মান্দালয় স্পিটিং কোবরা
মান্দালয় স্পিটিং কোবরা | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | কর্ডাটা (Chordata) |
শ্রেণি: | রেপটিলিয়া (Reptilia) |
বর্গ: | স্কোয়ামাটা (Squamata) |
উপবর্গ: | সারপেন্টস (Serpentes) |
পরিবার: | এলাপিডি(Elapidae) Laurenti, 1768[৩] |
গণ: | Naja Slowinski & Wüster, 2000[২] |
প্রজাতি: | N. mandalayensis |
দ্বিপদী নাম | |
Naja mandalayensis Slowinski & Wüster, 2000[২] |
Mandalay spitting cobra | |
---|---|
Scientific classification | |
Kingdom: | Animalia |
Phylum: | Chordata |
Class: | Reptilia |
Order: | Squamata |
Suborder: | Serpentes |
Family: | Elapidae |
Genus: | Naja Laurenti, 1768[২] |
Species: | N. mandalayensis
|
Binomial name | |
Naja mandalayensis |
মান্দালয় বিষ নিক্ষেপকারী কোবরা ( নাজা ম্যান্ডালায়েনিসিস ), এটি বর্মিজ স্পিটিং কোবরা বা মান্দালয় কোবরা নামে পরিচিত। এটি মিয়ানমারের শুষ্ক কেন্দ্রীয় অঞ্চলের স্থানীয় একটি বিষ নিক্ষেপকারী সর্প প্রজাতি।[১]
ব্যুৎপত্তি
[সম্পাদনা]নাজা ম্যান্দালায়নেসিসকে প্রথম ২০০০ সালে ওলফগ্যাং ওয়েস্টার এবং জোসেফ ব্রুনো স্লোইনস্কি দ্বারা বর্ণিত হয়।[৪] এ সাপের জেনেরিক নাম নাজা সংস্কৃত শব্দ nāgá ( नाग ) এর অর্থ "কোবরা"।[৫] সুনির্দিষ্ট শব্দ ম্যান্ডালায়েনসিস লাতিন হতে এসেছে এবং এর দ্বারা মান্দালয় শহরকে বোঝানো হয়। যা নাজা ম্যান্ডালাইনেসিসের সীমার মধ্যে একটি প্রধান শহর।
বর্ণনা
[সম্পাদনা]এই প্রজাতির কোবরাগুলো দৈর্ঘ্যে মাঝারি আকৃতির এবং ভারী দেহযুক্ত হয়। একটি পূর্ণবয়স্ক সাপের গড় দৈর্ঘ্য ১ থেকে ১.২ মি (৩.৩ থেকে ৩.৯ ফু); দৈহিক বৃদ্ধি হয় ১.৪ মি (৪.৬ ফু)। মাথাটি উপবৃত্তাকার, চাপানো, একটি সংক্ষিপ্ত, বৃত্তাকার তুণ্ড এবং বড় নাকের ছিদ্রযুক্ত মাথা ঘাড় থেকে কিছুটা স্বতন্ত্র। দেহ উত্তরোত্তর সংক্ষিপ্তভাবে এবং উপগোলাকারভাবে সংকুচিত হয়। এর আঁশগুলি মসৃণ এবং দৃঢ়ভাবে তির্যক। চোখের মনি গোলাকার যা আকারে মাঝারি হয়।
এদের দেহ গাঢ় বাদামী ও বাদামি রঙের সাথে হলুদ-বাদামী থেকে নিস্তেজ বাদামি হয়ে কিছুটা গাঢ় হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পেটের দিকে ফ্যাকাশে হয়ে থাকে। নমুনাগুলিতে প্রায়শই দেখা যায় চিবুক এবং গলার নীচে কালো রং থাকে এবং তারপরে আরও ফ্যাকাশে স্বচ্ছ হয় এবং ফণার ভেন্টার জুড়ে ২ বা ৩টি গাঢ় ব্যান্ড থাকে। এই প্রজাতির ফণার ডরসামের কোনও সুস্পষ্ট চিহ্ন নেই, যদিও একটি দর্শনীয় আকারের ফণা চিহ্ন উপস্থিত থাকতে পারে, বিশেষত কিছু কিশোর বয়সে। অন্যান্য বিষ নিক্ষেপকারী কোবরা প্রজাতির মতো তাদেরও এক জোড়া স্থির উপরের বিষদাতঁ রয়েছে যা "স্পিটিং" বিষের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।[৪]
শ্রেণিবিন্যাস
[সম্পাদনা]নাজা |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভৌগোলিক বন্টন
[সম্পাদনা]এই প্রজাতিটি মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় শুকনো অঞ্চলের স্থানীয়, এটি মান্দালয়, ম্যাগওয়ে এবং সাগাইং বিভাগগুলিতে বিস্তৃত। কেন্দ্রীয় শুকনো অঞ্চলটি একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত জলবায়ুর অধিকারী এবং ২০,০০০ কিমি 2 এরও কমের পরিধি সহ অঞ্চল। এই সাধারণ অঞ্চল থেকে এই সাপের কয়েকটি খোজ পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে এবং এটির আনুমানিক পরিধি ১৮,৫০০ কিমি 2 রেকর্ড করা তথ্যের ভিত্তিতে।[৪]
আবাসস্থল
[সম্পাদনা]এই প্রজাতিটি মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় শুকনো অঞ্চলে থাকে। এটি এমন একটি অঞ্চল যেখানে ১,০০০ মিমি (৩৯ ইঞ্চি) বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয়। অঞ্চলটি বাবলা এবং স্টান্ট ডিপটারোপারস্পেসি বনাঞ্চল দ্বারা গঠিত, যদিও এই অঞ্চলটি কৃষিকাজের জন্য নিবিড়ভাবে ব্যবহৃত হয়। মান্দালয় বিষ নিক্ষেপকারী কোবরার নমুনা শুকনো বন এবং শুকনো বাবলার আবাসস্থল হতে সংগ্রহ করা হয়েছে।[৪]
আচরণ এবং ডায়েট
[সম্পাদনা]এই প্রজাতির কোবরা মূলত নিশাচর, সন্ধ্যা বা রাতে এরা শিকার করে। তারা দিনের আলোয় বেশিরভাগ স্থির হয়ে বা রোদে পোহায়।[৬] এই প্রজাতির বিষ নিক্ষেপ করার আচরণ ইন্দোচিনি স্পিটিং কোবরার ( এন. সাইমেনসিস ) মত বলে হার্পেটোলজিস্টরা মতামত ব্যক্ত করেন। মান্দালয় বিষ নিক্ষেপকারী কোবরা সতর্ক এবং প্রতিরক্ষামূলক সাপ, হুমকির মুখোমুখি হলে দ্রুত তাদের মাথা তুলে এবং একটি বিস্তৃত ফণা ছড়িয়ে দেয়। তাদের বিষ নিক্ষেপের জন্য খুব অল্প উস্কানির প্রয়োজন হয়। বিষ নিক্ষেপে তারা ২ মি (৬.৬ ফু) দূরত্ব পর্যন্ত অব্যর্থভাবে বিষ ছুড়ে দিতে পারে। বিষ ছোড়া ছাড়াও, এই প্রজাতিগুলি প্রায়শই জোরে জোরে ফোস ফোস শব্দ করে হুমকির দিকে এগিয়ে যায়।[৪]
এটি মূলত ছোট ছোট ব্যাঙ এবং ব্যাঙের শিকার করে তবে অন্যান্য সাপ, ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং মাঝে মধ্যে এমনকি মাছও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে ।[৭]
বিষ
[সম্পাদনা]এই নির্দিষ্ট প্রজাতির বিষ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। যাইহোক, বিষ নিক্ষেপকারী কোবরার এটি একটি প্রজাতি হিসাবে বিষের মধ্যে সম্ভবত একটি সাইটোঅক্সিক এবং পোস্ট-সিনট্যাপিক নিউরোটক্সিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ Wogan, G.; Stuart, B. (২০১২)। "Naja mandalayensis"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন। 2012: e.T192227A2058297। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2012-1.RLTS.T192227A2058297.en । অজানা প্যারামিটার
|name-list-style=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ ক খ গ "Naja mandalayensis"। ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সোনোমিক ইনফরমেশন সিস্টেম। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "ITIS2" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ "Naja"। ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সোনোমিক ইনফরমেশন সিস্টেম। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Slowinski, J.B.; Wüster, W. (২০০০)। "A New Cobra (Elapidae: Naja) from Myanmar (Burma)" (পিডিএফ): 257–270। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Naja"। The Free Dictionary। Princeton University। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Naja mandalayensis"। Armed Forces Pest Management Board। United States Department of Defense। ১১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Naja mandalayensis"। Clinical Toxinology Resource। University of Adelaide, Australia। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪।