বোম্বে টু গোয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বোম্বে টু গোয়া
পরিচালকমেহমুদ, এস রামনাথন
প্রযোজকমেহমুদ, এন সি সিপ্পি
রচয়িতারাজেন্দ্র কৃষ্ণ (সংলাপ)
ঊষালাই সোমনাথন (গল্প)
শ্রেষ্ঠাংশেঅমিতাভ বচ্চন
অরুণা ইরানি
মেহমুদ
সুরকাররাহুল দেব বর্মণ
চিত্রগ্রাহকজল মিস্ত্রী
সম্পাদকএ পাল দুরাই সিংহম
প্রযোজনা
কোম্পানি
মেহমুদ প্রোডাকশন্স
মুক্তিমার্চ ৩, ১৯৭২
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
আয়প্রা. 1 crore
(প্রা. 27.2 crore as of 2019) [১]

বোম্বে টু গোয়া (হিন্দি: बॉम्बे टू गोवा) হচ্ছে ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি চলচ্চিত্র। হাস্যরসাত্মক অপরাধ ধাঁচের এই চলচ্চিত্রে কিছুটা প্রণয়ধর্মীয় গন্ধও ছিলো তবে অন্যভাবে দেখলে এই চলচ্চিত্রটি ছিলো একটি ভ্রমণকাহিনী ভিত্তিক (বাস ভ্রমণ)। চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছিলেন মেহমুদ[২] (ষাট এবং সত্তরের দশকের হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের হাস্যরসাত্মক অভিনেতা) যিনি চলচ্চিত্রটিতে একজন বাস কন্ডাক্টরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটিতে আরো অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অরুণা ইরানি এবং শত্রুঘ্ন সিনহা, এছাড়াও ছিলেন খ্যাতিমান গায়ক কিশোর কুমার যদিও তিনি বেশীক্ষণ অভিনয় করেননি।

চলচ্চিত্রটির কাহিনী দর্শকদের ভালো না লাগলেও রাহুল দেব বর্মণের সুর করা গানগুলো আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো।[৩]

এই চলচ্চিত্রটি আসলে ছিলো ১৯৬৬ সালের তামিল চলচ্চিত্র 'মাদ্রাজ টু পন্ডিচেরি'-এর পুনঃনির্মাণ।[৪]

কাহিনী[সম্পাদনা]

একটি পত্রিকায় তাদের মেয়ে মালার (অরুনা ইরানি) ছবি দেখলে আত্মারাম (নাজির হুসেন) এবং তার স্ত্রী (দুলারী) এর জীবন উল্টো হয়ে যায়। তারা রামলাল (আগা) এর ছেলের সাথে মালার বিয়ের ব্যবস্থা করে। মালা যার সাথে সাক্ষাত করেন নি তাকে বিয়ে করার বিরোধিতা করেছেন এবং একই সঙ্গে তিনি রোমাঞ্চিত হয়েছেন যে তিনি দু'জন ব্যক্তির উপর নির্ভর করেছিলেন, একটি বর্মা (শত্রুঘ্ন সিনহা), এবং অন্য শর্মা (মনমোহন) তার ছবিগুলি একটি ম্যাগাজিনে জমা দিয়েছিলেন, এবং এখন তাকে বলিউড সিনেমার জন্য সাইন আপ করতে রাজি ছিল। খ্যাতি নিয়ে যাওয়ার পথে মালা তার বাবা-মায়ের বিরোধিতা বুঝতে পারছে না এবং প্রচুর অর্থ নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এই অর্থ শর্মা এবং বর্মার হাতে তুলে দেয়। লোভ শর্মা এবং বর্মাকে ছাড়িয়ে যায় এবং শর্মার মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করে। বর্মা শর্মাকে হত্যা করার সাক্ষী মালা এখন তার জীবন নিয়ে পালাচ্ছেন। তিনি বোম্বাইয়ের একটি বাসে চড়ে যা গোয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বর্মা শীঘ্রই তাকে পরাস্ত করে, এবং তাকে হত্যা করার জন্য বাসে তার একজন সশস্ত্র লোক রয়েছে। এবং তারপরে মালার প্রশংসক রবীকুমার (অমিতাভ বচ্চন) এসে পৌঁছেছেন, যিনি কেবল মালাকে রক্ষা করেন না, যাত্রা জুড়েও তাঁর সঙ্গী হন। মালা বিশ্বাস করতে শুরু করে এবং পরে রবীকুমারের প্রেমে পড়ে যায়। পুরো ভারত, বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের সমস্ত যাত্রী একসাথে মিশ্রিত যাত্রীদের সাথে বাসের যাত্রা সাহসী। বাসটি চালক রাজেশ (আনোয়ার আলী), এবং কন্ডাক্টর, খান্না (মেহমুদ) এর "নিয়ন্ত্রণ" এর মধ্যে রয়েছে ।তখন সে তার ভালবাসা এবং তার বিশ্বস্ত লোকদের বাস্তবতা পেয়ে যায়।

অভিনয়ে[সম্পাদনা]

গানের তালিকা[সম্পাদনা]

রাহুল দেব বর্মণ ছিলেন চলচ্চিত্রটির গানগুলোর সুরকার।

  1. "দেখা না হায়ে রে" - কিশোর কুমার
  2. "তুম মেরি যিন্দেগি মেঁ" - কিশোর কুমার, লতা মঙ্গেশকর
  3. "লিসেন টু দ্যা পউরিং রেইন" - ঊষা উথুপ
  4. "দিল তেরা হ্যায়" - লতা মঙ্গেশকর, কিশোর কুমার
  5. "হায়ে হায়ে ইয়ে ঠাণ্ডা পানি" - আশা ভোঁসলে
  6. "ইয়ে ম্যাহকি ম্যাহকি ঠাণ্ডি হাওয়া" - কিশোর কুমার

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]