মহীকাণ্ঠা এজেন্সি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মহীকাণ্ঠা এজেন্সি
ব্রিটিশ ভারতের এজেন্সি
১৮২০–১৯৩৩

গুজরাতের মহীকাণ্ঠা এজেন্সি
রাজধানীসাদরা
আয়তন 
• ১৯০১
৮,০৯৪ বর্গকিলোমিটার (৩,১২৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা 
• ১৯০১
৩,৬১,৫৪৫
ইতিহাস 
• প্রতিষ্ঠিত
১৮২০
১৯৩৩
উত্তরসূরী
পশ্চিম ভারত রাজ্য এজেন্সি

মহীকাণ্ঠা এজেন্সি ছিলো ব্রিটিশ ভারতের একটি রাজনৈতিক এজেন্সি, যা বোম্বে প্রেসিডেন্সির ব্রিটিশ সরকারের সাথে উক্ত অঞ্চলের দেশীয় রাজ্যগুলির সম্পর্ক স্থাপন করতো৷[১] ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে এজেন্সিটির দাঁতা রাজ্য ব্যতীত সমগ্র মহীকাণ্ঠা এজেন্সি পশ্চিম ভারত রাজ্য এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷[২] এজেন্সিটির মোট ক্ষেত্রফল ছিলো ৮,০৯৪ কিমি (৩,১২৫ মা) এবং ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে জনসংখ্যা ছিলো ৩,৬১,৫৪৫ জন৷

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮০৩ থেকে ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ব্রিটিশ ও মারাঠাদের মধ্যে সংঘটিত হওয়া দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধর পর থেকে এই অঞ্চলের রাজ্যগুলির ব্রিটিশ প্রভাবিত হওয়া শুরু করে। ১৮১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মারাঠা সাম্রাজ্যের পতন শুরু হলে ব্রিটিশ সরকার বরোদা রাজ্যের শাসককে মাধ্যম বানিয়ে মহীকাণ্ঠা এজেন্সির রাজ্যগুলি থেকে কর আদায় করে বার্ষিক হারে ব্রিটিশদের তা দেওয়ার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করান। ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে বরোদা দেশের অন্য কোন রাজ্যে নিজের সৈন্যদল পাঠাতে নারাজ থাকলে ব্রিটিশরা নিজে থেকেই সম্পূর্ণ অঞ্চলের উপর নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৩০ এর দশকে, ১৮৫৭-৫৮ এবং ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতজুড়ে কিছু বিশৃঙ্খলা দেখা দিলেও এই অঞ্চল ছিল যথেষ্ট শান্ত এবং সুরক্ষিত। তবে ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বিজয়নগর রাজ্যের স্থানীয় ভিলরা তাদের শাসকদের প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাকে বিতাড়িত করার ঘটনা ঘটে।[৩]

মহীকাণ্ঠা ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ভয়ঙ্কর খরা হয়, ফলস্বরূপ ১৮৯১-১৯০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা জনসংখ্যা ৩৮% হ্রাস পায়। এই অঞ্চলের জনসংখ্যা অধিকাংশই ছিল ভিল এবং কোলী। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে আমেদাবাদ থেকে অম্বলিয়ারা রাজ্যের নিকটস্থ পরন্তী হয়ে আহমেদনগর পর্যন্ত রেললাইন দীর্ঘায়িত করা হয়। এজেন্সির সদর সাদরাতে স্কট কলেজ নামে একটি ব্রিটিশ পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়, এটি ছাড়া সাদরাতে আরো একটি, ইদার ও মাণসাতে ছিল ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

প্রশাসনিক পরিণতি[সম্পাদনা]

১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে মহীকাণ্ঠা এবং বনাসকাণ্ঠা এই দুটি এজেন্সিকে একত্রিত করা হয়। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে বনাসকাণ্ঠা পালনপুর এজেন্সি নামে পরিচিত ছিল। পরে পালনপুর এজেন্সির পালনপুর রাজ্যকে রাজপুতানা এজেন্সির অন্তর্ভুক্ত করা হলে বাকি দেশীয় রাজ্যগুলি কে মহীকাণ্ঠা এজেন্সির অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর মহীকাণ্ঠা এজেন্সির রাজ্য গুলি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। স্বাধীন ভারতে প্রাথমিকভাবে এগুলি বোম্বে রাজ্যের উত্তর দিকের জেলাগুলির মধ্যে বন্টিত হয়। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে ভাষার ভিত্তিতে বোম্বে রাজ্য গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র নামে দুটি রাজ্যে বিভক্ত হলে পূর্বতন এই মহীকাণ্ঠা এজেন্সি গুজরাত রাজ্যের অংশীভূত হয়।

দেশীয় রাজ্যের তালিকা[সম্পাদনা]

মহীকাণ্ঠা এজেন্সির থানা এবং রাজ্যগুলির মানচিত্র

এই এজেন্সির দেশীয় রাজ্যগুলি নিম্নলিখিত প্রকারের বিভক্ত ছিল:

তোপ সেলামী রাজ্য[সম্পাদনা]

প্রথম শ্রেণীর রাজ্য[সম্পাদনা]

  • ইদার (মহারাজা উপাধি), এটি ছিল ১৫ তোপ সেলামী সম্মানপ্রাপ্ত একটি রাজ্য যা এজেন্সিটির অর্ধেক ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত ছিল।

দ্বিতীয় শ্রেণীর রাজ্য[সম্পাদনা]

  • দাঁতা (মহারাণা উপাধি), এটি ছিল ১১ তোপ সেলামী সম্মানপ্রাপ্ত একটি রাজ্য।

অ-তোপ সেলামী রাজ্য[সম্পাদনা]

তৃতীয় শ্রেণীর রাজ্য[সম্পাদনা]

চতুর্থ শ্রেণীর রাজ্য[সম্পাদনা]

পঞ্চম শ্রেণীররাজ্য[সম্পাদনা]

ষষ্ঠ শ্রেণীর রাজ্য[সম্পাদনা]

মহীকাণ্ঠা এজেন্সি, ১৮৭৮

সপ্তম শ্রেণীর রাজ্য[সম্পাদনা]

  • দেলোলি
  • গাবাত
  • ইজপুরা
  • কাসলপুরা
  • মেমদপুরা
  • পালেজ
  • রামপুরা
  • রাণীপুরা
  • তেজপুরা
  • টিম্বা
  • উমরি
  • বীরসোদা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Gazetteer of the Bombay Presidency"
  2. Arnold Wright ed. Indian States: A Biographical, Historical, and Administrative Survey. 1922.
  3. William Lee-Warner, The Native States Of India (1910)