প্রবেশদ্বার:দেওবন্দি/নির্বাচিত জীবনী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আজিজুল হক (শায়খুল হাদিস নামে সমধিক পরিচিত; ১৯১৯ – ৮ আগস্ট ২০১২ খ্রিস্টাব্দ; ১৩৩৭ – ১৯ রমজান ১৪৩৩ হিজরি) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। তিনি একাধারে হাদিসশাস্ত্র বিশারদ, অনুবাদক, শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, সংগঠক, বাগ্মী ও কবি ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ৬৫ বছর হাদিসের পাঠদান করেন এবং প্রথম অনুবাদক হিসেবে সহীহ বুখারীর বঙ্গানুবাদ করেন। হাদিসশাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য উপমহাদেশের দ্বিতীয় আলেম হিসেবে তিনি ‘শায়খুল হাদিস’ উপাধি পেয়েছিলেন। তার কাছে শুধুমাত্র সহীহ বুখারী পড়েছেন এরকম ছাত্রের সংখ্যা ৫ সহস্রাধিক। ধারণা করা হয়, তিনি ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।

ছাত্রজীবন থেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন। তিনি তৎকালীন বাংলাদেশের আলেমদের একমাত্র রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ছিলেন। মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর তিনি তার সমস্ত কর্মকাণ্ডের প্রধান মুখপাত্র ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জ্যৈষ্ঠ নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। হাফেজ্জীর মৃত্যুর পর তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৩ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে তিনি অযোধ্যা অভিমুখে ৫ লক্ষ মানুষের এক ঐতিহাসিক লংমার্চে নেতৃত্ব দেন, যা বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলনের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এছাড়াও তিনি ফতোয়া বিরোধী রায়, কওমি মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি আদায় সহ বহু আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং কারাবরণ করেন। তিনি প্রচলিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা খুবই কঠিন মনে করতেন। তার দল বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিলেও তিনি নিজে কোনোদিন প্রার্থী হননি। তার মতে খিলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থাই হচ্ছে মানুষের মুক্তি ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পন্থা। শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে শেখ মুজিবকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের এক ফাঁসকৃত তারবার্তায় বলা হয়, শেখ হাসিনা শৈশবে খুব শ্রদ্ধার সাথে তার বই পড়তেন এবং ভক্ত ছিলেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)