ব্যবহারকারী:DeloarAkram/মোঃ শাহজাহান আলম সাজু

অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু
সচিব, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট
কাজের মেয়াদ ০১ জানুয়ারি ২০০৯ – বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ
কাজের মেয়াদ ১১ মার্চ ২০১১ – বর্তমান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম	(1967-06-30) ৩০ জুন ১৯৬৭ আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতীয়তা	বাংলাদেশী
রাজনৈতিক দল	বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গী	রোকসানা শাহজাহান কাকলী
সন্তান	দুই ছেলে (সাইয়ান ইবতেসাম খান মাহদী ও সাবকাত ইবতেশাম রাহদী)
পিতামাতা	মোঃ সামসুল হক
শিক্ষা	বিবিএ (সম্মান), এমবিএ (হিসাববিজ্ঞান)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী	ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ, ঢাকা গভঃ কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট
পেশা	শিক্ষকতা ও রাজনীতিবিদ
ওয়েবসাইট	https://shahjahanshaju.home.blog/

মোঃ শাহজাহান আলম সাজু একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং আলোচিত শিক্ষক নেতা। তিনি বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব পদে কর্মরত আছেন। তিনি শিক্ষকদের সংগঠন বৃহত্তম সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। তিনি ২০০৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কতৃক চট্টগ্রাম বিভাগের কারিগরি শাখায় শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০২১ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের সিন্ডিকেট সদস্য মনোনীত হয়েছেন।

জন্ম ও পরিচয়

শাহজাহান আলম সাজু ১৯৬৭ সালের ৩০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বৈকণ্ঠপুর (বড়তল্লা) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদা মৌলভী আলী সরকার ছিলেন আশুগঞ্জ বন্দরের একজন নামকরা ব্যবসায়ী। তার পিতা জনাব সামসুল হক ছিলেন একজন রেলওয়ে সরকারি কর্মকর্তা এবং রেলওয়ে শ্র্রমিক লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

শিক্ষা জীবন

সাজু আশুগঞ্জ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক পড়াশোনা করেছেন। তিনি হাজী আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেছেন। এরপর ১৯৮৪ সালে ঢাকা গভঃ কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা-ইন-কমার্সে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এরপর তিনি ১৯৮৯ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ থেকে কৃতিত্বের সাথে হিসাববিজ্ঞানে বিবিএ এবং ১৯৯০ সালে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।

রাজনৈতিক জীবন

ছাত্র রাজনীতি

তিনি ছাত্রজীবন থেকেই সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি ঢাকা মহানগর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ঢাকা গভঃ কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহবায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় কার্যকরী সংসদ কমিটির দুইবার সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমবার সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হিসাবে ও পরবর্তীতে সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৮৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ করায় কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন। পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের ফলে কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে দেন। ১৯৮৮ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ আগমন করলে রাস্তায় শুয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ছাত্রদের দাবি আদায় করেন। তিনি ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তাকে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৮৫ সালে ঢাকা জজকোর্ট চত্বরে ছাত্রলীগের মিছিলে বোমা হামলায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। ১৯৯০ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর থেকে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে সাধারণ ছাত্ররা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এই আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ-বিডিআর যৌথভাবে ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে সাজু সহ ১২ ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করে।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে চ্যালেঞ্জ নামে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এবং ক্যাম্পাসের সন্নিকটে শেখপাড়ায় বঙ্গবন্ধু পল্লী স্থাপন করেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

জাতীয় রাজনীতি

তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্র্রীয় শিক্ষা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। তিনি স্বাধীনতাপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন বৃহত্তম সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।

কর্মজীবন

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় বঙ্গবন্ধু কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি এই মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। এছাড়া তিনি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বেসরকারি কারিগরি শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব টিচার্স ইউনিয়নের প্রথম সেক্রেটারি, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন কমিটির একজন সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি, জাতীয় বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য।

২০০৭ সালে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মিছিলে পুলিশী হামলায় শাহজাহান আলম সাজু গুরুতর আহত হন।

প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

তিনি নিজ এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেগুলো হল।

• প্রতিষ্ঠাতাঃ বঙ্গবন্ধু কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
• প্রতিষ্ঠাতাঃ জাহানারা কুদ্দুস ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
• প্রতিষ্ঠাতাঃ প্রিন্সিপাল শাহজাহান ফাউন্ডেশন স্কুল, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
• প্রতিষ্ঠাতাঃ ভালুকা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, ভালুকা, ময়মনসিংহ
• প্রতিষ্ঠাতাঃ এলেঙ্গা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ভুয়াপুর, টাঙ্গাইল

সম্মাননা ও পুরস্কার

• ২০০৯ সালে শ্রেষ্ঠ কারিগরি অধ্যক্ষ পুরস্কার (চট্টগ্রাম বিভাগ), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কতৃক
• ২০২০ সালে স্টার অব দি ইয়ার পুরস্কার (২০২০), নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোশিয়েশন কতৃক
• ২০১৮ সালে মৈত্রী সম্মাননা- ১৭ পুরস্কার, ভারতের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘খোলামন’ কতৃক

প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ

শাহজাহান আলম সাজু একজন লেখক ও সাংবাদিক হিসেবেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও আশুগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন, এবং এর প্রথম সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের তালিকাঃ

• শেখ হাসিনা যখন কারাগারে
• বিশ্ববিজয়ী শেখ হাসিনা
• মুক্তিযুদ্ধ এবং আশুগঞ্জ
• ফিরে দেখা ওয়ান ইলেভেন
• ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু
• ইসলাম, জঙ্গীবাদ ও বঙ্গবন্ধু
• ইসলামের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার
• শেকড়ের সন্ধানে
• আশুগঞ্জে ইসলাম
• স্মৃতিতে জিল্লুর রহমান
• মুক্তি সংগ্রামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রভৃতি।