বাইবেলে মুহাম্মাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) https://bn.wikisource.org/wiki/পাতা%3Aবাইবেল_পুরাতন_নিয়ম_ও_নতুন_নিয়ম.djvu/৫৫ |
|||
১১ নং লাইন: | ১১ নং লাইন: | ||
== বাইবেলের ভার্সে মুহাম্মদের নবীত্ব == |
== বাইবেলের ভার্সে মুহাম্মদের নবীত্ব == |
||
=== আদিপুস্তক, ৪৯:১০ === |
|||
=== জেনেসিস, ৪৯ঃ১০ === |
|||
{{poemquote <!-- https://bn.wikisource.org/wiki/পাতা%3Aবাইবেল_পুরাতন_নিয়ম_ও_নতুন_নিয়ম.djvu/৫৫ হইতে আনীত --> |
|||
|text=<sub>১০</sub> “যিহ্রদা হইতে রাজদণ্ড যাইবে না, |
|||
তাহার চরণযুগলের মধ্য হইতে বিচারদও যাইবে না, |
|||
যে পৰ্য্যন্ত শীলো<sup>*</sup> না আইসেন, |
|||
জাতিগণ তাহারই আজ্ঞাবহতা স্বীকার করিবে। |
|||
<sub>১১</sub> “সে দ্রাক্ষালতায় আপন গর্দ্দভ বাধবে, |
|||
উত্তম দ্রাক্ষালতায় আপন খরশাবককে বাঁধিবে; |
|||
সে দ্রাক্রক্ষাসে আপন পরিচ্ছদ কাচিয়াছে, |
|||
দ্রাক্ষার রক্তে আপন কাপড় কাচিয়াছে। |
|||
[…] |
|||
<ol type="a" start="9"> |
|||
<li> […] বা যাঁহার অধিকারে আছে, তিনি |
|||
</ol> |
|||
|source=আদিপুস্তক ৪৯:১০,১১ |
|||
}} |
|||
কাইস আল-কালবি এবং ডেভিড বেঞ্জামিন কেলদানি এই নবীত্ব নিয়ে দেয়া বক্তব্য কোরআনের ৩ঃ৮১ এর আলোকে মুহাম্মদের নবীত্ব বলে ব্যাখ্যা করেন। <ref name="Kalby2005">Kais Al-Kalby (2005). [http://d1.islamhouse.com/data/en/ih_books/single/en_prophet_mohammad_in_the_bible.pdf ''Prophet Muhammad: The last Messenger in the Bible'']. p. 207</ref><ref name="Keldani2006,42">David Benjamin Keldani (2006 edition). ''Muhammad in World Scriptures''. p. 42.</ref> ডেভিড বেঞ্জামিন বিশ্বাস করেন, হিব্রু ভাষার শিলোহ শব্দটি প্রকৃতপক্ষে শালুহ ( ''shǎluḥ'' ) শব্দটি থেকে। এর অর্থ "প্রেরিত নির্দিষ্ট ব্যক্তি, বার্তাপ্রেরক" অথবা হিব্রু শব্দ শিলুয়াহ ( Shilūăḥ) থেকে এসেছে যার অর্থ "প্রতিবেদক, "ইয়াহ কর্তৃক সত্যায়িত""।<ref name="Keldani2006,45">David Benjamin Keldani (2006 edition). ''[https://books.google.com/books?id=vRUoRgXkrSoC&pg=PR3&lpg=PR3&dq=Muhammad+in+World+Scriptures+Abdul+Ahad&source=bl&ots=8WUWfNPZ7b&sig=w_pf2QUvWrK8t4edfhVG_MRbQzY&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwjz6vyMmbPWAhVn6oMKHWzRD3gQ6AEIVzAM#v=onepage&q=45&f=false Muhammad in World Scriptures]'', p. 45</ref> |
কাইস আল-কালবি এবং ডেভিড বেঞ্জামিন কেলদানি এই নবীত্ব নিয়ে দেয়া বক্তব্য কোরআনের ৩ঃ৮১ এর আলোকে মুহাম্মদের নবীত্ব বলে ব্যাখ্যা করেন। <ref name="Kalby2005">Kais Al-Kalby (2005). [http://d1.islamhouse.com/data/en/ih_books/single/en_prophet_mohammad_in_the_bible.pdf ''Prophet Muhammad: The last Messenger in the Bible'']. p. 207</ref><ref name="Keldani2006,42">David Benjamin Keldani (2006 edition). ''Muhammad in World Scriptures''. p. 42.</ref> ডেভিড বেঞ্জামিন বিশ্বাস করেন, হিব্রু ভাষার শিলোহ শব্দটি প্রকৃতপক্ষে শালুহ ( ''shǎluḥ'' ) শব্দটি থেকে। এর অর্থ "প্রেরিত নির্দিষ্ট ব্যক্তি, বার্তাপ্রেরক" অথবা হিব্রু শব্দ শিলুয়াহ ( Shilūăḥ) থেকে এসেছে যার অর্থ "প্রতিবেদক, "ইয়াহ কর্তৃক সত্যায়িত""।<ref name="Keldani2006,45">David Benjamin Keldani (2006 edition). ''[https://books.google.com/books?id=vRUoRgXkrSoC&pg=PR3&lpg=PR3&dq=Muhammad+in+World+Scriptures+Abdul+Ahad&source=bl&ots=8WUWfNPZ7b&sig=w_pf2QUvWrK8t4edfhVG_MRbQzY&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwjz6vyMmbPWAhVn6oMKHWzRD3gQ6AEIVzAM#v=onepage&q=45&f=false Muhammad in World Scriptures]'', p. 45</ref> |
||
২২:০২, ৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়া হতে নিবন্ধ প্রতিযোগিতা ২০১৮ উপলক্ষে তৈরী করা হলো, নিবন্ধটিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিবন্ধকার কর্তৃক অনুবাদ দ্বারা মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা হবে; আপনার যেকোন প্রয়োজনে এই নিবন্ধের আলাপ পাতাটি ব্যবহার করুন। আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। |
বাইবেলে মুহাম্মাদ একটি বিতর্ক, যেখানে মুহাম্মাদের জন্ম, শিক্ষা এবং মৃত্যু মুহাম্মদের প্রথম দিকের অনুসারীর বা উম্মাহ'র(আরবি: أُمَّـة, সম্প্রদায়) সময় থেকে মুসলমান সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে উঠেছে , যা খ্রিস্টানদের মাঝে চার্চের ডাক্তার যেমন দামাস্কাসের জনের মতোই।
মুসলমান লেখকেরা এই দৃষ্টিভঙ্গি আরেকটি বিস্তৃত করেছেন এইভাবে যে, তারা বাইবেলে মুহাম্মদের ব্যাপারে তথ্যসূত্র সনাক্ত করেন। তারা খ্রিস্টানদের নূতন নিয়ম এবং ইহুদীদের তানাখ উভয় বইয়েই তা সনাক্ত করেছেন বলে দাবী করেন। কোরআন এবং হাদীসের একাধিক জায়গায় মুহাম্মদের ব্যাপারে বাইবেলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। বারবানেসের গস্পেলে, মুহাম্মদের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্যভাবে বর্নিত আছে। গবেষকেরা মধ্য যুগের শুরুর দিক থেকেই দাবী করে আসছেন যে, নবীর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী এই বইয়ে উল্লেখ আছে।
কিছু মুসলমান লেখক ইহুদী সমাজে সম্প্রদায়ে যীশুর পরে আরেকজন নবীর আগমনের প্রত্যাশা ছিল বলে উল্লেখ করেন। এটাও বলেন যে, এইসমস্ত প্রত্যাশা পূরণের শেষ ধাপ ছিল মুহাম্মাদের আগমন। মুসলমানরা মুহাম্মদের শেষের দিকের প্রচেষ্টার ফলপ্রসূতঃ বাইবেলের যীশুর চরিত্র ছাড়াও মোজেস, এবং ডেভিডের মতো একাধিক চরিত্রকে সম্মান করে।
খ্রিস্টান দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু উল্লেখজনক ব্যক্তিত্ব যেমন মার্টিন লুথার এবং জন ক্যালভিন মুহাম্মদকে বাইবেলের বক্তব্যানুসারে মিথ্যানবী এবং যীশুবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন। অবশ্য আরো অনেক খ্রিস্টান ব্যক্তিত্ব অন্য রকমের মত পোষণ করেন। ১৯১০ সালের ক্যাথোলিক এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে, গত তিন শতক ধরে গবেষকেরা "মুহাম্মদের নৈতিক চরিত্র এবং দায়িত্ববোধ" আলোচনা করে বলেন যে, "বেশিরভাগক্ষেত্রে এই ধরনের মন্তব্য "পক্ষপাতিত্ব এবং ইসলামের প্রতি তীব্র ঘৃণা অথবা খ্রিস্টান ধর্মের বিপুল ভালোবাসা" থেকে আসে। ঠিক একই ঘটনা ঘটে অন্য পক্ষ থেকেও, "খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি ঘৃণা এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি তীব্র ভালোবাসা" এই কাজ করে।[১]
বাইবেলের ভার্সে মুহাম্মদের নবীত্ব
আদিপুস্তক, ৪৯:১০
১০ “যিহ্রদা হইতে রাজদণ্ড যাইবে না,
তাহার চরণযুগলের মধ্য হইতে বিচারদও যাইবে না,
যে পৰ্য্যন্ত শীলো* না আইসেন,
জাতিগণ তাহারই আজ্ঞাবহতা স্বীকার করিবে।
১১ “সে দ্রাক্ষালতায় আপন গর্দ্দভ বাধবে,
উত্তম দ্রাক্ষালতায় আপন খরশাবককে বাঁধিবে;
সে দ্রাক্রক্ষাসে আপন পরিচ্ছদ কাচিয়াছে,
দ্রাক্ষার রক্তে আপন কাপড় কাচিয়াছে।
[…]
- […] বা যাঁহার অধিকারে আছে, তিনি
— আদিপুস্তক ৪৯:১০,১১
কাইস আল-কালবি এবং ডেভিড বেঞ্জামিন কেলদানি এই নবীত্ব নিয়ে দেয়া বক্তব্য কোরআনের ৩ঃ৮১ এর আলোকে মুহাম্মদের নবীত্ব বলে ব্যাখ্যা করেন। [২][৩] ডেভিড বেঞ্জামিন বিশ্বাস করেন, হিব্রু ভাষার শিলোহ শব্দটি প্রকৃতপক্ষে শালুহ ( shǎluḥ ) শব্দটি থেকে। এর অর্থ "প্রেরিত নির্দিষ্ট ব্যক্তি, বার্তাপ্রেরক" অথবা হিব্রু শব্দ শিলুয়াহ ( Shilūăḥ) থেকে এসেছে যার অর্থ "প্রতিবেদক, "ইয়াহ কর্তৃক সত্যায়িত""।[৪]
ল্যাটিন ভালগেট অনুবাদ করেছে এই শব্দকে "তিনি... যাকে প্রেরণ করা হয়েছে"। [৫]
শিলোহ বাইবেলে বর্নিত একটি শহরের নাম।
ডটারোনোমি, ১৮ঃ১৮
১৮ আমি তাদের মধ্য থেকে তোমার মতই একজন নবী গড়ে তুলবো। আমি তার মুখ থেকে আমার শব্দ নিঃসৃত করাওবো, ঠিক আমার আদেশ মতোই সে তা করবে। ১৯ এবং যেই তার সামনে আসবে, তার কাছ থেকে এই শব্দমালা পাবে, আমারই নামে, আমিই তাকে তা করাবো। ২০কিন্তু যে নবী, আমার নামের কথা বলবে আমার আদেশ ছাড়া, অথবা একই কথা অন্য কোন প্রভুর নামে বলবে, সেই নবীকে মৃত্যু বরণ করতে হবে।
— ডটেরোনোমি ১৮ঃ১৮-২০, ইহুদী প্রকাশনা সংস্থা (১৯১৭)
স্যামুয়েল আল-মাগরিবি, একজন ইহুদী গণিতজ্ঞ, যিনি পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি এই বাণীকে তার বই "কনভিন্সিং দ্যা জ্যুস" মুহাম্মদ কর্তৃক ভবিষ্যৎবাণীর সত্যায়ন বলে উল্লেখ করেন।[৬] স্যামুয়েল তার বইয়ে লিখেছেন যে, ডটারোনোমি ২ঃ৪-৬ [এবং নাম্বারে ২০ঃ১৪ এও উল্লেখ্য] এসাউর সন্তানরা ইজরায়েলে নিঃশ্বাস নিচ্ছে এবং ইশমায়েলের সন্তানদেরও একইভাবে বর্ননা করেছেন। [৭]
মুহাম্মদ ও মোজেসের মধ্যে তুলনা কোরআনের বাণীতে এবং ইসলামের ঐতিহ্যে বেশ প্রচলিত। কা'আব আল-আহবার বলেছেন, " মুহাম্মদ ও মোজেসের মধ্যে ঈশ্বর তার দর্শন ও কথোপকথন সবচেয়ে বেশি ভাগ করে দিয়েছেন। তিনি মোজেসের সাথে দুইবার কথা বলেছেন এবং মুহাম্মদ তাকে দুইবার দেখেছেন।" [৮][৯][note ১]
মুসলমান গবেষকদের অল্প কিছু সংখ্যক দাবী করেন, মুহাম্মদ ঈশ্বরকে দেখেননি। এই মতামত সালাফি মতানুসারী মুসলমানদের মাঝে পাওয়া যায়। [১৫] কোরআনের ৬ নাম্বার সূরা আল-আনাম এর ১০৪ আয়াতে ব্যাপারে বলা হয়েছে, " দৃষ্টিসমূহ তাঁকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।."[১৬]
অবশ্য বেশিরভাগ সুন্নি গবেষকেরা দাবী করেন, মুহাম্মদ স্রষ্টাকে দুইবার দেখেছেন। একবার তার স্বপ্নে এবং আরেকবার তার নবীত্বের প্রথমদিকের রাত্রিকালীন ভ্রমণে।[১৭]
হাদীসে এটাও উল্লেখিত যে, মুহাম্মদ তার সঙ্গীদের সামনে আলি এবং নিজেকে এরন ও মোজেসের মতো বলে উল্লেখ করেছেন। [১৮][১৯][২০][২১]
কিছু মুসলমান লেখক যেমনঃ মোহাম্মদ আলী কোরআনের ৪৬ঃ১০ কে ডটাররোনোমির ১৮ঃ১৮ এর তথ্যসূত্র বলে উল্লেখ করেছেন। ইজরায়েলের বংশোদ্ভূত মোজেস এবং তারই মত একজন হবে যে কিনা মুহাম্মদ বলে বিশ্বাস করা হয়। [২২]
আবার, কোরআনের (৭৩ঃ১৫) ফেতহুল্লাহ গুলেনের মত মুসলমান লেখকেরা ডটেরোনোমি ১৮ঃ১৮এর তথ্য বলে উল্লেখ করেন। [২৩][২৪]
জন ১ঃ২০-২১ কেও অনেক মুসলিম এই ব্যাপারে ব্যবহার করে যে, ডটেরোনোমি ১৮ঃ১৮ যীশু খ্রিস্টের নবীত্বের বার্তা নয়।[২৫] আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর দাবী করেন, জন ১ঃ২০-২১ অনুসারে, ইহুদীরা তাদের উপর অঙ্গীকারকৃত মসিয়াহ (যীশু) এবং নবী (মুহাম্মদ) দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি হবে। এবং এই কারনেই তারা জনকে জিজ্ঞেস করে, "সে (জন) কে?" এবং জন নির্দ্বিধায় স্বীকার করে, "আমি মসিয়াহ নই।"তারা জনকে আবার জিজ্ঞেস করে, "তুমি কে তাহলে? তুমিই কি এলিয়াহ?" জন উত্তর দেয়, "আমি নই।" তারা তাকে জিজ্ঞেস করে, "তাহলে তুমিই কি নবী?" সে উত্তর, "না।" (জন ১ঃ২০-২১)[২৬]
এছাড়াও জন ৭ঃ৪০-৪১ অনুসারে, এটা বলা যেতে পারে যে, যীশুর জীবনকালে ইহুদীরা ডটেরোনোমি ১৮ঃ১৮তে উল্লেখিত নবীর জন্য অপেক্ষা করছিল। তারা বিশ্বাস করতো নতুন একজন নবী আসবেন যিনি কিনা মসিয়াহর চেয়ে ভিন্ন কেউ হবেন। [২৭] তার এই কথা গুলো শুনে কিছু মানুষ বলে উঠে, "নিশ্চয়ই এই ব্যক্তিই হচ্ছেন নবী।" কিছু মানুষ বলে, "ইনি হচ্ছেন মসিয়াহ।" তখন অন্যরা প্রশ্ন জুড়ে, "মসিয়াহ কিভাবে গাইলি থেকে আসবেন?" (জন ৭ঃ৪০-৪১)[২৮]
ডটেরোনোমি, ৩৩ঃ২
"তিনি বললেন, "স্রষ্টা সিনাই থেকে এসেছেন এবং আমাদের উপর সেইর প্রবর্তন করেছেন, যিনি কিনা পারান পর্বত থেকে উন্মেষ হবেন; যিনি দশ হাজার পবিত্র জনের একজন ডান হাতে জ্বলন্ত আগুন নিয়ে আসবেন।" "
— ডটেরোনোমি ৩৩ঃ২
আল-সামওয়াল আল-মাগরিবি এই বাণীতি নিজের বইয়ে মুহাম্মদের নবীত্বের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বানী বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সিনাই এখানে মোজেস অর্থে ব্যবহৃত অয়েছে। সাইর পর্বত। "এসাউর পর্বত" দ্বারা যীশু এবং পারান পর্বত "ইশমায়েলের পর্বত" দ্বারা মুহাম্মদকে বোঝানো হয়েছে।[২৯]
কিছু মুসলমান আবার ডটেরোনোমি ৩৩ঃ২ এর সাথে কোরআনের ৯৫ঃ১-৩ এর মিল খুঁজে পান। যেখানে "ডূমুর ও জলপাই" দ্বারা যীশু, "সিনাই পর্বত" দ্বারা মোজেস এবং "মক্কা" দ্বারা মুহাম্মদকে বোঝানো হয়েছে।[৩০]
"দশ হাজার পবিত্র ব্যক্তি" দ্বারা মুহাম্মদের দশ হাজার সঙ্গীর কথা বলা হয়েছে।.[৩১] দেখুনঃ মক্কা বিজয়
সাল্ম, ৪৫
সাল্ম (৪৫ঃ১-১৭) রাজার প্রশংসাবানী সম্বলিত একটি ভবিষদ্বানী ও সঙ্গীত। অনেক মুসলমান গবেষক নিম্নোক্ত কারণে এই রচনাকে মুহাম্মদের জন্য রচিত বলে উল্লেক্ষ করেন।[৩২][৩৩]
- রাজার সৌন্দর্যঃ "আপনি সবচেয়ে চমৎকার পুরুষ" [সাল্ম ৪৫ঃ২]
- রাজার তলোয়ার এবং শত্রু বিরুদ্ধে জয়" "সাথে থাকা তলোয়ার নিয়ে আপনি শক্তিশালী, জাঁকজমক পোশাকে আপনি মান্যবর। সত্য, সম্মান ও সুবিচারের জন্য বিজয় অভিযান চালিয়ে যান, আপনি মান্যবর। আপনার ডান হস্ত সকল অবিশ্বাস্য অর্জন করুক। আপনার ধারালো তীর ভেদ করে যাক শত্রু দলের রাজার হৃদয়, তারা ধ্বসে পড়ুক আপনার পদপ্রান্তে।" [সাল্ম ৪৫ঃ৩-৫]
- রাজার কন্যা [আয়েশা, হাফসা ও সাফিয়া] এই রাজার সবচেয়ে সম্মানিত নারীঃ"রাজার কন্যারা আপনার সবচেয়ে সম্মানিত নারী" [সাল্ম ৪৫:৯]
- রাজা ডেভিড সাফিয়া বিনতে হুওয়াই কে "তার কন্যা" বলে অভিহিত করেন, যিনি কিনা মহাম্মদের বিবাহিত স্ত্রী ছিলেন। "মনোযোগ দিয়ে শুনো, কন্যা। নিজের মানুষ এবং পিতৃঘর ভুলে যাও। রাজাকে তোমার সৌন্দর্যে বিমোহিত হতে দাও,তাকে শ্রদ্ধা কর। তোমার জন্য তিনিই তোমার মালিক।" [সাল্ম৪৫ঃ১০-১১]
- রাজা আল-মুকাকিস কর্তৃক তার নিকট প্রেরিত উপহার" "টির শহর আপনার কাছে উপহার হিসেবে আসবে, ধনী লোকজন আপনার বদান্যতা চাইবে।" [সাল্ম ৪৫:১:১২]
- তার নাম "উচ্চ প্রশংসিত": "আমি আপনার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখবো সকল বংশধরের মাঝে ছড়িয়ে দিব। জাতি আপনার প্রশংসা করবে চিরকাল ধরে।" [সাল্ম৪৫ঃ১৭]
সাল্ম,১১০ঃ১
ডেভিডের একটি সাল্ম। স্রষ্টা আমার মালিককে জানিয়েছেন, "আমার ডানে থাকো, যতক্ষন না আমি তোমার শত্রুদলকে তোমার পদতলে নিয়ে আসি।"
— সাল্ম ১১০ঃ১
একাধিক মুসলমান লেখক, যেমন আফজাল-উর-রহমান এবং ডেভিড বেঞ্জামিন কেলদানি বলেন যে, সাল্ম ১১০ঃ১ আসলে মুহাম্মদ ও তার আল-ইসরা এবং আল-মিরাজের দিকে যাত্রার ভবিষ্যদ্বাবী করে। [৩৪][৩৫] সুসমাচারে , যীশু এই বাণী তার নিজের জন্য বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এখানে "আমার মালিক" দ্বারা খ্রিস্টকে বোঝানো হয়েছে। খ্রিস্ট উপাধি তিনি পরবর্তীতে নিজেই ধারন করেন। [৩৬]
ইসাইয়াহ, ২৯ঃ১২
এবং তার প্রতি বই প্রেরিত হয়, যা তিনি শিখেননি, বলা হয়, এটা পড়, আমি তোমার প্রার্থনা করি। সে বলে, আমি পড়তে জানি না।
— ইসাইয়া ২৯ঃ১২
জাকির নায়েক এই বাণীটি মুহাম্মদকে নিয়ে করা ভবিষ্যতদ্বানী বলে উল্লেখ করেন। কেননা উল্লেখিত আছে যে, যখন বাণী নিয়ে গ্যাব্রিয়েল মুহাম্মদের কাছে আসে এবং পড়তে বলে, মুহাম্মদ জানায়, "আমি পড়তে জানি না।"[৩৭] একই বাণী খ্রিস্টান গবেষকেরা অবশ্য অন্য চোখে দেখে। তাদের মতে এই বাণী অবিশ্বাসীদের জন্য, যারা নবী ইসাইয়াহের কথা বুঝতে পারেনি বা অবিশ্বাস করেছিল। তার দর্শন ছিল সীল করে দেয়া বইয়ের মতো যা প্রকান্তরে গুপ্ত ছিল।[৩৮]
ইসাইয়াহ, ৪০
অরণ্যের মাঝে একজনের কান্নার কণ্ঠ বলে উঠে, মরুভূমিতে স্রষ্টার দিকে সরাসরি যোগাযোগের রাস্তা তৈরিতে নিজের মালিকের পথে তৈরি হও।
— ইসাইয়াহ ৪০ঃ৩
খ্রিস্টানরা এই বক্তব্যকে বাপ্টিস্ট জনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে বলে মানেন। যিনি কিনা যীশুর কাজিন ছিলেন। তিনি অরণ্যে বাস করতেন এবং যীশুর আগমন উল্লেখ করেছিলেন। মার্কের গসপেলে এই বাণী সরাসরি বাপ্টিস্ট জনকে উল্লেখ করেছে বলে দাবী করে। [৩৯] ইসাইয়াহ ৪০ঃ৩-৫ এর ব্যাখ্যা মুসলমান সমাজে অবশ্য মুহম্মদকে ইঙ্গিত করে দেয়া বলেই প্রচলিত। [৪০][৪১]আলী উনাল কোরআনের [ সুরা ফাতিহা ১:৬-৭ ] এক্ষেত্রে উল্লেখ করেন, যাতে বলা হয়েছে, "আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,[১ঃ৬] সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।[১ঃ৭] "
ইসাইয়া, ৪২
"সাবধান! আমার দাস, যাকে আমি তুলে ধরি, আমার নির্বাচিত জন, যার মাঝে আমার আত্মা উদ্ভাসিত হয়! আমার আত্মা আমি তার মাঝে দেখেছি। সে সুবিচার নিয়ে আসবে 2 সে চিৎকার করবেনা কিংবা রাস্তাঘাটে তার উচ্চস্বর শোনা যাবে না।. 3 কোন শুকনো নলখাগড়া সে ভাঙবে না, এবং কোন তিসিবীজে ধুম্রপাণ করবেনা। সত্যের দ্বারা সুবিচার নিয়ে আসবে সে। 4 সে ব্যর্থ হবে না, উৎসাহ হারাবে না। পৃথিবীতে সে সুবিচার নিয়ে আসার আগ পর্যন্ত, দ্বীপ্পুঞ্জে তার আইন নিয়ে আসার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করণীয়।
— ইসাইয়া ৪২ঃ১-৪
ইসাইয়াহ ৪২ মুসলমানদের মাঝে অনেক আগে থেকেই মুহম্মদ সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বানী হিসেবে ব্যবহৃত। মুহম্মদের সময়কাল থেকেই মুসলমানরা বিশ্বাস করে একমাত্র মুহম্মদই এককভাবে সেই ভবিষ্যদ্বানীর সত্যতা প্রমান করে। [৪২][৪৩] প্রথম বাক্যের "সাবধান আমার দাস, যাকে আমি তুলে ধরেছি,আমার নির্বাচিত" কথাটি হিব্রুতে অনুবাদ করলে। "আমি তুলে ধরেছি" হচ্ছে "אתמך"(এতমোখ)। এই শব্দ বাইবেলের অন্য কোথায় আসে নি। মুসলমান লেখকেরা এই এতমোখ ( "אתמך") শব্দের সাথে আরেকটি শব্দের লিখনীর "אחמד" মিল খুঁজে পান, যা হল আহমাদ। এতদ্বারা প্রভু করতৃক নির্বাচিত ব্যক্তি হল আহমাদ, এরকম যুক্তি দাঁড় করানো হয়েছে।[৪৪]
মুহম্মদের স্ত্রী,আয়িশা ,যিনি কিনা আবু বকরের কন্যা বিশ্বাস করতেন মুহম্মদ এই ইসাইয়াহ ৪২ এর ভবিষ্যদ্বানী পূরণ করেছেন। আব্দ আল্লাহ ইবনেয়ামর ইবনে আল-আস,কা'আব আল-আহবার, এবং আবদুল্লাহ ইবনে সালামও এই দলের অন্তর্ভূক্ত।
ইসাইয়া ৪২ঃ১৩ কে মুসলমান সাম্রাজ্য জয় নিয়ে উল্লেখ আছে বলে বিশ্বাস করা হয়। . বিশ্বাস করা হয় যে, "নতুন গান" দ্বারা আরবি ভাষার কোরআন অথবা ইসলাম ধর্মের প্রার্থনার ডাক আজানকে বোঝানো হচ্ছে। .[৪৫] দ্বীপ্পুঞ্জ দ্বারা ইন্দোনেশিয়া কিংবা মালয়েশিয়া বোঝানো হতে পারে। [৪৬]
সেলা পর্বত দ্বারা মদিনার পর্বত এবং১১তম লাইনে উল্লেখিত মুহম্মদের পূর্বপুরুষ কেদার এর উল্লেখ মুসলমানরা প্রমান হিসেবেই মেনে নেয়। [৪৭]
ইসাইয়াহ, ৫৪
"গাও, ও ব্যারেন, তুমি যে এখনো জন্মাও নি। গেয়ে এবং উচ্চস্বরে কেঁদে ভাঙ্গোন ধরাও। তুমি, যে এখনো গর্ভে ধারণ করনি। বিবাহিত নারীদের বাচ্চাদের চেয়ে নিঃসঙ্গ বাচ্চাদের জন্য। " প্রভু বলেন।
— ইসাইয়াহ ৫৪ঃ১
মুসলমান লেখকেরা দাবী করেন "ব্যারন" দ্বারা এখানে মক্কাকে বোঝানো হয়েছে, কেননা মুহম্মদের আগে কোন নবী আসেনি। রাহ্মাতুল্লাহ কাইরানাবি বলেন, "সন্তান গর্ভে আসেনি" দ্বারা বোঝানো হচ্ছে " আগে কোন নবী আসেনি"। [৪৯] তারা দাবী করেন, "নিঃসন্তান নারী" হল হাজেরা, "বিবাহিত নারী" দ্বারা সারাহকে বোঝানো হয়েছে। [৫০]
"তোমার তাঁবুর বিস্তার ঘটাও, তাঁবুর পর্দা টেনে দাও আরো বিস্তৃত করে, পিছুপা হয়ও না। তারগুলো লম্বা কর, ভিত্তি মজবুত করে। তমার ডানে এবং বামে বিস্তৃত কর।
— ইসাইয়া ৫৪ঃ২-৩
এই অংশটিকে মুসলমান সাম্রাজ্যর বিস্তৃতির ভবিষ্যদ্বানী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ড্যানিয়েল,৭
রোমান সাম্রাজ্যের চোখে চতুর্থ পশু বলে উল্লেখিত ড্যানিয়েল ৭ নিয়ে একাধিক মুসলমান লেখকেরা কথা বলেছেন।[৫১] ১০ শিং দ্বারা রোমান সাম্রাজ্যের ১০ পরাশক্তি যারা কিনা ১০টি বড় ধরনের নিপীড়ন নিগ্রহ চালিয়েছিলেন, তা অভিহিত করা হয়।
- নিরো.
- ডোমিটিয়ান
- ট্রাজান
- মারকুস অরেলিয়াস
- সেপ্টিমাস সেভেরাস
- ম্যাক্সিমিনাস
- ডিসিয়ুস
- ভ্যালেরিয়ান
- অরেলিয়ান
- ডিওক্লেটিয়ান[৫২]
১১তম শীং বলা হয় রোমান স্ম্রাট কন্সটানটাইন ১ এবং নিসিইন ক্রীডকে তারা সময় ও আইনের পরিবর্তন আনেন। [৫৩] নিসীইন খ্রিস্টান যীশুর পথালম্বী আরিয়ানদের সাড়ে তিন শতকের জন্য নিপীড়ন করেন, যা ইসলাম সাম্রাজ্যের উদ্ভবের আগ অব্দি বহাল ছিল। [৫৪]ড্যানিয়েল ৭ঃ২৫ এ নিয়ে বলা হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, "একজন, যে কিনা মানবপুত্রের মত" দ্বারা মুহম্মদ ও তার স্রষ্টা কর্তৃক সিংহাসনে অধিষ্ঠিত পদকে বলা হয়। [৫৫] কন্সটাটাইন ১ বাকি তিনজন শিং লিসিনিয়াস,ম্যাক্সেন্টিউস ও ম্যাক্সিমিয়ানকে দমন করেন। [৫৬]
হাবাক্কুক,৩ঃ৩
প্রভু দক্ষিণ দিক থেকে আসবেন, পবিত্র ফারান পর্বত থেকে আর গৌরব স্বর্গ ছাপিয়ে যাবে, পৃথিবী ভরে উঠবে তার প্রশংসায়।
— হাবাক্কুক, ৩ঃ৩
যেহেতু যূশুর সাথে ফারান পর্বতের কোন সংযোগ নেই, তাই মুসলমানরা দাবী করেন, এটি মূলত "ইশমায়েলের পর্বত" এবং "পবিত্র একজন" এখানে মূলতঃ মুহম্মদ[৫৭] তারা দক্ষিণ থেকে আগত দ্বারা ফিলিস্তিনের দক্ষিণ বা হেজাজ বোঝায়।
ক্যানোনিকাল গস্পেল
দুষ্ট কৃষকের নীতিগল্প
ম্যাথিউস (২১ঃ৩৩-৪৬) কাইসের মতো মুসলমান লেখক দ্বারা ভিন্নভাবে ব্যাখা হয়েছে। এতে আঙ্গুরের ক্ষেত দ্বারা প্রভুর রাজ্য,দাস দ্বারা স্রষ্ট কর্তৃক প্রেরিত নবী এবং তাবূতে বাসরত কৃষকদের দ্বারা ইজরায়েলের অধিবাসীদের বোঝানো হয়েছে। ইসরায়েলের লোকজন নিজেদের মাজ্ঝে খুনোখুনি করতো, স্রষ্টা তার প্রিয় দাস যীশুকে পাঠালে, তারা তাকেও হত্যার চেষ্টা চালায়। এই কারনেই যীশু বলেন, " প্রভুর রাজ্য তাদের থেকে নয়ে নেয়া হবে এবং যারা ফল ফলাতে পারে, তাদের(মুহম্মদ ও তার জাতি) হাতে সমর্পণ করা হবে। [৫৮]
মুসলমানরা উক্ত নীতিগল্পটি নিচের হাদিসের আলোতে দেখেন, [৫৯][৬০]
আবু হুরাইয়া কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর প্রেরিত রাসূল বলেছেন, "আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণের অবস্থা এমন, এক ব্যক্তি যেন একটি গৃহ নির্মাণ করল; তাকে সুশোভিত ও সুসজ্জিত করল, কিন্তু এক পাশে একটি ইটের জায়গা খালি রয়ে গেল। অতঃপর লোকজন এর চারপাশে ঘুরে আশ্চর্য হয়ে বলতে লাগল ঐ শূন্যস্থানের ইটটি লাগানো হল না কেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমিই সে ইট। আর আমিই সর্বশেষ নবী। (মুসলিম ৪৩/৭ হাঃ ২২৮৬, আহমাদ ৭৪৯০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৮০)"[৬১]
কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় ইহুদীদের উপরে পূর্বে স্রষ্টা কর্তৃক অবতীর্ন নবী হত্যার ব্যাপারে দোষারোপ করা হয়েছে।
কোরআন ২ঃ৯১ যখন তাদেরকে বলা হয় আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তাতে বিশ্বাস কর। তারা বলে আমাদের নবীর প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে আমরা তাতে বিশ্বাস করি। তা ছাড়া সব কিছুই তারা প্রত্যাখ্যান করে। যদিও এ কোরআন সত্য এবং তাদের কাছে যা আছে তা (কোরআনকে) সমর্থন করে। হে নবী! আপনি তাদের বলুন, যদি তোমরা অতীতে তোমাদের ওপর অবতীর্ণ হওয়া বিষয়ের প্রতি বিশ্বাসী হতে তবে কেন তোমরা অতীতে নবীদেরকে হত্যা করেছিলে"
কোরআন ২ঃ৮৭ অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি। এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে রসূল পাঠিয়েছি। আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে সুস্পষ্ট মোজেযা দান করেছি এবং পবিত্র রূহের মাধ্যমে তাকে শক্তিদান করেছি। অতঃপর যখনই কোন রসূল এমন নির্দেশ নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছে, যা তোমাদের মনে ভাল লাগেনি, তখনই তোমরা অহংকার করেছ। শেষ পর্যন্ত তোমরা একদলকে মিথ্যাবাদী বলেছ এবং একদলকে হত্যা করেছ।
খ্রিস্টানরা দাবী করে যে, যীশু নিজেই এই গল্পের মিস্ত্রি কর্তৃক বর্জিত চরিত্র প্রধান চরিত্র। যদিও যীশু এখানে তাবুবাসী দ্বারা বর্জিত হন, মিস্ত্রী কর্তৃক নয়।..[৬২] বাইবেলের বিশ্বাসীরা এখানে ভাষাগত তত্ত্ব এনে এই দাবীকে সমর্থন যোগান।[৬৩]
স্বপক্ষে
জন, ১৪ঃ১৬: "আমি পিতার কাছে প্রার্থনা করব, তিনি সাহায্যকারী পাঠাবেন । সে সব সময় তোমাদের পাশেই থাকবে।" জন, ১৫ঃ২৬: যখন সেই সাহায্যকারী আসবেন, যাকে আমি পিতার উপস্থিতিতে তার কাছ থেকে তোমাদের কাছে পাঠাবো -- যেই আত্মা পিতার উপস্থিতিতে সত্য নিয়ে আসবে-- সে আমার ব্যাপারে স্বাক্ষী হবে।" [৬৪] জন,১৬ঃ৭: "বরং, আমি তোমাদের সত্যি কথাটি বলি। আমি চলে গেলেই তোমাদের সবার জন্য ভাল হবে। কারণ আমি না গেলে সেই সাহায্যকারী আসবে না আর আমি গেলেই সে এখানে আসবে।"[৬৫] জন, ১৬ঃ১২-১৪: 12 ‘তোমাদের বলবার মতো আমার এখনও অনেক কথা আছে; কিন্তু সেগুলো তোমাদের গ্রহণ করার পক্ষে এখন অতিরিক্ত হয়ে যাবে৷ 13 সত্যের আত্মা যখন আসবেন, তখন সে সকল সত্যের মধ্যে তোমাদের পরিচালিত করবেন৷ সে নিজে থেকে কিছু বলেন না, কিন্তু সে যা শোনে তাই বলে, আর আগামী দিনে কি ঘটতে চলেছে তা এই সত্যের আত্মা আত্মা তোমাদের কাছে বলবে৷ ১৪ এটি আমাকে মহিমান্বিত করবে, কারণ আমি যা বলি তাই এটি গ্রহণ করবে এবং তোমাদের তা বলবে৷ [৬৬]
মুসলমান লেখকেরা সত্যের আত্মাকে একজন মানুষ নবী বলে মানেন। তাই এই বাণীগুলো তার নিজের স্বপক্ষে নয় বরং মুহম্মদের উদ্দেশ্যে ভবিষ্যদ্বানী বলে দাবী করেন। তবে খ্রিস্টানদের মতে, এই বাণিমালায়, যীশু "সত্যের আত্মা" বোঝাতে ব্যক্তিবাচক সর্বনাম ব্যবহার করেনি বরং ববস্তুবাচক সর্বনাম ব্যবহার করেছেন। যা দ্বারা প্রমাণিত হয়, সত্যের আত্মা কোন ব্যক্তি নয়। জন ৪ঃ১-৩ এও একই ভাবে বস্তুবাচক সর্বনামের ব্যবহার করা হয়েছে।
"প্রিয়, সকল আত্মাকে বিশ্বাস করিও না। বরং যেসমস্ত প্রভু কর্তৃক প্রেরিত, সেগুলোকে বিশ্বাস কর। কারণ, বিশ্বে অনেক ভুয়া নবী চলে এসেছে।" (জন.৪ঃ১-৩) [৬৭] অনেক মুসলমান লেখক "আরেক উকিল" যীশু নিজের জন্য জন২ঃ১।[৬৭] ব্যবহার করেছেন। এই দাবী মূলতঃ কোরআনের ৬১তম সূরার ৬ নাম্বার আয়াত থেকে আসে। একজন খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম নেয়া মুসলমান গবেষক ইবনে ইসহাক সবার প্রথম এই দাবী করেন। .[৬৮] ডেভিড বেঞ্জামিন কেলদানির মতো কিছু মুসলমান লেখক অবশ্য বাইবেলে ব্যবহৃত Paraclete শব্দটি গ্রীক শব্দ periklytos থেকে এসেছে বলে দাবী করেন। শব্দটির অর্থ যশপূর্ণ, প্রশংসনীয় যামুহম্মদের অন্যনাম "আহমদ" শব্দের অর্থের সাথে মিলে। [৬৯][৭০]
আরেকজন মুসলমান মিশনারি Paraclete বা উকিল শব্দটি মুহম্মদের চেয়ে বাইবেলে বর্ণিত সত্যের আত্মার জন্য বেশি মানানসই বলে দাবী করেন। আহমেদ দীদাত দেখিয়েছে, যীশু পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার আগেও বিভিন্ন সময় সত্যের আত্মা শব্দজোড়া ব্যবহার করেছিলেন। [৭১]
খ্রিস্টানরা বলে, এইসকল ভবিষদ্বানীতে বর্ণিত সাহায্যকারী মূলতঃ সত্যের আত্মা। অন্য একটি বার্তায়, একমাত্র যীশু চলে গেলেই এই সাহায্যকারী আসবেন বলে বলা হয়েছে। [৩৭] মুহম্মদের একাধিক নামের মাঝে অন্যতম একটি নাম হ আস-শফি (in Arabic: الشفيع) যার অর্থ উকিল বা মধ্যস্থতাকারী । [৭২] একারনেও অনেকে বাইবেলে বর্ণিত উকিল আসলে যে মুহম্মদ তা বিশ্বাস করেন। [৭৩]
ইবনে ইসহাক ছাড়াও ইবনে তাইমিয়্যাহ, ইবনে কাথির, আল-কুরতুবি,রাহমাতুল্লাহ কাইরানাওয়াবির মতো মুসলমান গবেষকেরা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন। .[৭৪]
বারনাবাসের গস্পেল
মুহাম্মদ আবু জাহরার মতো কিছু মুসলমান দাবী করেন বর্তমানে যুগের বাইবেল বিকৃত হয়েছে। যীশু কর্তৃক বর্ণিত বেশ কিছু শুদ্ধ উক্তি বর্তমানের বাইবেল থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। পুরনো শুদ্ধ বারবানাসের গস্পেলে এখনো মুহম্মদ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাবানী ছিল। .[৭৫] আলেক্সান্দ্রিয়ার গীর্জাগুলোতে ৩২৫ সাল অব্দি বারবানাসের গস্পেল স্বীকৃতি প্রাপ্ত ছিল বলে পরবর্তীতে একজন মুসলমান লেখক আতা উর-রহিম দাবী করেন।[৭৫] রেঁনেসা যুগে এসে এই বারবানাসের গস্পেলে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়। [৭৬][৭৭][৭৮]
বাইবেলে মুহম্মদের সাথের লোকজন
কোরআন এর ৪৮ঃ২৯তে উল্লেখ আছে যে, "যারা মোহাম্মদের সাথে"র মানুষদের ব্যাপারে তোরায় বা তাওরাতে বর্ণিত আছে।
কোরআন ৪৮ঃ২৯ মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চা ষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।
এই আয়াত অনুসারে, "যারা মুহম্মদের সাথে থাকে" তাদেরকে তোরা বা তাওরাতে যারা মাথা নিচু করতো, প্রার্থনায় হাঁটু মুড়ে বসতো এবং স্রষ্টার সন্তুষ্টি ও দয়া প্রার্থনা করতো তাদের সাথে উদাহরণ দেয়া হয়। বাইবেলে উল্লেখিত চরিত্রগুও মুসলমানদের ধর্মীয় ইতিহাসে পাওয়া যায় এবং এই চরিত্রগুলোর প্রার্থনা ভঙ্গিতে মিল ছিল।
জেনেসিস ১৭ঃ৩-৪ এবং আব্রাহাম "নিজের চেহারা মাটিতে ফেলে" এবং স্রষ্টা তার সাথে কথা বলেন, বলেন। আমার জন্য, শোনো, আমার প্রতিজ্ঞা তোমার সাথে, তুমি হবে অনেক জাতির পিতা।
নম্বর ১৬ঃ২০-২২ এবং প্রভু মোজেস এবং এরনকে বলেন, নিজেদের এই জনসমাগম থেকে আলাদা করো, আমি তাদের হয়তো অল্প সময়ের ব্যবধানেই শেষ করে দিব। আর তারা "নিজেদের চেহারা মাটিতে লুটালো"। এবং তারা বলল, ও প্রভু, সকল মাংস শরীরের মধ্যে থাকা আত্মার প্রভু, একজনের পাপে, সমগ্র জনসভাকে শেষ করে দেয়া কি মানায়?
সাল্ম ৯৫ঃ৬ আসো, চলো একসাথে "মাথা নত করি" প্রার্থনায় "হাঁটু ভেঙে বসি" আমাদের স্রষ্টা প্রভুর সামনে।
১ কিংস ১৮ঃ৪২ তাই আহাব উঠলো, খেলো এবং পান করলো। এবং এলিজাহ কারমেলের উপরে উঠল। এরপর সে "মাটিতে মাথা নিচু করলো এবং তার মাথা দুই হাঁটুর মাঝে রাখলো"।
নেহেমিয়াহ ৮ঃ৬ এজরা সর্বসেরা ঈশ্বর প্রভুর প্রশংসা করলো, এবং অন্য সকলে তাদের হাত তুললো এবং বললো, "আমেন! আমেন!" এরপর তারা "মাথা নোয়ালো" এবং "মাটিতে চেহারা নামিয়ে" প্রার্থনা করলো স্রষ্টার।
ম্যাথু ২৬ঃ৩৯ এবং সে [যীশু] কিছুটা এগিয়ে গেলো, এবং "নিজের চেহারায় লুটিয়ে পড়লো" এবং প্রার্থনা করলো, এই বলে, ও আমার পিতা, যদি সম্ভব হয়, এই পেয়ালা আমার থেকে পাশ কাটিয়ে দাও। অন্তত যেভাবে আমি চাই নাহলেও যেভাবে আপনি চাইবেন।"
লিউক ৬ঃ১২ এবং দিনের পরম্পরায় দেখা গেল, তিনি [যীশু] পাহাড়ে উঠলেন প্রার্থনা করতে, এবং "সারা রাতব্যাপী ঈশ্বরের প্রার্থনায়" রত থাকলেন।
- এই বাক্যমালা অনুসারে "মুহম্মদের সঙ্গীরা" এই নীতিগল্পের "বীজগুলোর মতো, যেগুলো অঙ্কুরোদগমের পর, চারা হয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
- বাড়ন্ত বীজের নীতিগল্প
ইসলামের বাইরের দৃষ্টিভঙ্গি
খ্রিস্টান ধর্মের শুরুর দিকের লেখকেরা মুহম্মদকে বাইবেলে মুহম্মদকে খ্রিস্ট বিরোধী, ভুয়া নবী অথবা ভুয়া মসিয়াহ হিসেবে ভবিষ্যদ্বানী করা ছিল বলে দাবী করেন। আলবার্ট হুরানীর মতে,বাইবেল অনুসারে খ্রিস্টানরা মুহম্মদকে ভুয়া নবী হিসেবে মানতো বলেই মুসলমান ও খ্রিস্টানদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের শুরু হয়েছে। [৮০] ৭ম শতকের দামাস্কাসের জন সর্বোপ্রথম এই ধারণার প্রচার করেন। [৮১] ৮৫০ খ্রিস্টপূর্বে এক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় একজন খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক মুহাম্মদকে ম্যাথুউ ২৪ঃ১৬,৪২ অনুসারে মুহম্মদকে ভুয়া নবী বললে করদোবারে ৫০ জন খ্রিস্টান সৈন্য শহীদ হয়। [৮২] জন ক্যাল্ভিয়ান অবশ্য বলেন, খ্রিস্ট বিরোধী কোন একক ব্যক্তি না বরং একক রাজ্য যা বংশপরম্পরায় বিস্তার করবে। তিনি মুহম্মদের সাথে ক্যাথলিক পোপদেরকেও খ্রিস্টবিরোধী বলে উল্লেখ করেন। [৮২]
The prophecy of the "Four kingdoms of Daniel" in Chapter 7 of the Book of Daniel has also been interpreted by Christians as a prediction of Muhammad. Eulogius argued that Muhammad was the Fourth Beast in the prophesy.[৮৩] Another medieval monk, Alvarus, argued that Muhammad was the "eleventh king" that emerged from the Fourth Beast. According to historian John Tolan,
In Daniel's description of this beast, Alvarus sees the career of the Antichrist Muhammad and his disciples. This eleventh king who arises after the others, "diverse from the first," who subdues three kings, is it not Muhammad, who vanquished the Greeks, the Romans, and the Goths? "And he shall speak great words against the most High": did he not deny the divinity of Christ, thus, according to Saint John, showing himself to be an Antichrist? He "shall wear out the saints of the most High": is this not a prediction of the persecutions inflicted by the Muslims, in particular of the martyrdoms of Córdoba? He will "think to change times and laws": did he not introduce the Muslim calendar and the Koran? "[৮৪]
Since the seventh century, the Prophet of Islam's name has been the focus of several stereotypes. Greek and Latin sources presented exaggerated and sometimes wrong stereotypes in literature, and the orthographic forms, which varied among them, were shared by two Western cultures: Spain and France. These variants and forms of the Prophet of Islam's name formulated stereotypes that molded the opinion and feelings of the West toward the leader of the new religion. Their references played a principal role in introducing Muhammad and his religion to the West as a false prophet who wrote the Koran, a Saracen prince or deity, the biblical beast, a schismatic from Christianity, a satanic creature, and the Antichrist.[৮৫]
আরো দেখুন
টিকা
ব্যাখামূল পাদটিকা
তথ্যসূত্র পাদটিকা
- ↑ "Mohammed and Mohammedanism (Islam)"। Catholic Encyclopedia। Newadvent.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৫।
- ↑ Kais Al-Kalby (2005). Prophet Muhammad: The last Messenger in the Bible. p. 207
- ↑ David Benjamin Keldani (2006 edition). Muhammad in World Scriptures. p. 42.
- ↑ David Benjamin Keldani (2006 edition). Muhammad in World Scriptures, p. 45
- ↑ "Douay-Rheims translation"। Latinvulgate.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১৬।
- ↑ al-Maghribi, Al-Samawal; Taweile, Abdulwahab. بذل المجهود في إفحام اليهود [Confuting the Jews] (in Arabic) (1st 1989 ed.). Syria: Dar Al Qalam. p 75
- ↑ al-Maghribi, Al-Samawal; Taweile, Abdulwahab. بذل المجهود في إفحام اليهود [Confuting the Jews] (in Arabic) (1st 1989 ed.). Syria: Dar Al Qalam. p 77
- ↑ Jami` at-Tirmidhi » Chapters on Tafsir, English reference: Vol. 1, Book 44, Hadith 3278, Arabic reference: Book 47, Hadith 3589
- ↑ Al-Mustadrak 'ala al-Sahîhayn, Hadith number: 4099
- ↑ As-Seerah Al-Halabiyyah, Ali ibn Burhanuddin Al-Halabi, volume 1, p 138-139
- ↑ Dr. Abdel-Halim Mahmoud, الإسراء و المعراج (al-Isra and al-Mi'raj), in Arabic, 11th edition 2004, আইএসবিএন ৯৭৭-০২-৬৭১১-২
- ↑ Abd Allah ibn Abbas reported that Muhammad saw God twice: http://sunnah.com/muslim/1/343
- ↑ It was also reported that Imam Hasan Al-Basri would take an oath upon insisting that the Prophet saw his Lord. http://mauritianmuslim.co.uk/The%20Isra%20and%20Mi%27raaj%20completed.pdf
- ↑ Imam Ahmad ibn Hanbal was asked if the Prophet saw his Lord. He said, ‘he saw him, he saw him’ until he became breathless. (p. 537 Ibid.) http://mauritianmuslim.co.uk/The%20Isra%20and%20Mi%27raaj%20completed.pdf
- ↑ https://islamqa.info/ar/12423
- ↑ Holy Quran 6:104
- ↑ Sunnan Tirimdhi, Volume No. 5, Page No. 368-369, Tafsir Surah S'ad, Hadith No. 3235
- ↑ Sahih al-Bukhari » Book of Companions of the Prophet
- ↑ Sahih Muslim » The Book of the Merits of the Companions
- ↑ Sunan Ibn Majah » The Book of the Sunnah
- ↑ Jami` at-Tirmidhi » Chapters on Virtues
- ↑ English Translation of the Holy Quran: With Explanatory Notes, by Muhammad Ali and Zahid Aziz, Revised 2010 edition, আইএসবিএন ৯৭৮-১-৯০৬১০৯-০৭-৩, p 627
- ↑ The Messenger of God Muhammad, Fethullah Gülen, 2008, আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৭৮৪-১৩৭-৫, p 11
- ↑ English Translation of the Holy Quran: With Explanatory Notes, by Muhammad Ali and Zahid Aziz, Revised 2010 edition, আইএসবিএন ৯৭৮-১-৯০৬১০৯-০৭-৩, p 732
- ↑ Prophet Muhammad: The last Messenger in the Bible, Kais Al-Kalby (2005). আইএসবিএন ০-৯৬৩৮৫২০-২-৭, p 397
- ↑ https://www.biblegateway.com/passage/?search=John+1%3A20%2CJohn+1%3A21&version=NIV
- ↑ https://islamhouse.com/bn/books/438807/
- ↑ https://www.biblegateway.com/passage/?search=John+7%3A40-41&version=NIV
- ↑ al-Maghribi, Al-Samawal; Taweile, Abdulwahab. بذل المجهود في إفحام اليهود [Confuting the Jews] (in Arabic) (1st 1989 ed.). Syria: Dar Al Qalam. p 67
- ↑ Kais Al-Kalby, 2005, p 223
- ↑ Kais Al-Kalby, 2005, p 221
- ↑ Rahmatullah Kairanawi, Izhar ul-Haq (Truth Revealed), Council of Senior Scholars (Saudi Arabia) 1989, p 1143
- ↑ Munqidh As-Saqqar, p24
- ↑ Muhammad, encyclopaedia of seerah, 1st volume, Afzal-ur-Rahman, 1985, p 143
- ↑ David Benjamin Keldani, 2006, p 80-85
- ↑ Mark 12:35-37 & 14:61-62.
- ↑ ক খ "Islamic Research Foundation"। Irf.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৫।
- ↑ A Catholic Commentary on Holy Scripture, commentary on Isaiah 29; Gills exposition [১]; Barnes notes on the bible [২].
- ↑ Mark 1:2-4
- ↑ Margaret S. King, in the second part of Chapter 13 of her book "Unveiling The Messiah in the Dead Sea Scrolls".
- ↑ Ali Ünal, 2013, chapter about the straight highway of the Lord in Arabia.
- ↑ Al-Mustadrak 'ala al-Sahîhayn, Hadith number 4224
- ↑ "Hadith - Book of Dealing with people cheerfully - Al-Adab Al-Mufrad - Sunnah.com - Sayings and Teachings of Prophet Muhammad (صلى الله عليه و سلم)"। sunnah.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-২৪।
- ↑ Qur'an 21:107
- ↑ Jamal Badawi, 2005, p 39
- ↑ In Search of God, Mohamed Gad, 2009, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫৯৫-৩৩৬৪৪-৯ (pbk), আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫৯৫-৭৮৪৪৬-২ (ebk), USA, p 28
- ↑ Kais Al-Kalby, 2005, 267
- ↑ Rahmatullah Kairanawi, Izhar ul-Haq (Truth Revealed), Council of Senior Scholars (Saudi Arabia) 1989, p 1161
- ↑ Rahmatullah Kairanawi, Izhar ul-Haq (Truth Revealed), Council of Senior Scholars (Saudi Arabia) 1989, p 1160
- ↑ Rahmatullah Kairanawi, Izhar ul-Haq (Truth Revealed), Council of Senior Scholars (Saudi Arabia) 1989, p 1159
- ↑ David Benjamin, Malaysian edition 2006 ed, p 54
- ↑ Nasrullah Abu Talib, 4th 2009 ed, p 85
- ↑ David Benjamin, Malaysian edition 2006 ed, p 52-74
- ↑ Nasrullah Abu Talib, 4th 2009 ed, p 90
- ↑ David Benjamin, Malaysian edition 2006 ed, p 63
- ↑ Nasrullah Abu Talib, 4th 2009 ed, p 86
- ↑ Munqidh As-Saqqar, 1st 2007 ed, p 87
- ↑ Kais, 2005, p 387
- ↑ Rahmatullah Kairanawi, Izhar ul-Haq (Truth Revealed), Council of Senior Scholars (Saudi Arabia) 1989, p 1181
- ↑ Ali Ünal, 2013, chapter about the Parable of the tenants.
- ↑ Sahih al-Bukhari, Book of Virtues and Merits of the Prophet and his Companions, Chapter: The Seal of all the Prophets, Hadith number: 44
- ↑ Misha'al Abdullah, 1995, p 194
- ↑ Benson Commentary Matthew 21:42
- ↑ "John 15 WEY"। biblehub.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-২৪।
- ↑ "JOHN CHAPTER 16 KJV"। Kingjamesbibleonline.org। ২০১৫-১১-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৫।
- ↑ "John 16:12-14"। Bible Gateway। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৫।
- ↑ ক খ http://www.answering-christianity.com/prediction.htm
- ↑ Page 50 "As early as Ibn Ishaq (85-151 AH) the biographer of Muhammad, the Muslims identified the Paraclete - referred to in John's ... "to give his followers another Paraclete that may be with them forever" is none other than Muhammad."
- ↑ "Isa", Encyclopedia of Islam
- ↑ Watt (1991) pp. 33–34
- ↑ Ahmed Deedat (১৯৯৪)। "Muhummed (pbuh) Is The "Paraclete""। The Choice: Islam and Christianity, Volume 1। ideas4islam। পৃষ্ঠা 59–63।
- ↑ Dur al-Manthur, Al-Suyuti, volume 4, p 341
- ↑ Rahmatullah Kairanawi, Izhar ul-Haq (Truth Revealed), Council of Senior Scholars (Saudi Arabia) 1989, p 1191
- ↑ Al-Masāq: studia arabo-islamica mediterranea: Volumes 9 à 10 ;Volume 9 University of Leeds. Dept. of Modern Arabic Studies, Taylor & Francis - 1997
- ↑ ক খ Leirvik, Oddbjørn (২০০২)। "History as a Literary Weapon: The Gospel of Barnabas in Muslim-Christian Polemics"। Studia Theologica। 56: 4। ডিওআই:10.1080/003933802760115417।
- ↑ Cirillo, Luigi; Fremaux, Michel (১৯৭৭)। Évangile de Barnabé। Beauchesne। পৃষ্ঠা 88।
- ↑ Ragg, L & L (১৯০৭)। The Gospel of Barnabas। Oxford। পৃষ্ঠা xi। আইএসবিএন 1-881316-15-7।
- ↑ Joosten, Jan (এপ্রিল ২০১০)। "The date and provenance of the Gospel of Barnabas"। Journal of Theological Studies। 61 (1): 200–215। ডিওআই:10.1093/jts/flq010।
- ↑ Kais, 2005, p 227
- ↑ Hourani, Albert (১৯৬৭)। "Islam and the philosophers of history"। Middle Eastern Studies। 3 (3): 206। ডিওআই:10.1080/00263206708700074।
- ↑ Esposito, John L., The Oxford History of Islam: Oxford University Press, 1999, p.322.
- ↑ ক খ McGinn, Bernard, Antichrist: Two Thousand Years of the Human Fascination with Evil, Columbia University Press. 2000, p.86; 212.
- ↑ Quinn, Frederick, The Sum of All Heresies: The Image of Islam in Western Thought, Oxford University Press, 2008, p.30
- ↑ John Tolan, Saracens: Islam in the Medieval European Imagination, Columbia University Press. New York: 2002, p.81.
- ↑ See Sbaihat, Ahlam (2015), "Stereotypes associated with real prototypes of the prophet of Islam's name till the 19th century"
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "note" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="note"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি