হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৪২ নং লাইন: ৪২ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৬১-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৬১-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:আফগান সুন্নি মুসলিম]]
[[বিষয়শ্রেণী:আফগান সুন্নি মুসলিম]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুসলিম ধর্মতত্ত্ববিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশতু ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশতু ব্যক্তি]]

০৯:৪৮, ৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৫শে মে ২০১৬
পূর্বসূরীমোল্লা আখতার মানসুর
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মআনু. ১৯৬১ (বয়স ৫৫)[১]
কান্দাহার প্রদেশ, আফগানিস্তান[১]
ধর্মইসলাম (সুন্নি)
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য
কাজের মেয়াদ১৯৯৬-বর্তমান
পদসুপ্রিম কমান্ডার

মৌলভি হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা (জন্ম ১৯৬১, কান্দাহার প্রদেশ, আফগানিস্তান)[১] (পশতু: هبت الله اخونزاده; আরবি: هيبة الله أخوند زاده) হলেন আফগানিস্তানের ইসলামিক মৌলবাদী রাজনৈতিক আন্দোলন তালিবানের প্রধান বা আমীর। আন্দোলনটি আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত নামেও পরিচিত। ২১শে জুন তালিবানের সাবেক প্রধান মোল্লা আখতার মানসুর মার্কিন চালকবিহীন ড্রোন বিমান হামলায় নিহত হওয়ার পর তাকে এই পদে নির্বাচিত করা হয়। তিনি একজন ধর্মীয় পণ্ডিত, এছাড়া জনশ্রুতি অনুসারে তিনি তালিবানের অধিকাংশ ফতোয়া জারি করে থাকেন। আমিরের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি তালিবানের ইসলামী আদালতের প্রধান বিচারক ছিলেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন

আখুনজাদা ১৯৬১ সালে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের[N ১] কোন একস্থানে জন্মগ্রহণ করেন।[১] জাতিতে পশতুন এই তালিবান নেতা নূরজাই গোত্রের অন্তর্ভূক্ত। আরবিতে তার নামের প্রথম অংশ হাইবাতুল্লাহ অর্থ হলো আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে উপহার[১][২]

তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে ভূমিকা (১৯৯৬-২০০১)

১৯৯৬ সালে আফগান তালিবানরা যখন রাজধানী কাবুল দখল করে ও তাদের আমিরাত প্রতিষ্ঠা করে তখন মৌলভি আখুনজাদা আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাতের শরিয়াহ আদালতের প্রধান বিচারক নিযুক্ত হন। অন্যান্য তালিবান প্রধানদের মত তিনি যুদ্ধবাজ বা সামরিক কমান্ডার ছিলেন না কিন্তু ধর্মীয় নেতা হিসেবে তালিবানের অধিকাংশ ফতোয়া জারি করার জন্য বিখ্যাত ছিলেন বা ধর্মীয় ব্যাপারগুলোর নিষ্পত্তি করতেন। তার অন্যান্য পূর্ব‌সূরীগণের তুলনায় তিনি অন্যান্য দিক থেকেও আলাদা ছিলেন। তিনি পাকিস্তানে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া তার পূর্বসূরীগণ মার্কিন অভিযানের সময় পূর্ব দিকে ডুরান্ড লাইনের দিকে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন কিন্তু ধারণা করা হয় যে আখুনজাদা পুরো অভিযানের সময় ও পরবর্তী সময়য়েও (১৯৯৬-২০১৬) আফগানিস্তানে বসবাস করেছেন। তার বিদেশ ভ্রমণের কোন নথি-পত্রও নেই যদিও কোয়েটা ভিত্তিক তালিবান শূরাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।[৩]

তালেবান প্রধান

২০১৬ সালের ২৫ মে আখুনজাদাকে মোল্লা আখতার মনসুরের উত্তরসূরি হিসেবে তালেবানের সর্বো‌চ্চ নেতা নিয়োগ দেয়া হয়। মনসুর একটি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছিলেন। এই হামলা মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা অনুমোদন করেছিলেন। তার মতে মনসুরের অপসারণের ফলে তালেবানরা সরকারের সাথে শান্তি প্রক্রিয়ায় যোগ দেবে।[৪][৫] তালেবান, আফগান সরকার ও মার্কিন রাষ্ট্রপতি ওবামা সবাই মনসুরের মৃত্যুর কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেন।[৬][৭] একজন তালেবান মুখপাত্র জানান যে সিরাজউদ্দিন হাক্কানি প্রথম ডেপুটি ও মোল্লা ওমরের পুত্র মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুব দ্বিতীয় ডেপুটি নিযুক্ত হয়েছেন।[৮]

পাদটীকা

  1. It is unclear if Akhundzada was born within the boundaries of modern Kandahar Province, or the boundaries of Kandahar Province in 1961, as they included parts that are now in western Helmand Province.

তথ্যসূত্র

  1. "Afghan Taliban announce successor to Mullah Mansour"BBC News। ২৫ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬ 
  2. "Hibatullah – Meaning of Hibatullah"BabyNamesPedia.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬ 
  3. "Afghan Taliban says Haibatullah Akhunzada is new leader"Aljazeera। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬ 
  4. "Obama confirms Afghan Taliban leader's death, says chance for peace"Reuters.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬ 
  5. "Taliban leader Mansoor killed by U.S. drone"। USAToday.com। ২০০১-০৯-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-২২ 
  6. "US drone strike in Pakistan kills Taliban leader Mullah Mansoor" 
  7. "Obama confirms death of Taliban leader Mullah Mansour" 
  8. Yusufzai, Mushtaq; Rahim, Fazul। "Taliban Confirm Death of Leader in U.S. Strike, Announce Replacement"NBC News। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬