মগওয়ে অঞ্চল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
স ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
- (By FindAndReplace) ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
৮৫ নং লাইন: | ৮৫ নং লাইন: | ||
মগওয়ে অঞ্চল উত্তর অক্ষাংশ ১৮° ৫০' থেকে ২২° ৪৭' এবং পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ৯৩° ৪৭' থেকে ৯৫° ৫৫' -এর মধ্যে অবস্থিত। এটি উত্তরে সাগাইং অঞ্চল, পূর্বে [[মান্দালয় অঞ্চল]], দক্ষিণে [[বাগো অঞ্চল]], এবং পশ্চিমে [[রাখাইন রাজ্য]] ও [[চিন রাজ্য]] দ্বারা বেষ্টিত। |
মগওয়ে অঞ্চল উত্তর অক্ষাংশ ১৮° ৫০' থেকে ২২° ৪৭' এবং পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ৯৩° ৪৭' থেকে ৯৫° ৫৫' -এর মধ্যে অবস্থিত। এটি উত্তরে সাগাইং অঞ্চল, পূর্বে [[মান্দালয় অঞ্চল]], দক্ষিণে [[বাগো অঞ্চল]], এবং পশ্চিমে [[রাখাইন রাজ্য]] ও [[চিন রাজ্য]] দ্বারা বেষ্টিত। |
||
==ইতিহাস== |
==ইতিহাস== |
||
৪০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি পুরনো প্রাচীন প্রাইমেটদের জীবাশ্ম |
৪০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি পুরনো প্রাচীন প্রাইমেটদের জীবাশ্ম মগওয়ে অঞ্চলের পাকোক্কু জেলার পুন্দাং এবং পোনিয়া এলাকায় খনন করে উদ্ধার করা হয়। যার ফলে মিয়ানমার সরকার মিয়ানমারকে বিশ্ব মানবতার জন্মস্থান হিসেবে ঘোষণা করে, যা নৃতত্ত্ববিদরা সমর্থন করে না। প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো পিয়ু শহরের একটি প্রাচীন শহর পেইকথানো-ম্যিও, মগওয়ে অঞ্চলের টাউংডুইঙ্গি টাউনশিপে অবস্থিত। |
||
মগওয়ে অঞ্চলের ইতিহাস মধ্য বার্মার অন্যান্য বিভাগের ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটায়। মগওয়ে অঞ্চলের প্রাচীন নাম মিনবু অঞ্চল (বা) মিনবু প্রদেশ। মিনবু অঞ্চল ৩ জেলা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। এগুলো ছিল- তারা মিনবু জেলা, থায়েত জেলা, এবং ইয়েনাঙ্গিয়াং জেলা। এর রাজধানী ছিল ইয়েনাঙ্গিয়াং। |
|||
১৯৬২ সালের ২ মার্চ জেনারেল নে উইনের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বার্মার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং সরকার সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৯৭৪ সালে বার্মা ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের একটি নতুন সংবিধান গৃহীত হয়। |
১৯৬২ সালের ২ মার্চ জেনারেল নে উইনের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বার্মার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং সরকার সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৯৭৪ সালে বার্মা ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের একটি নতুন সংবিধান গৃহীত হয়। |
||
মিনবু অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করে |
মিনবু অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করে মগওয়ে অঞ্চল করা হয় এবং ইয়েনাঙ্গিয়াং জেলা বিলুপ্ত করা হয়। মগওয়ে জেলা ৬ টাউনশিপ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকোক্কু পার্বত্য এলাকা বা পাকোক্কু প্রদেশ বিলুপ্ত করা হয়, এবং পাকোক্কু জেলা মগওয়ে বিভাগে যুক্ত করা হয়। এবং মিন্দাত জেলা চিন রাজ্যে যুক্ত করা হয়। এরপর মগওয়ে অঞ্চল ৪ টি জেলায় বিভক্ত করা হয়: মগওয়ে জেলা, মিনবু জেলা, থাইত জেলা এবং পাকোক্কু জেলা। এর রাজধানী শহর ইয়েনাঙ্গিয়াং থেকে মগওয়েতে পরিবর্তন করা হয়। |
||
১৯৯৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল পাকোক্কু জেলাকে দুটি জেলায় বিভক্ত করা হয়: পাকোক্কু জেলা ও গঙ্গাও জেলা। বর্তমানে, |
১৯৯৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল পাকোক্কু জেলাকে দুটি জেলায় বিভক্ত করা হয়: পাকোক্কু জেলা ও গঙ্গাও জেলা। বর্তমানে, মগওয়ে অঞ্চলে মোট ৫ জেলা এবং ২৫ টি টাউনশিপ আছে। |
||
==প্রশাসনিক বিভাগ== |
==প্রশাসনিক বিভাগ== |
||
মগওয়ে অঞ্চলের জেলাগুলি হল মগওয়ে, মিনবু, থায়েত, পাকোক্কু এবং গাঙ্গাও। এবং এটি ২৫টি টাউনশিপ এবং ১,৬৯৬টি ওয়ার্ড গ্রাম নিয়ে গঠিত। এর রাজধানী শহর মগওয়ে (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৮৪,৭৫৪) এবং এর বৃহত্তম শহর পাকোক্কু (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ১০৭,৫৫৭)। |
|||
অন্যান্য প্রধান শহরগুলি হল- চক (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৫৪,১৩৮), অংলান (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৫২,৮৬৫), ইয়েনাঙ্গিয়াউং (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৪৯,৫৮৮), তাউংডুঙ্গি (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা হিসাবে আনুমানিক ৪৭,৫৩৭)। |
অন্যান্য প্রধান শহরগুলি হল- চক (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৫৪,১৩৮), অংলান (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৫২,৮৬৫), ইয়েনাঙ্গিয়াউং (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৪৯,৫৮৮), তাউংডুঙ্গি (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা হিসাবে আনুমানিক ৪৭,৫৩৭)। |
১০:২৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মগওয়ে অঞ্চল မကွေးတိုင်းဒေသကြီး | |
---|---|
বিভাগ | |
মিয়ানমা প্রতিলিপি | |
• বর্মিজ ভাষা | ma. kwe: tuing: desa. kri: |
মায়ানমারে মগওয়ে অঞ্চলের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২০°১৫′ উত্তর ৯৪°৪৫′ পূর্ব / ২০.২৫০° উত্তর ৯৪.৭৫০° পূর্ব | |
দেশ | মায়ানমার |
অঞ্চল | কেন্দ্রীয় |
রাজধানী | মগওয়ে |
সরকার | |
• প্রধান মন্ত্রী | অং মো ন্যাইও (এনএলডি) |
• মন্ত্রীসভা | মগওয়ে আঞ্চলিক সরকার |
• আইনসভা | মগওয়ে অঞ্চল হ্লুত্তাও |
• বিচারবিভাগ | মগওয়ে আঞ্চলিক উচ্চ আদালত |
আয়তন | |
• মোট | ৪৪,৮২০.৬ বর্গকিমি (১৭,৩০৫.৩ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৪র্থ |
জনসংখ্যা (২০১৪ সালের বর্মী আদমশুমারী)[১] | |
• মোট | ৩৯,১৭,০৫৫ |
• ক্রম | ৭ম |
• জনঘনত্ব | ৮৭/বর্গকিমি (২৩০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | Magwegian |
Demographics | |
• Ethnicities | বামার, চিন জনগোষ্ঠী, রাখাইন জনগোষ্ঠী, শান জনগোষ্ঠী, কারেন জনগোষ্ঠী |
• ধর্ম | বৌদ্ধ ৯৮.৮% খ্রিস্টান ০.৭% ইসলাম ০.৩% হিন্দু ০.১% সর্বপ্রাণবাদ ০.১% |
সময় অঞ্চল | মিয়ানমার স্ট্যান্ডার্ড টাইম (ইউটিসি+০৬:৩০) |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৭) | ০.৫৬০[২] medium। ষষ্ঠ |
মগওয়ে অঞ্চল (বর্মী: မကွေးတိုင်းဒေသကြီး, উচ্চারিত: [məɡwé táiɰ̃ dèθa̰ dʑí], পূর্বে মগওয়ে বিভাগ) হচ্ছে মধ্য মায়ানমারের একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এটি মায়ানমারের সাতটি বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম, যার আয়তন ৪৪,৮২০ বর্গ কিলোমিটার (১৭,৩০৬ বর্গ মাইল)। পা দেল বাঁধ (ပဒဲဆည်) মগওয়ে বিভাগের অংলান টাউনশিপের অন্যতম বাঁধ। মগওয়ে বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং রাজধানী হচ্ছে মগওয়ে। সবচেয়ে বৃহত্তম শহর হচ্ছে পাকোক্কু। মগওয়ে বিভাগের প্রধান শহরগুলি হল মগওয়ে, পাকোক্কু, চক, অংলান, ইয়েনাঙ্গিয়াউং, তাউংডুইঙ্গি, মিনবু, থায়েত এবং গাঙ্গাও।
ভূগোল
মগওয়ে অঞ্চল উত্তর অক্ষাংশ ১৮° ৫০' থেকে ২২° ৪৭' এবং পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ৯৩° ৪৭' থেকে ৯৫° ৫৫' -এর মধ্যে অবস্থিত। এটি উত্তরে সাগাইং অঞ্চল, পূর্বে মান্দালয় অঞ্চল, দক্ষিণে বাগো অঞ্চল, এবং পশ্চিমে রাখাইন রাজ্য ও চিন রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত।
ইতিহাস
৪০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি পুরনো প্রাচীন প্রাইমেটদের জীবাশ্ম মগওয়ে অঞ্চলের পাকোক্কু জেলার পুন্দাং এবং পোনিয়া এলাকায় খনন করে উদ্ধার করা হয়। যার ফলে মিয়ানমার সরকার মিয়ানমারকে বিশ্ব মানবতার জন্মস্থান হিসেবে ঘোষণা করে, যা নৃতত্ত্ববিদরা সমর্থন করে না। প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো পিয়ু শহরের একটি প্রাচীন শহর পেইকথানো-ম্যিও, মগওয়ে অঞ্চলের টাউংডুইঙ্গি টাউনশিপে অবস্থিত।
মগওয়ে অঞ্চলের ইতিহাস মধ্য বার্মার অন্যান্য বিভাগের ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটায়। মগওয়ে অঞ্চলের প্রাচীন নাম মিনবু অঞ্চল (বা) মিনবু প্রদেশ। মিনবু অঞ্চল ৩ জেলা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। এগুলো ছিল- তারা মিনবু জেলা, থায়েত জেলা, এবং ইয়েনাঙ্গিয়াং জেলা। এর রাজধানী ছিল ইয়েনাঙ্গিয়াং।
১৯৬২ সালের ২ মার্চ জেনারেল নে উইনের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বার্মার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং সরকার সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৯৭৪ সালে বার্মা ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের একটি নতুন সংবিধান গৃহীত হয়।
মিনবু অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করে মগওয়ে অঞ্চল করা হয় এবং ইয়েনাঙ্গিয়াং জেলা বিলুপ্ত করা হয়। মগওয়ে জেলা ৬ টাউনশিপ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকোক্কু পার্বত্য এলাকা বা পাকোক্কু প্রদেশ বিলুপ্ত করা হয়, এবং পাকোক্কু জেলা মগওয়ে বিভাগে যুক্ত করা হয়। এবং মিন্দাত জেলা চিন রাজ্যে যুক্ত করা হয়। এরপর মগওয়ে অঞ্চল ৪ টি জেলায় বিভক্ত করা হয়: মগওয়ে জেলা, মিনবু জেলা, থাইত জেলা এবং পাকোক্কু জেলা। এর রাজধানী শহর ইয়েনাঙ্গিয়াং থেকে মগওয়েতে পরিবর্তন করা হয়।
১৯৯৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল পাকোক্কু জেলাকে দুটি জেলায় বিভক্ত করা হয়: পাকোক্কু জেলা ও গঙ্গাও জেলা। বর্তমানে, মগওয়ে অঞ্চলে মোট ৫ জেলা এবং ২৫ টি টাউনশিপ আছে।
প্রশাসনিক বিভাগ
মগওয়ে অঞ্চলের জেলাগুলি হল মগওয়ে, মিনবু, থায়েত, পাকোক্কু এবং গাঙ্গাও। এবং এটি ২৫টি টাউনশিপ এবং ১,৬৯৬টি ওয়ার্ড গ্রাম নিয়ে গঠিত। এর রাজধানী শহর মগওয়ে (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৮৪,৭৫৪) এবং এর বৃহত্তম শহর পাকোক্কু (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ১০৭,৫৫৭)।
অন্যান্য প্রধান শহরগুলি হল- চক (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৫৪,১৩৮), অংলান (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৫২,৮৬৫), ইয়েনাঙ্গিয়াউং (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা আনুমানিক ৪৯,৫৮৮), তাউংডুঙ্গি (২০১৯ সালের শহুরে জনসংখ্যা হিসাবে আনুমানিক ৪৭,৫৩৭)।
তথ্যসূত্র
- ↑ Census Report। The 2014 Myanmar Population and Housing Census। 2। Naypyitaw: Ministry of Immigration and Population। মে ২০১৫। পৃষ্ঠা 17।
- ↑ "Sub-national HDI - Area Database - Global Data Lab"। hdi.globaldatalab.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৩।