বড় গুইসাপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বড় গুইসাপ
সিআইটিইএস অ্যাপেন্ডিক্স II (CITES)[১]
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণি: রেপটিলিয়া (Reptilia)
বর্গ: Squamata
পরিবার: Varanidae
গণ: Varanus
Subgenus: Soterosaurus
(লরেন্টি, ১৭৬৮)
প্রজাতি: V. salvator
দ্বিপদী নাম
Varanus salvator
(লরেন্টি, ১৭৬৮)

বড় গুইসাপ বা রামগাদি (বৈজ্ঞানিক নাম: Varanus salvator) হলো এক প্রকার বড় জাতের গিরগিটি। সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ ফুটের মতো লম্বা হতে পারে এরা। তবে গড় দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ১১ ইঞ্চির মতো।[২] ওজন ২৫ কেজির মতো হতে পারে। তবে বেশির ভগেরি ওজন এর অর্ধেক। বড় গুইসাপ দেখতে পাওয়া যায় ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ইন্দোচীনে। এরা ভালো সাতারু। পৃথিবীতে কমোডো ড্রাগন হচ্ছে সবচেয়ে বড় গুইসাপ প্রজাতি। কিছু লোক বিচিত্র এই প্রাণী ও এদের বসত এলাকা বিলীন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা চামড়ার জন্য এদের ধরতে আসে।

বাংলাদেশের ১৯৭৪[৩] ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৪]

গঠন[সম্পাদনা]

বড় গুই বা রামগাদি দেখতে গাঢ় বাদামি বা কালচে, তাতে হলুদ রঙের রিং বিদ্যমান। পা ও নখ লম্বাটে। লেজ চ্যাপ্টা ও শিরযুক্ত। এরা দ্রুত গাছে উঠতে পারে। সাঁতরে খাল-বিল-পুকুর সহজেই পাড়ি দিতে পারে। এদের প্রধান খাদ্য কাঁকড়া, শামুক, ইঁদুর, হাঁস-মুরগির ডিম, পচা-গলা প্রাণীদেহ ও উচ্ছিষ্ট। বড় গুইসাপ মাছ, সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়াপাখি খায়। তারা ছোট কুমির, কুমিরের ডিম ও কচ্ছপও খায়।

বাংলাদেশে[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে তিন প্রজাতির গুইসাপ দেখা যায়। এগুলো হলো সোনা গুই, কালো গুই ও রামগাদি বা বড় গুই। এদের প্রতিটিই বিপন্ন। কালো গুইসাপ দেশের সর্বত্র দেখা যায়। সোনা গুই পাহাড়ি এলাকায় আর রামগাদির প্রধান আবাস হলো মিঠাপানি ও লোনাপানির সঙ্গম এলাকা, নদীর মোহনা, সুন্দরবন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে শুরু করে সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চল। বসতি সংকোচন ও চামড়ার জন্য ব্যাপক নিধনের কারণে আজ এরা বিপন্নপ্রায়।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Quah, E.; Lwin, K.; Cota, M.; Grismer, L.; Neang, T.; Wogan, G.; McGuire, J.; Wang, L.; Rao, D.-Q.; Auliya, M.; Koch, A. (২০২১)। "Varanus salvator"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন2021: e.T178214A113138439। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2021-2.RLTS.T178214A113138439.enঅবাধে প্রবেশযোগ্য। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২২  অজানা প্যারামিটার |name-list-style= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  2. Pianka, King & king. Varanoid lizards of the world. 2004
  3. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর ও সরীসৃপ, খণ্ড: ২৫ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১১১-১১২।
  4. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৪৩