মগওয়ে অঞ্চল

স্থানাঙ্ক: ২০°১৫′ উত্তর ৯৪°৪৫′ পূর্ব / ২০.২৫০° উত্তর ৯৪.৭৫০° পূর্ব / 20.250; 94.750
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মগওয়ে অঞ্চল
မကွေးတိုင်းဒေသကြီး
বিভাগ
মিয়ানমা প্রতিলিপি
 • বর্মিজ ভাষাma. kwe: tuing: desa. kri:
মগওয়ে অঞ্চলের পতাকা
পতাকা
মগওয়ে অঞ্চলের অফিসিয়াল সীলমোহর
সীলমোহর
মায়ানমারে মগওয়ে অঞ্চলের অবস্থান
মায়ানমারে মগওয়ে অঞ্চলের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২০°১৫′ উত্তর ৯৪°৪৫′ পূর্ব / ২০.২৫০° উত্তর ৯৪.৭৫০° পূর্ব / 20.250; 94.750
দেশ মায়ানমার
অঞ্চলকেন্দ্রীয়
রাজধানীমগওয়ে
সরকার
 • প্রধান মন্ত্রীঅং মো ন্যাইও (এনএলডি)
 • মন্ত্রিসভামগওয়ে আঞ্চলিক সরকার
 • আইনসভামগওয়ে অঞ্চল হ্লুত্তাও
 • বিচারবিভাগমগওয়ে আঞ্চলিক উচ্চ আদালত
আয়তন
 • মোট৪৪,৮২০.৬ বর্গকিমি (১৭,৩০৫.৩ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম৪র্থ
জনসংখ্যা (২০১৪ সালের বর্মী আদমশুমারী)[১]
 • মোট৩৯,১৭,০৫৫
 • ক্রম৭ম
 • জনঘনত্ব৮৭/বর্গকিমি (২৩০/বর্গমাইল)
বিশেষণMagwegian
Demographics
 • Ethnicitiesবামার, চিন জনগোষ্ঠী, রাখাইন জনগোষ্ঠী, শান জনগোষ্ঠী, কারেন জনগোষ্ঠী
 • ধর্মবৌদ্ধ ৯৮.৮%
খ্রিস্টান ০.৭%
ইসলাম ০.৩%
হিন্দু ০.১%
সর্বপ্রাণবাদ ০.১%
সময় অঞ্চলমিয়ানমার স্ট্যান্ডার্ড টাইম (ইউটিসি+০৬:৩০)
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৭)০.৫৬০[২]
medium। ষষ্ঠ

মগওয়ে অঞ্চল (বর্মী: မကွေးတိုင်းဒေသကြီး, উচ্চারিত: [məɡwé táiɰ̃ dèθa̰ dʑí], পূর্বে মগওয়ে বিভাগ) হচ্ছে মধ্য মায়ানমারের একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এটি মায়ানমারের সাতটি বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম, যার আয়তন ৪৪,৮২০ বর্গ কিলোমিটার (১৭,৩০৬ বর্গ মাইল)। পা দেল বাঁধ (ပဒဲဆည်) মগওয়ে বিভাগের অংলান টাউনশিপের অন্যতম বাঁধ। মগওয়ে বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং রাজধানী হচ্ছে মগওয়ে। সবচেয়ে বৃহত্তম শহর হচ্ছে পাকোক্কু। মগওয়ে বিভাগের প্রধান শহরগুলি হল মগওয়ে, পাকোক্কু, চক, অংলান, ইয়েনাঙ্গিয়াউং, তাউংডুইঙ্গি, মিনবু, থায়েত এবং গাঙ্গাও।

ভূগোল[সম্পাদনা]

মগওয়ে অঞ্চল উত্তর অক্ষাংশ ১৮° ৫০' থেকে ২২° ৪৭' এবং পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ৯৩° ৪৭' থেকে ৯৫° ৫৫' -এর মধ্যে অবস্থিত। এটি উত্তরে সাগাইং অঞ্চল, পূর্বে মান্দালয় অঞ্চল, দক্ষিণে বাগো অঞ্চল, এবং পশ্চিমে রাখাইন রাজ্যচিন রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

৪০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি পুরনো প্রাচীন প্রাইমেটদের জীবাশ্ম মগওয়ে অঞ্চলের পাকোক্কু জেলার পুন্দাং এবং পোনিয়া এলাকায় খনন করে উদ্ধার করা হয়। যার ফলে মিয়ানমার সরকার মিয়ানমারকে বিশ্ব মানবতার জন্মস্থান হিসেবে ঘোষণা করে, যা নৃতত্ত্ববিদরা সমর্থন করে না। প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো পিয়ু শহরের একটি প্রাচীন শহর পেইকথানো-ম্যিও, মগওয়ে অঞ্চলের টাউংডুইঙ্গি টাউনশিপে অবস্থিত।

মগওয়ে অঞ্চলের ইতিহাস মধ্য বার্মার অন্যান্য বিভাগের ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটায়। মগওয়ে অঞ্চলের প্রাচীন নাম মিনবু অঞ্চল (বা) মিনবু প্রদেশ। মিনবু অঞ্চল ৩ জেলা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। এগুলো ছিল- তারা মিনবু জেলা, থায়েত জেলা, এবং ইয়েনাঙ্গিয়াং জেলা। এর রাজধানী ছিল ইয়েনাঙ্গিয়াং।

১৯৬২ সালের ২ মার্চ জেনারেল নে উইনের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বার্মার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং সরকার সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৯৭৪ সালে বার্মা ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের একটি নতুন সংবিধান গৃহীত হয়।

মিনবু অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করে মগওয়ে অঞ্চল করা হয় এবং ইয়েনাঙ্গিয়াং জেলা বিলুপ্ত করা হয়। মগওয়ে জেলা ৬ টাউনশিপ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকোক্কু পার্বত্য এলাকা বা পাকোক্কু প্রদেশ বিলুপ্ত করা হয়, এবং পাকোক্কু জেলা মগওয়ে বিভাগে যুক্ত করা হয়। এবং মিন্দাত জেলা চিন রাজ্যে যুক্ত করা হয়। এরপর মগওয়ে অঞ্চল ৪ টি জেলায় বিভক্ত করা হয়: মগওয়ে জেলা, মিনবু জেলা, থাইত জেলা এবং পাকোক্কু জেলা। এর রাজধানী শহর ইয়েনাঙ্গিয়াং থেকে মগওয়েতে পরিবর্তন করা হয়।

১৯৯৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল পাকোক্কু জেলাকে দুটি জেলায় বিভক্ত করা হয়: পাকোক্কু জেলা ও গঙ্গাও জেলা। বর্তমানে, মগওয়ে অঞ্চলে মোট ৫ জেলা এবং ২৫ টি টাউনশিপ আছে।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ইয়েনাঙ্গোয়াং এর একটি তেলক্ষেত্র

মগওয়ে অঞ্চলের প্রধান পণ্য হচ্ছে পেট্রোলিয়াম। এ অঞ্চলে বার্মার অধিকাংশ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদিত হয়। ম্যাগওয়ে অঞ্চলের তেল ক্ষেত্র মান, ইয়েনাঙ্গিয়াউং, চাউক, কিয়াউক-খোয়াত, লেটপান্ডো এবং আয়াদাউতে অবস্থিত।[৩]

২০০২ সালের মে মাসে রাশিয়া মিয়ানমারকে ১০ মেগাওয়াট পারমাণবিক চুল্লী এবং এই অঞ্চলে দুটি গবেষণাগার নির্মাণে সহায়তা করতে সম্মত হয়।[৪] অন্যান্য শিল্পের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, তুলা বুনন, তামাক, লোহা ও ব্রোঞ্জ শিল্প। মগওয়ে অঞ্চল প্রচুর পরিমাণে ভোজ্য তেল এবং পেট্রোলিয়াম উৎপাদন করে, যার ফলে মায়ানমারের তেলের পাত্র হিসেবে এটি খ্যাতি অর্জন করে।

পাকোক্কু হচ্ছে আপার মায়ানমারের (বার্মা) বৃহত্তম চালের বাজার। কৃষি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উৎস, প্রধান ফসল হচ্ছে সেসামাম এবং গ্রাউন্ডনাট। অন্যান্য ফসল হিসেবে ধান, মিলেট, ভুট্টা, সূর্যমুখী, শিম এবং ডাল, তামাক, টডি, মরিচ, পেঁয়াজ এবং আলু উৎপাদিত হয়। মগওয়ে অঞ্চলের বিখ্যাত পণ্যের মধ্যে রয়েছে থানাকা (লিমোনিয়া এসিডিসিমা) এবং ফাঙ্গার (চেবুলিক মাইরোবালান) ফল।

শুধুমাত্র পাকোক্কু এবং ইয়েনাঙ্গিয়াং -এ শিল্প অঞ্চল আছে।

প্রশাসনিক বিভাগ[সম্পাদনা]

মগওয়ে অঞ্চলের জেলাগুলি হল মগওয়ে, মিনবু, থায়েত, পাকোক্কু এবং গাঙ্গাও। এবং এটি ২৫টি টাউনশিপ এবং ১,৬৯৬টি ওয়ার্ড গ্রাম নিয়ে গঠিত। এর রাজধানী শহর মগওয়ে (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৮৪,৭৫৪) এবং এর বৃহত্তম শহর পাকোক্কু (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ১০৭,৫৫৭)।

অন্যান্য প্রধান শহরগুলি হল- চক (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৫৪,১৩৮), অংলান (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৫২,৮৬৫), ইয়েনাঙ্গিয়াউং (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৪৯,৫৮৮), তাউংডুঙ্গি (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা হিসাবে আনুমানিক ৪৭,৫৩৭)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Census Report। The 2014 Myanmar Population and Housing Census। 2। Naypyitaw: Ministry of Immigration and Population। মে ২০১৫। পৃষ্ঠা 17। 
  2. "Sub-national HDI - Area Database - Global Data Lab"hdi.globaldatalab.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৩ 
  3. মায়ানমার তথ্য মন্ত্রণালয় (২০৯২) Myanmar, facts and figures 2002 Union of Myanmar Ministry of Information, Yangon, page 42 ওসিএলসি ৫০১৩১৬৭১
  4. "বার্মার পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্খা"। ইরাবতী মে ৩০, ২০০৭। ২০১০-১১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৩