বিদায় হজ্জের ভাষণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Kawrno Baba (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Kawrno Baba (আলোচনা | অবদান)
→‎হাদিসগ্রন্থে ভাষণের বর্ণনা: যা লেখা হয়েছে সেটাই সঠিক ভাষণ কি না তা নির্ণয় করার কোন উপায় নেই। উপরে একাধিক তথ্যসূত্র দেয়া হয়েছে কিন্তু হাদিস নাম্বার, অধ্যায়, পৃষ্ঠা ইত্যাদি কিছুই লেখা নেই। এরকম তথ্যসূত্রবিহীন গুরুত্বপূর্ণ লেখার কোন প্রয়োজন দেখছি না। এর নিচেই সহীহ মুসলিমের বর্ণনা দেয়া আছে; অন্যান্য গ্রন্থেও যদি অনুরূপ বর্ণনা থাকে তবে শুধু এটিই যথেষ্ট। অযথা এই নিবন্ধকে বড় করার দরকার নেই।, পরিষ্কারকরণ, সংশোধন
১৩ নং লাইন: ১৩ নং লাইন:
==হাদিসগ্রন্থে ভাষণের বর্ণনা==
==হাদিসগ্রন্থে ভাষণের বর্ণনা==
[[সহিহ]] মুসলিম<ref name="Hadith 159">''Sahih Muslim''. Kitab al-Hajj. [http://sunnah.com/muslim/15/159 Hadith 159]. Sunnah.com</ref>, তিরমিজি<ref>Al-Tirmidhi Hadith, Number 104</ref>, [[সুনানে আবু দাউদ|সুনান আবু দাউদ]], মুসনাদে আহমাদ<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://library.islamweb.net/newlibrary/display_book.php?idfrom=22393&idto=22393&bk_no=6&ID=1079|শিরোনাম=Musnad Ahmad|সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫|আর্কাইভের-তারিখ=২৮ জুন ২০১৫|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150628210420/http://library.islamweb.net/newlibrary/display_book.php?idfrom=22393&idto=22393&bk_no=6&ID=1079|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref>, সুনান ইবনে মাজাহ<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://sunnah.com/ibnmajah/9 |সংগ্রহের-তারিখ=২০১৪-০১-১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140118152009/http://sunnah.com/ibnmajah/9 |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৪-০১-১৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> গ্রন্থে উল্লিখিত যাবির ইবনে আবদুল্লাহ বর্ণিত বিদায় হজ্বের ভাষণের নিম্নোক্ত দীর্ঘ বর্ণনা পাওয়া যায়। এছাড়াও [[ইবনে ইসহাক]]{{Citation needed}} ও আল জাহিজও {{Citation needed}} প্রায় হুবহু একই বর্ণনা প্রদান করেছেন।
[[সহিহ]] মুসলিম<ref name="Hadith 159">''Sahih Muslim''. Kitab al-Hajj. [http://sunnah.com/muslim/15/159 Hadith 159]. Sunnah.com</ref>, তিরমিজি<ref>Al-Tirmidhi Hadith, Number 104</ref>, [[সুনানে আবু দাউদ|সুনান আবু দাউদ]], মুসনাদে আহমাদ<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://library.islamweb.net/newlibrary/display_book.php?idfrom=22393&idto=22393&bk_no=6&ID=1079|শিরোনাম=Musnad Ahmad|সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫|আর্কাইভের-তারিখ=২৮ জুন ২০১৫|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150628210420/http://library.islamweb.net/newlibrary/display_book.php?idfrom=22393&idto=22393&bk_no=6&ID=1079|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref>, সুনান ইবনে মাজাহ<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://sunnah.com/ibnmajah/9 |সংগ্রহের-তারিখ=২০১৪-০১-১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140118152009/http://sunnah.com/ibnmajah/9 |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৪-০১-১৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> গ্রন্থে উল্লিখিত যাবির ইবনে আবদুল্লাহ বর্ণিত বিদায় হজ্বের ভাষণের নিম্নোক্ত দীর্ঘ বর্ণনা পাওয়া যায়। এছাড়াও [[ইবনে ইসহাক]]{{Citation needed}} ও আল জাহিজও {{Citation needed}} প্রায় হুবহু একই বর্ণনা প্রদান করেছেন।
{{Quotation|উপস্থিত জনমণ্ডলী! আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো। হয়তো আমি আর কখনো এখানে তোমাদের সঙ্গে একত্রিত হতে পারব না।
হে জনমণ্ডলী! আজকের এই দিন (জুমার দিন), এই মাস (জিলহজ মাস) ও এই শহর (মক্কা) যেমন পবিত্র; তোমাদের জানমাল, ইজ্জত-আবরু, মান-সম্মান কিয়ামত পর্যন্ত এমনই পবিত্র। কারো কাছে যদি কোনো আমানত রক্ষিত থাকে, তাহলে সে যেন তা আমানতকারীর কাছে পৌঁছে দেয়। আজ থেকে সব ধরনের সুদ রহিত করা হলো। তোমাদের কেবল মূলধনের ওপর অধিকার রইল। তোমরা অন্যের ওপর অত্যাচার করবে না, নিজেরাও অত্যাচারিত হবে না। সর্বপ্রথম আমি হজরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের সুদ রহিত করছি। অন্ধকার যুগের সব কৌলীন্য বিলুপ্ত করা হলো। শুধু কাবাঘরের তত্ত্বাবধান ও হাজিদের পানি পান করানো ছাড়া। আজকের পর তোমাদের ভূখণ্ডে শয়তানের উপাসনার ব্যাপারে সে নিরাশ হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু ব্যাপার, যেগুলোকে তোমরা বড় পাপ মনেই করো না। তার অনুসরণ করলে শয়তান খুশি হবে।
জনমণ্ডলী! তোমাদের নিজ স্ত্রীদের ওপর যেমন তোমাদের অধিকার রয়েছে, তদ্রূপ তাদেরও তোমাদের ওপর অধিকার রয়েছে। স্ত্রীদের ওপর তোমাদের অধিকার হচ্ছে, তারা যেন নিজ স্বামী ছাড়া পরপুরুষের সঙ্গে সম্ভোগে লিপ্ত না হয়। যদি তারা তা করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের তাদের প্রতি কঠোরতা
প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন। এমতাবস্থায় তোমরা তাদের শয্যা পৃথক করে দেবে। এবং মৃদু প্রহার করবে। তাতে তারা বিরত হলে নিয়মমাফিক তাদের ভরণপোষণের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে। তারা তোমাদের সাহায্যকারিণী। তোমরা তাদের আল্লাহর নির্ধারিত কালিমা বাক্যের (ইজাব-কবুল) মাধ্যমে নিজেদের জন্য হালাল করেছো। সুতরাং তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো। জনমণ্ডলী! সব মুমিন পরস্পর ভাই ভাই। কারো জন্য অন্যের সম্পদ বৈধ নয়। তবে যদি কেউ স্বেচ্ছায় কাউকে কিছু দেয়, তাহলে সেটা স্বতন্ত্র ব্যাপার। আমার পর তোমরা কুফরিতে ফিরে যেও না। পরস্পর খুনাখুনি করো না। আমি তোমাদের মাঝে এমন দুটি জিনিস রেখে গেলাম, তোমরা তা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরলে কখনো বিভ্রান্ত হবে না। তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (পবিত্র কোরআন) ও তাঁর রাসুলের হাদিস। জনমণ্ডলী! তোমাদের প্রভু একজন। তোমাদের পিতাও একজন। তোমরা সবাই আদম থেকে আর আদম মাটি থেকে সৃষ্টি। তোমাদের মাঝে যারা সর্বাধিক মুত্তাকি, খোদাভীরু তারাই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাবান। তাকওয়া ছাড়া কোনো অনারবের ওপর কোনো আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই।
জনমণ্ডলী, আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক উত্তরাধিকারীর অংশ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। উত্তরাধিকারীর জন্য কোনো ওসিয়ত প্রযোজ্য নয়। অন্যদের জন্য এক-তৃতীয়াংশের অধিক ওসিয়ত করা বৈধ নয়। আমাদের কিয়ামত দিবসে জিজ্ঞাসা করা হবে। তোমাদেরও জিজ্ঞাসা করা হবে। তখন তোমরা আমার ব্যাপারে কী বলবে? আমি কি তোমাদের নিকট আল্লাহর দ্বীন পৌছে দিয়েছি? উপস্থিত সাহাবায়েকেরাম উত্তর দিলেন, আমরা সাক্ষ্য দেব যে আপনি আপনার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছেন। হিত কামনা করেছেন। অতঃপর মুহাম্মাদ আকাশের দিকে হাত তুলে তিনবার বললেন, আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। তারপর বললেন, তোমরা এখানে যারা উপস্থিত আছো তারা অনুপস্থিতদের কাছে (কথাগুলো) পৌঁছে দেবে।|sign=|source=}}


=== সহিহ মুসলিমের বর্ণনা<ref name="Hadith 159" /> ===
=== সহিহ মুসলিমের বর্ণনা<ref name="Hadith 159" /> ===

১৯:৪৫, ১৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইসলামী ইতিহাস অনুসারে, এই পাহাড়টি সেই স্থান যেখানে হযরত মুহাম্মদ সাঃ দাঁড়িয়ে বিদায় খুতবা প্রদান করেছিলেন

বিদায় হজ্জের ভাষণ ১০ম হিজরিতে অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে হজ্জ পালনকালীন আরাফাতের ময়দানে ইসলাম ধর্মের শেষ রাসুল মুহাম্মাদ (সাঃ) কর্তৃক প্রদত্ত খুৎবা বা ভাষণ। হজ্জের দ্বিতীয় দিনে আরাফাতের মাঠে অবস্থানকালে অনুচ্চ জাবাল-এ-রাহমাত টিলার শীর্ষে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সমবেত মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তিনি এই ভাষণ দিয়েছিলেন। মুহাম্মাদ জীবিতকালে এটা শেষ ভাষণ ছিলো, তাই সচরাচল এটিকে বিদায় হজ্জের ভাষণ বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।[১] ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ অনুযায়ী মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এই ভাষণে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা ছিলো।

সংরক্ষণ

ভাষণটি পূর্ণাঙ্গরূপে সংরক্ষিত হয়নি। বিভিন্ন হাদিস, তাফসির, ইতিহাস ও জীবনীগ্রন্থে আংশিক এবং খণ্ড খণ্ড আকারে তা সংকলিত হয়েছে। সকল হাদিসে বিদায় খুৎবার উদ্ধৃতি অন্তর্ভুক্ত আছে। বুখারী শরীফের ১৬২৩, ১৬২৬ এবং ৬৩৬১ নম্বর হাদিসে ভাষণের বিভিন্ন অংশ উধৃত করা হয়েছে। সহিহ মুসলিম শরীফে ৯৮ নম্বর হাদিসে বিদায় খুৎবা বর্ণিত হয়েছে। তিরমিজি শরীফের ১৬২৮, ২০৪৬ এবং ২০৮৫ সংখ্যক হাদিসে বিদায় খুৎবার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বিদায় খুৎবার দীর্ঘতম উদ্ধৃতি দিয়েছেন ইমাম আহমদ বিন হাম্বল। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ ‘মুসনাদ’-এর ১৯৭৭৮ সংখ্যক হাদিসে এই বর্ণনা পাওয়া যাবে।[২]

তাৎপর্য

ইসলাম ধর্ম যে ধাপে ধাপে ও পর্যায়ক্রমে পূর্ণতা পেয়েছিলো, তারই চূড়ান্ত ঘোষণা ছিলো মুহাম্মাদের এই ভাষণ। এ কারণে সেদিন ভাষণ প্রদানকালে কুরআনের সূরা মায়িদার ৩ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিলো[৩] :

এই ভাষণে ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছিলো। মুসলিম জাতির সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে মুহাম্মাদ চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল উপাসনামূলক অনুশাসন ছিলো না, বরং মানবসমাজের জন্য করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও এতে ছিলো। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, তার সার্বভৌমত্বের সাহ্ম্য, মানবজাতির ঐক্য, আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক সাম্য ইত্যাদি সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম সব বিষয়ই এই ভাষণের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এই ভাষণে তাকওয়া বা দায়িত্বনিষ্ঠতার কথা গুরুত্ব দেয়া হয়েছিলো এবং পাপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহর প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল্লাহ ও মানবসম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল ইবাদের মধ্যে সীমারেখা টেনে দেয়া হয়েছিলো। মুহাম্মদ এই ভাষণে সমাজ ও রাষ্ট্রে অরাজকতা, বিদ্রোহ এবং কুপরামর্শ প্রদানকারী শয়তানদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেছেন। এই ভাষণে বিভিন্ন ধরনের সুদপ্রথা রহিত করে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এই ভাষণে। মানুষে মানুষে আত্মীয়তার বন্ধন, বিশেষ করে রক্তের সম্পর্কের ওপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিলো। সামাজিক কুসংস্কার থেকে মানুষের মুক্তি লাভের ওপর জোর দেয়া হয়েছিলো। মুহাম্মদের এই ঐতিহাসিক ভাষণে স্বর্গ-মর্ত্যের সকল কিছুর ওপর আল্লাহর কর্তৃত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছিলো এবং মানুষকে এসবকিছুর আমানতদার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহর মালিকানায় সবার অধিকার স্বীকৃত বলে উত্তরাধিকার আইনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়েছিলো। আমানতের খেয়ানতকারীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিলো। মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিলো। সাম্য, স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ব এবং বদান্যতা ও মানবতার পরম ধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো।[৪]

হাদিসগ্রন্থে ভাষণের বর্ণনা

সহিহ মুসলিম[৫], তিরমিজি[৬], সুনান আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ[৭], সুনান ইবনে মাজাহ[৮] গ্রন্থে উল্লিখিত যাবির ইবনে আবদুল্লাহ বর্ণিত বিদায় হজ্বের ভাষণের নিম্নোক্ত দীর্ঘ বর্ণনা পাওয়া যায়। এছাড়াও ইবনে ইসহাক[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ও আল জাহিজও [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্রায় হুবহু একই বর্ণনা প্রদান করেছেন।

সহিহ মুসলিমের বর্ণনা[৫]

[...] হিজরতের নয় বছর তিনি হজ্ব করেননি। এরপর দশম বছর এলে তিনি ঘোষণা দিলেন তিনি হজ্ব করবেন। [...] তিনি (মুহাম্মাদ (সাঃ)) উপত্যকার নিচে আসলেন, এবং উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে বললেন,

তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ ঠিক ততটাই পবিত্র এবং ক্ষতির অতীত ঠিক যতটাই পবিত্র তোমাদের আজকের এই মাসের এই দিন এবং তোমাদের এই শহর। অজ্ঞতার দিনসমূহের সকল নিয়ম ও প্রচলন আমার পায়ের নিচে বিনষ্ট হল। নিষিদ্ধ করা হল রক্তের বিনিময়ে রক্তের চলমান প্রতিশোধ। প্রথম হিসেবে আমি রাবিয়া বিন হারেস বিন আবদুল মোত্তালিবের রক্তের দাবী প্রত্যাহার করে নিচ্ছি, সে বনি লাইস গোত্রে দুধ পান করেছে, হুযাইল তাকে হত্যা করেছে। সেইসাথে রিবা-কেও নিষিদ্ধ করা হল। প্রথম হিসেবে আব্বাস ইবনে আবদুল মোত্তালিবের যাবতীয় রিবার দাবী প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই তোমরা তাদেরকে আল্লাহর নিরাপত্তায় গ্রহণ করেছ, এবং আল্লাহর বাণী দ্বারা তাদের সাথে সঙ্গমের ব্যাপারে তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাদের উপর তোমাদেরও অধিকার বর্তায়, এবং তারা তোমাদের বিছানায় এমন কাউকে শুতে দিতে পারে না যাকে তোমরা অপছন্দ কর। যদি তারা তা করে তবে তোমরা তাদের প্রহার করতে পার, তবে গুরুতরভাবে না। তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে তোমরা তাদের খাদ্য ও বস্ত্রের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করবে। তোমাদের মাঝে আমি আল্লাহর গ্রন্থকে রেখে যাচ্ছি; এটিকে আঁকড়ে ধরে থাক, তাহলে তোমরা বিপথগামী হবে না। (পুনরুত্থানের দিনে) তোমাদেরকে আমার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে। তখন তোমরা কি বলবে?

তখন উপস্থিত জনগণ বলল, 'আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি (বার্তা) পৌঁছে দিয়েছেন, (নবুয়ত) পূর্ণ করেছেন, এবং আন্তরিক উপদেশ প্রদান করেছেন।' এরপর তিনি আকাশের দিকে তর্জনী তুললেন এবং তারপর উপস্থিত জনগণের দিকে তর্জনী নির্দেশ করে বললেন, 'হে আল্লাহ, সাক্ষী থাক! হে আল্লাহ, সাক্ষী থাক!'

তথ্যসূত্র

  1. Last Sermon of our Beloved Prophet (saw)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. The Last Sermon of the Prophet Khutbatul Wada
  3. The Farewell Sermon[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. The Farewell Address of the holy Prophet Muhammad pbuh
  5. Sahih Muslim. Kitab al-Hajj. Hadith 159. Sunnah.com
  6. Al-Tirmidhi Hadith, Number 104
  7. Musnad Ahmad। ২৮ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  8. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৪-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১৪ 

বহিঃসংযোগ