিয়েছিলেন।

প্রাথমিক জীবন

খলিফা ফেব্রুয়ারি ১০, ১৯৯৩ সালে[১] লেবাননের বৈরুতে জন্ম নেন[৫] এবং পরবর্তীতে দশ বছর বয়সে ২০০০ সালে পরিবারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন।[৬] তার পরিবার ছিল ক্যাথলিক এবং তিনি সেই ধর্মের অধীনে বেড়ে উঠলেও পরবর্তীতে তার অনুশীলন করেন নি।[৭] কিশোর বয়সে তিনি মন্টগোমেরি কাউন্টি, মেরিল্যান্ডে[৫] বসবাস করেন এবং উচ্চ বিদ্যালয়ে ল্যাক্রোসি বাজাতেন।[৩] কয়েক বছর পর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট এল পাসো থেকে ইতিহাস বিষয়ে বিএ ডিগ্রি নেন তিনি।[৮]

কর্মজীবন

পর্নোগ্রাফি পেশা

খলিফা পর্ণোগ্রাফি চলচ্চিত্র শিল্পে প্রবেশ করেন অক্টোবর, ২০১৪ সালে।[৯] একটি স্থানীয় ফাস্ট ফুড রেঁস্তোরায় কাজ করার সময় একজন ভোক্তার সান্নিধ্যে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, তিনি পর্নোচলচ্চিত্রে কাজ করতে আগ্রহী কি না।[১০][১১] ২০১৫ সালের হিসেবে ১.৫ মিলিয়নেরও অধিক দর্শকসংখ্যার পাশাপাশি, ২২ বছর বয়সী খলিফা প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও শেয়ারিং পর্নহাবের সর্বাধিক অনুসন্ধানকৃত মডেল হিসেবে উন্নীত হন।[৯] সে বছর ২৮ ডিসেম্বরে পর্নহাব তাদের ওয়েবসাইটে নাম্বার ১ স্থানে খলিফার নাম প্রকাশ করে বহুদর্শী লিসা অ্যানের পরিবর্তে।[১২] সম্প্রতি তার এ খ্যাতি মধ্য প্রাচ্যের জনমনে কঠিন সমালোচনার অবতারণা করে, যেখানে লজ্জাকর হিসেবে তার পেশাজীবন কলঙ্কময় বলে মনে করা হয় এবং যে কারণে নিজ দেশেও খলিফার সম্মানহানি ঘটে।[১৩]

Perhaps better known as 'The hijab porn star', Khalifa hit the headlines in 2014 when she infamously humped on camera wearing the traditional Muslim garb. The BangBros film initially sparked outrage in her home country of Lebanon with haters claiming she had brought disgrace to the nation and insulted Islam. Khalifa stated in an interview with Loaded that she felt she is being made a scapegoat for internet censorship in her native land, and many others there have since demonstrated against the government, showing support for the American porn star. They claim that although she may have sex, 'She is still more decent than they are'.

লোডেড ম্যাগাজিন, জৃলাই ২০১৬।[১৪]

পর্নহাবে শীর্ষস্থান অধিকারের পরপর তিনি অনলাইন মৃত্যু হুমকি পান, যার মধ্যে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্টের একটি হস্তনির্মিত ছবিতে তাকে শিরচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এমন দেখানো হয় এবং একটি সতর্কবার্তায় তাকে নরকে যেতে হবে বলেও দাবী জানাো হয়, যার জবাব তিনি বলেন, "আমি সম্প্রতি একটু চিন্তিত"।[১৩] লেবানিজ সংবাদপত্র খলিফার সমালোচনামূলক নিবন্ধ লিখেছে, যা তিনি সে অঞ্চলের অন্যান্য ঘটনাগুলির কারণে তুচ্ছ বলে মনে করেন।[১৫]

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে, খলিফা বলেন বিতর্কিত দৃশ্যটি ছিল বিদ্রুপাত্মক এবং এটি সেভাবেই গ্রহণ করা উচিত, এবং হলিউড চলচ্চিত্রে যে কোনো পর্নগ্রাফির তুলনায় অনেক বেশি নেতিবাচক ভাবে ইসলামকে চিত্রিত করা হয়ে থাকে বলে দাবি করেন।[১৩] যারা সর্বজনীনভাবে তার প্রাপ্তবয়স্ক কর্মী হয়ে উঠার সিদ্ধান্তে সমর্থন জানানোর জন্য মুখ খোলেন তাদের মধ্যে ছিলের ব্রিটিশ-লেবানিজ লেখক নাসরি আতাল্লাহ, যারা বিবৃত দেন, "এই নৈতিক আবেগ... দুটি কারণের জন্য ভুল। প্রথম এবং সর্বাধিক, একজন নারী হিসেবে, তিনি তার শরীরের সঙ্গে যে কোনো কিছুর করার অধিকার রাখেন।"[১৩] খলিফা তার বিতর্ক সম্পর্ক তিনি মন্তব্য করেছিলেন।[১৩][১৬] তাছাড়াও তিনি বলেন, তার পেশা নির্বাচনের কারণে তার বাবা তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন।[১৩]

পর্ণহাব থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী, ৩-৪ জানুয়ারি, ২০১৫ সালে, মিয়া খলিফার অনুসন্ধানকারী পাঁচ দফা উন্নীত হয়। যার এক চতুর্থাংশ অনুসন্ধানকারী ছিলেন লেবানন থেকে, মূল অনুসন্ধানকারী ছিল মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া এবং জর্দানের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে।[৭] হিজাব সম্পর্কিত বিতর্কের কারণে, জুলাই ২০১৬ সালে, তিনি ব্রিটিশ পুরুষ ম্যগাজিন লোডেড কর্তৃক তাদের "দ্য ওয়ার্ল্ড'স টেন মোস্ট নটোরিয়াস পর্ন স্টার্স" তালিকায় পঞ্চম স্থানে অবস্থান নেন।[১৪]

জুলাই ২০১৬ সালে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে এক সাক্ষাৎকারে, খলিফা জানায় যে তিনি কেবল তিন মাসের জন্য পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করেছিলেন এবং এক বছরের আগেই পর্নশিল্প ছেড়ে দিয়েছিলেন, "আরো স্বাভাবিক কাজে" যুক্ত হতে। তিনি বলেন, "আমি এটা আমার বিদ্রোহী পর্যায় ছিল বলে মনে করি। এটা সত্যিই আমার জন্য ছিল না। আমি ধীরে ধীরে নিজেকে এর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চেষ্টা করি"।[৩] মে ২০১৬ সালের অনুযায়ী, খলিফা এখনো একজন ওয়েবক্যাম মডেল হিসেবে কাজ করছেন।[৪]

বিতর্ক

একটি ভিডিও-তে খলিফাকে হিজাব (প্রথাগত মুসলিম নারী পোষাকের অংশ) পরিহিত দেখা যায় এবং একে "সমস্যসঙ্কুল" এবং "অমার্জিত" হিসেবে বর্ণনা করা হয়। অনেকে এটা পাপ হিসেবে ধরে নেয়, প্রচার করে যে তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইসলামের প্রতি এমনটি করেছেন।[১৭] ভিডিওর ফলাফলে তিনি মৃত্যুর হুমকি পান।[১৮]

ব্যক্তিগত জীবন

খলিফা বর্তমানে মায়ামির, ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন।[৫] আঠারো বছর বয়সে তিনি ফ্রেব্রুয়ারি ২০১১ সালে একজন মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেন।[৬] খলিফার শরীরে লেবানিয় জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইন এবং লেবানিয় ফোর্সেস ক্রুশের উল্কি রয়েছে।[১৩]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Fay Strang (জানুয়ারি ৫, ২০১৫)। "Who is Mia Khalifa? Everything you need to know about Lebanese beauty who's PornHub's number one porn star" (ইংরেজি ভাষায়)। Daily Mirror। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৫ 
  2. ইন্টারনেট অ্যাডাল্ট ফিল্ম ডেটাবেজে মিয়া খলিফা
  3. Dan Steinberg (জুলাই ১৩, ২০১৬)। "A former porn star has become one of D.C.'s loudest sports fans on social media"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৩, ২০১৬ 
  4. Sara G (মে ৭, ২০১৬)। "Mia Khalifa Interview"। howareyoubb.com। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৭, ২০১৬ 
  5. Chris Pleasance (৬ জানুয়ারি ২০১৫)। "Lebanese-American porn actress receives death threats in her family's home country after she is voted sex industry's top star" (ইংরেজি ভাষায়)। Daily Mail। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৫ 
  6. Laura Smith-Spark and Roba Alhenawi (জানুয়ারি ৭, ২০১৫)। "Songs and death threats for Lebanese American porn star Mia Khalifa" (ইংরেজি ভাষায়)। CNN। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৫ 
  7. "Mia Khalifa, a Lebanon-born porn star, is getting 'scary' death threats"। BBC। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৮, ২০১৫ 
  8. Taylor Wofford (৬ জানুয়ারি ২০১৫)। "Meet Mia Khalifa, the Lebanese Porn Star Who Sparked a National Controversy" (ইংরেজি ভাষায়)। Newsweek। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৫ 
  9. "Why porn is exploding in the middle east"salon.com (ইংরেজি ভাষায়)। Alternet। ১৫ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ 
  10. "Mia Khalifa's parents furious over porn career" (ইংরেজি ভাষায়)। Ya Libnan। জানুয়ারি ৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৯, ২০১৫ 
  11. Ogilve, Jessica (২০১৫-০৭-২৪)। "Inside Mia Khalifa's Mysterious Rise To Porn Superstardom"Complex (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  12. Adam Taylor (জানুয়ারি ৬, ২০১৫)। "The Miami porn star getting death threats from Lebanon"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৫ 
  13. Saul, Heather। "Mia Khalifa ranked site's top adult actress"The Independent। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৫ 
  14. "The world's 10 most notorious porn stars – Mia Khalifa"Loaded। জুলাই ১৩, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৬ 
  15. "Lebanese porn star Mia Khalifa sparks controversy in Lebanon"Lebanese Examiner। জানুয়ারি ৩, ২০১৫। আগস্ট ১, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৯, ২০১৬ 
  16. Nick Kotecki (জানুয়ারি ৭, ২০১৫)। "Lebanese American porn actress Mia Khalifa receives death threats"Chicago Sun-Times। ৩১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৫ 
  17. "What is Mia Khalifa Religion, Race, Ethnicity and Real Name?" (ইংরেজি ভাষায়)। জানুয়ারি ৮, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১৫ 
  18. Nick Kotecki (জানুয়ারি ৭, ২০১৫)। "Lebanese American porn actress Mia Khalifa receives death threats" (ইংরেজি ভাষায়)। Chicago Sun-Times। ৩১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ