মার্তণ্ড সূর্য মন্দির

স্থানাঙ্ক: ৩৩°৪৪′৪৪″ উত্তর ৭৫°১৩′১৩″ পূর্ব / ৩৩.৭৪৫৫৬° উত্তর ৭৫.২২০২৮° পূর্ব / 33.74556; 75.22028
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মার্তণ্ড সূর্য মন্দির
কেন্দ্রীয় মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাঅনন্তনাগ জেলা
ঈশ্বরসূর্য (মার্তণ্ড)
অবস্থান
অবস্থানকাশ্মীর বিভাগ
রাজ্যজম্মু ও কাশ্মীর
দেশভারত
স্থানাঙ্ক৩৩°৪৪′৪৪″ উত্তর ৭৫°১৩′১৩″ পূর্ব / ৩৩.৭৪৫৫৬° উত্তর ৭৫.২২০২৮° পূর্ব / 33.74556; 75.22028
স্থাপত্য
ধরনপ্রাচীন ভারতীয়
সৃষ্টিকারীললিতাদিত্য মুক্তপিদ
সম্পূর্ণ হয়খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দী
ভাঙনখ্রিস্টীয় ১৫তম শতাব্দী

মার্তণ্ড সূর্য মন্দির হল অষ্টম শতাব্দীর একটি হিন্দু মন্দির, যা কার্কোটা রাজবংশের ললিতাদিত্য মুক্তপিদের কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের কাশ্মীর উপত্যকার অনন্তনাগ শহরের কাছে অবস্থিত। এটি হিন্দু ধর্মের প্রধান সৌর দেবতা সূর্যকে উৎসর্গ করা হয়েছিল; সূর্যকে সংস্কৃত-ভাষার প্রতিশব্দ হল মার্তণ্ড দ্বারাও পরিচিত। সিকান্দার শাহ মিরি মন্দিরটি ধ্বংস করেছিলেন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]

কলহানের মতে, মার্তাণ্ড সূর্য মন্দিরটি খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে ললিতাদিত্য মুক্তপিদ দ্বারা চালু করা হয়েছিল।

ধ্বংস[সম্পাদনা]

জোনারাজা (১৪৩০) ও হাসান আলীর মতে, সুফি প্রচারক মীর মুহম্মদ হামাদানির পরামর্শে সমাজকে ইসলামীকরণের উদ্যোগে সিকান্দার শাহ মিরি (১৩৮৯-১৪১৩) মন্দিরটি ধ্বংস করেছিলেন।[a] ইতিহাসবিদ জোনারাজা, মন্দির ধ্বংসের জন্য তার প্রধান-পরামর্শ নব্য ধর্মান্তরিত একজন ব্রাহ্মণ সুহাভট্টের উপর দোষ চাপিয়েছিলেন। মনে করা হয় যে সুহাভট্ট স্থানীয় হিন্দুদের জন্য তীব্র নিপীড়নের রাজত্ব শুরু করেছিলেন। অপরদিকে আলী বিশেষভাবে ধ্বংসের কারণগুলিকে সিকান্দারের নিজস্ব ধর্ম বিশ্বাস হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন।[১][২][৩]

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

মার্তাণ্ড মন্দিরটি একটি মালভূমির উপরে তৈরি করা হয়েছিল, যেখান থেকে সমগ্র কাশ্মীর উপত্যকাকে দেখা যায়। ধ্বংসাবশেষ এবং সম্পর্কিত প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান থেকে বলা যেতে পারে এটি কাশ্মীরি স্থাপত্যের একটি চমৎকার নমুনা, যা গান্ধার, গুপ্ত ও চৈনিক স্থাপত্যের রূপকে মিশ্রিত করেছিল।[৪][৫]

মূল বেষ্টনীর ভেতর থেকে ধ্বংসাবশেষের পরিদৃশ্য

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Slaje, Walter (২০১৪)। Kingship in Kaśmīr (AD 1148‒1459) From the Pen of Jonarāja, Court Paṇḍit to Sulṭān Zayn al-'Ābidīn। Studia Indologica Universitatis Halensis - 7। Germany। পৃষ্ঠা 28–29, 36, 155–173, 185–189, 201–203, 213–215। আইএসবিএন 978-3869770888 
  2. Pandit, Kashinath (১৯৯১)। Baharistan-i-shahi: A chronicle of mediaeval Kashmir। কলকাতা: Firma KLM Pvt. Ltd.। 
  3. Slaje, Walter (১৯ আগস্ট ২০১৯)। "Buddhism and Islam in Kashmir as Represented by Rājataraṅgiṇī Authors"Encountering Buddhism and Islam in Premodern Central and South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। De Gruyter। পৃষ্ঠা 128–160। আইএসবিএন 978-3-11-063168-5এসটুসিআইডি 204477165ডিওআই:10.1515/9783110631685-006 
  4. Wink, André (১৯৯১)। Al-Hind, the Making of the Indo-Islamic World, Volume 1 By André Wink। পৃষ্ঠা 250–51। আইএসবিএন 9004095098 
  5. Chaitanya, Krishna (১৯৮৭)। Arts Of India By Krishna Chaitanya। পৃষ্ঠা 7। আইএসবিএন 9788170172093