শ্মশানকান্দি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ছবি যুক্ত করা । ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
→মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস: গোলাগুলি ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৭৫ নং লাইন: | ৭৫ নং লাইন: | ||
== মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস == |
== মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস == |
||
বগুড়া জেলার ১০ কি. মি. দক্ষিণ-পূর্বে মাদলা ইউনিয়ন অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী এই ইউনিয়নের শ্মশানকান্দি গ্রামে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। এই ক্যাম্পে রাজাকার রিক্রুটিং এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হতো। মুক্তিযোদ্ধারা এই ক্যাম্পটি আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা মোতাবেক সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে রেজাউল বাকীর নেতৃত্বে ২২ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধার দল ক্যাম্পটির উত্তর ও পশ্চিম দিকে অবস্থান নেয়। বেলা ১১ টায় সময় মুক্তিযোদ্ধারা গুলিবর্ষণ শুরু করলে রাজাকাররাও |
বগুড়া জেলার ১০ কি. মি. দক্ষিণ-পূর্বে মাদলা ইউনিয়ন অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী এই ইউনিয়নের শ্মশানকান্দি গ্রামে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। এই ক্যাম্পে রাজাকার রিক্রুটিং এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হতো। মুক্তিযোদ্ধারা এই ক্যাম্পটি আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা মোতাবেক সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে রেজাউল বাকীর নেতৃত্বে ২২ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধার দল ক্যাম্পটির উত্তর ও পশ্চিম দিকে অবস্থান নেয়। বেলা ১১ টায় সময় মুক্তিযোদ্ধারা গুলিবর্ষণ শুরু করলে রাজাকাররাও পাল্টাগুলি করে। প্রায় তিন ঘণ্টা গোলা গুলি চলার পর রাজাকাররা ক্যাম্প ত্যাগ করে পূর্বদিকে পলায়ন করে। মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্প থেকে কিছু সামরিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছিল। তবে উভয় পক্ষের হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Curator6|তারিখ=2023-02-22|ভাষা=en-US|শিরোনাম=মাদলা আক্রমণ, বগুড়া|ইউআরএল=https://songramernotebook.com/archives/488757|সংগ্রহের-তারিখ=2023-12-29|ওয়েবসাইট=সংগ্রামের নোটবুক}}</ref> |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১১:৫৭, ৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
শ্মশানকান্দি | |
---|---|
গ্রাম | |
ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে: শ্মশানকান্দি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্মশানকান্দি গ্রামের ফসলের ক্ষেত, শ্মশানকান্দি গ্রামের বাড়িঘর, শ্মশানকান্দি গ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, শ্মশানকান্দি গ্রামের পুকুর। | |
বাংলাদেশের মানচিত্র অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৯′৫৫.৯″ উত্তর ৮৯°২৫′৪২.৫″ পূর্ব / ২৪.৮৩২১৯৪° উত্তর ৮৯.৪২৮৪৭২° পূর্ব | |
বিভাগ | রাজশাহী |
জেলা | বগুড়া |
উপজেলা | শাজাহানপুর |
ইউনিয়ন | মাদলা |
সরকার | |
• ধরন | স্থানীয় সরকার |
• চেয়ারম্যান | মো: আতিকুর রহমান |
• মেম্বার | মো: মামুনুর রশিদ |
পোস্ট কোড | ৫৮০০ |
শ্মশানকান্দি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রাম। এটি বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়ন এ অবস্থিত।[১][২] মাদলা ইউনিয়নের একটি অন্যতম গ্রাম শ্মশানকান্দি। এটি মাদলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডভুক্ত। এখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়েকটি সামাজিক সংগঠন আছে। শ্মশানকান্দি শাজাহানপুর উপজেলার উত্তর দিকের সর্বশেষ গ্রাম। গ্রামের উত্তরে বগুড়া সদর উপজেলা এবং পূর্বে গাবতলী উপজেলা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- শ্মশানকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়[৩]
মসজিদ
শ্মশানকান্দি গ্রামে মোট ৫ টি মসজিদ রয়েছে।[৪]
- শ্মশানকান্দি সরকার পাড়া জামে মসজিদ
- শ্মশানকান্দি ডাক্তারপাড়া বায়তুস সালাম জামে মসজিদ
- শ্মশানকান্দি পূর্বপাড়া জামে মসজিদ
- শ্মশানকান্দি পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ
- শ্মশানকান্দি উত্তরপাড়া জামে মসজিদ
ঈদগা মাঠ
শ্মশানকান্দি গ্রামে মোট ২টি ঈদগা মাঠ রয়েছে।[৫]
- শ্মশানকান্দি কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠ
- শ্মশানকান্দি উত্তরপাড়া ঈদগা মাঠ
জনপ্রতিনিধি
- মো: আতিকুর রহমান (চেয়ারম্যান- ২নং মাদলা ইউনিয়ন পরিষদ)[৬][৭]
- মোঃ মামুনুর রশিদ (মেম্বার- ২নং মাদলা ইউনিয়ন পরিষদ)[৬][৮]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
- বগুড়া - চেলোপাড়া থেকে সিএনজি, অটো রিকশা বা ইজিবাইক যোগে অদ্দিরগোলা হয়ে শ্মশানকান্দি
- গাবতলী - থানার মোড় থেকে অটো রিকশা বা ইজিবাইক যোগে অদ্দিরগোলা হয়ে শ্মশানকান্দি
- শাজাহানপুর - বনানী থেকে সিএনজি, অটোরিকশা রিকশা বা ইজিবাইক যোগে মাদলা হয়ে শ্মশানকান্দি
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
বগুড়া জেলার ১০ কি. মি. দক্ষিণ-পূর্বে মাদলা ইউনিয়ন অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী এই ইউনিয়নের শ্মশানকান্দি গ্রামে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। এই ক্যাম্পে রাজাকার রিক্রুটিং এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হতো। মুক্তিযোদ্ধারা এই ক্যাম্পটি আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা মোতাবেক সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে রেজাউল বাকীর নেতৃত্বে ২২ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধার দল ক্যাম্পটির উত্তর ও পশ্চিম দিকে অবস্থান নেয়। বেলা ১১ টায় সময় মুক্তিযোদ্ধারা গুলিবর্ষণ শুরু করলে রাজাকাররাও পাল্টাগুলি করে। প্রায় তিন ঘণ্টা গোলা গুলি চলার পর রাজাকাররা ক্যাম্প ত্যাগ করে পূর্বদিকে পলায়ন করে। মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্প থেকে কিছু সামরিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছিল। তবে উভয় পক্ষের হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।[৯]
তথ্যসূত্র
- ↑ "Geographic Names Search WebApp"। geonames.nga.mil। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৭।
- ↑ "গ্রামসমূহের তালিকা"। web.archive.org। ২০১৯-০৬-২৪। ২০১৯-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৭।
- ↑ "বগুড়া জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য"। www.bogra.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৭।
- ↑ "মাদলা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওর্য়াডে মসজিদের নামের তালিকা"। www.madlaup.bogra.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৭।
- ↑ "মাদলা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঈদগা মাঠের নামের তালিকা"। www.madlaup.bogra.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৭।
- ↑ ক খ "জনপ্রতিনিধি"। www.madlaup.bogra.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৭।
- ↑ "মাদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান"। www.madlaup.bogra.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৭।
- ↑ "মাদলা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার"। www.madlaup.bogra.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৭।
- ↑ Curator6 (২০২৩-০২-২২)। "মাদলা আক্রমণ, বগুড়া"। সংগ্রামের নোটবুক (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২৯।