প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত চলচ্চিত্র/১১
শোলে, জি. পি. সিপ্পী প্রযোজিত এবং রমেশ সিপ্পী পরিচালিত ১৯৭৫ সালের হিন্দি অ্যাকশন-রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র। এটি হিন্দি চলচ্চিত্রের বিশ্বকোষ অনুসারে ভারতীয় চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলির একটি হিসাবে বিবেচিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র (ছবিতে), সঞ্জীব কুমার, হেমা মালিনী, অমিতাভ বচ্চন, জয়া ভাদুড়ি এবং আমজাদ খান। কর্ণাটকের রামনগড়ার পাথুরে ভূখণ্ডে ধারণকৃত চলচ্চিত্রটিতে কাহিনী অনুসারে, দুই সাধারণ অপরাধী বীরু ও জয়কে (ধর্মেন্দ্র ও বচ্চন) প্রাক্তন পুলিশ অফিসার নিযুক্ত করেন নিষ্ঠুর ডাকাত গব্বর সিংকে (আমজাদ খান) ধরবার জন্যে। হেমা মালিনী এবং জয়া ভাদুড়ি অভিনয় করেছেন বীরু ও জয়ের প্রণয়ী রূপে। চলচ্চিত্রটির গল্প নির্মাণে পশ্চিমা প্রচলন রয়েছে। মুক্তির পরপর এটি মর্মস্পর্শী সাড়া জাগিয়েছিল, এবং দর্শকের প্রচারের কারণে শীঘ্রই এটি বক্স অফিসে সাফল্য পায়। চলচ্চিত্রটি মুম্বইয়ের প্রেক্ষাগৃহে একনাগাড়ে ২৮৬ সপ্তাহ (পাঁচ বছরেরও অধিক সময়) প্রদর্শিত হয়েছিল এবং পুরো ভারত জুড়ে ৬০টি স্বর্ণজয়ন্ত (একটানা ৫০ সপ্তাহ) প্রদর্শনীর রেকর্ড অর্জন করে। এটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম চলচ্চিত্র যা পুরো ভারত জুড়ে শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে রজতজয়ন্তী (২৫ সপ্তাহ) উদযাপন করেছে। কোনো কোনো হিসাবমতে, মুদ্রাস্ফীতি ও অন্যান্য কারণে, শোলে সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় চলচ্চিত্র। ভারতীয় কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র অনুমোদন পর্ষদ প্রাথমিকভাবে সহিংসতা এবং মৃত্যুর সাথে জড়িত বেশ কয়েকটি দৃশ্য কেটে বাদ দিতে বাধ্য করেছিল। ফলে ১৮৮ মিনিটের দৈর্ঘ্যে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছিল। ১৫ বছর পরে, ২০৪ মিনিটের মূল পরিচালকের কর্তন প্রকাশ করা হয়েছিল। শোলে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং ধ্রুপদী চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃত। ২০০২ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট প্রকাশিত সর্বকালের "শীর্ষ দশটি ভারতীয় চলচ্চিত্র" তালিকাতে এটি প্রথম স্থান পায়। ২০০৫ সালে ৫০তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের বিচারকগণ এটিকে "৫০ বছরের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র" হিসাবে অভিহিত করে।