ভোলানাথ রায় কাব্যশাস্ত্রী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভোলানাথ রায়

কাব্যশাস্ত্রী
জন্ম১৮৯১ (১২৯৭ বঙ্গাব্দ)
মৃত্যু১৯৩৩ (১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)
পেশানাটক রচয়িতা ও যাত্রা পালাকার
পিতা-মাতা
  • নুটবিহারী রায় (পিতা)

ভোলানাথ রায় কাব্যশাস্ত্রী (১৮৯১―১৯৩৩) একজন খ্যাতনামা বাঙালি যাত্রা পালাকার ও নাটক রচয়িতা।[১]

অবদান[সম্পাদনা]

ভোলানাথ রায় পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়ান গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম নুটবিহারী রায়। বর্ধমান মিউনিসিপাল হাইস্কুলে দশম শ্রেনী অব্দি লেখাপড়া করার পর যাত্রাপালা রচনা করতে থাকেন। যাত্রাপালায় তাঁর প্রথম নাটক কুবলাশ্ব। গণেশ অপেরার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেখানেই তাঁর নাটক সবচেয়ে বেশি অভিনীত হয়।[২][৩] দার্শনিক যুক্তিতর্কের চাতুর্যময় সংলাপ বুননের প্রথম কৃতিত্ব তার। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুররামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী অগাধ পাণ্ডিত্যের তাঁকে কাব্যশাস্ত্রী অভিধায় ভূষিত করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হাটে-মাঠে খোলা প্রান্তরে যাত্রা প্রদর্শনী যখন করা কঠিন হয়ে পড়ে, তখন তার পৃথিবী পালাটি মঞ্চায়িত হয় কলকাতার মনমোহন থিয়েটারে ১৯১৬ সালের ১৬ অক্টোবর। প্রসেনিয়াম মঞ্চে বিশেষ ব্যবস্থায় এটাই প্রথম যাত্রানুষ্ঠান। এ যাত্রা সম্পর্কে অমৃতবাজার পত্রিকা লেখে The Ganesh opera party held a performance of the grand mythological five-act drama Babu Bholanath Roy called the Prithivi on the Stage of Monomohon Theatre, which was filled up with the highest number of enthusiastic audience. ইংরেজ শাসকরা তাঁর রচিত জরাসন্ধ পালাটি বাজেয়াপ্ত করে।[৪]

রচিত গ্রন্থ[৩][সম্পাদনা]

  • আদিশূর (১৯২৩)
  • জগদ্ধাত্রী (১৯৩০)
  • কৈকেয়ী (১৯৩৬)
  • জাহ্নবী (১৯৩৯)
  • দাক্ষিণাত্য (১৯২৪)
  • বামনাবতার (১৯৩৩)
  • নরকাসুর (১৯২৪)
  • পঞ্চনদ
  • ধনুর্যজ্ঞ
  • জরাসন্ধ
  • পৃথিবী[৫]
  • কালচক্র
  • বিন্ধ্যাবলী
  • বজ্রদৃষ্টি
  • প্রানেপ্রানে
  • অজাতশত্রু

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ঘোষ, সৌরীন্দ্রকুমার (১৯৮৩)। সাহিত্যসেবক মঞ্জুষা: গ্রন্থকার চরিতাভিধান। ২য় খণ্ড। সাহিত্যলোক। 
  2. বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ, প্রথম খন্ড (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩৮৫। আইএসবিএন 978-8179551356 
  3. "ভোলানাথ রায় কাব্যশাস্ত্রী - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার"bn.wikisource.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১০ 
  4. মিলন কানাতি দে (৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "বাংলার যাত্রা : বাঁকে বাঁকে এবং একুশ শতকে"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১০ 
  5. Sāhityika barshapañji। Puśtaka Bipaṇi। ১৯৮২।