প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ
প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (সংক্ষেপে এফডিআই) হল এক দেশে থেকে অন্য কোন দেশে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী উক্ত কোম্পানির শেয়ার বা মালিকানা স্বত্ব কিনে নেয় এবং ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয়। সাধারণত, বহুজাতিক কোম্পানি বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান (উদ্যোগ) প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনেয়োগে নিয়োজিত হয়। প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ সাধারণত মূলধন জাতীয় বিনিয়োগ অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে। যদিও ক্ষেত্র বিশেষ মধ্যম মেয়াদে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ হয়ে থাকে।[১][২]
প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ধরন
[সম্পাদনা]প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ সাধারণত নিন্মক্ত ধরনের হয়ে থাকে-
- অনুভুমিক এফডিআইঃ এক্ষেত্রে কোন দেশে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অন্য কোন দেশে ব্যবসায় সম্প্রসারণ করে থেকে। সেই দেশেও উক্ত কোম্পানি তার প্রচলত ব্যবসায় এবং পণ্য চালু রাখে। যেমন, আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড যখন তাদের আইফোন তৈরির জন্য চীনে কারখানা তৈরি করে এবং আইফোন তৈরির সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে বাজারজাতকরণ করে, তখন এটাকে অনুভুমিক এফডিআই হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদনের যাবতীয় প্রক্রিয়াই উক্ত দেশে স্থাপিত কারখানায় সম্পূর্ণ করা হয় এবং ওই দেশে থেকেই বাজারজাত করা হয়। উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রেও উক্ত দেশ থেকে করা হয়।
- উল্লম্ব এফডিআইঃ এক্ষেত্রেও কোন দেশে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অন্য কোন দেশে ব্যবসায় সম্প্রসারণ করে। এক্ষেত্রে, কোম্পানি একই থাকে কিন্তু ভিন্ন দেশ থেকে পণ্য উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণ উৎপাদন করিয়ে নেয়।উদাহরণ সরূপ বলা যেতে পারে, কেএফসি যখন অন্য কোন দেশে ফার্ম স্থাপন করে তাদের রেস্তোঁরাগুলির জন্য মাংস উৎপাদন করিয়ে নেয় তখন এটাকে উল্লম্ব এফডিআই হিসেবে অবহিত।
- সমন্বিত বা সমবেত এফডিআইঃ যখন এক দেশে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অন্য কোন দেশে সম্পূর্ণ ভিন্ন কোন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে বা ব্যবসায় কিনে নেয়, তখন এতাকে সমন্বিত বা সমবেত এফডিআই বলা হয়।
- প্ল্যাটফর্ম এফডিআইঃ যখন কোন কোম্পানি অন্য কোন দেশে কোন উৎপাদন কারখানা স্থাপন করে পণ্য উৎপাদন করে তৃতীয় কোন দেশে রপ্তানি করে তখন এটাকে প্ল্যাটফর্ম এফডিআই হিসেবে অবহিত করা হয়।[৩]
প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের পদ্ধতি
[সম্পাদনা]প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। তবে বেশিরভাগ সময় নিন্মক্ত পদ্ধতিগুলো লক্ষ্য করা যায়।[৪]
- অধিগ্রহন ও একত্রীকরণ- যখন একটি কোম্পানি বা ব্যক্তিসত্তা অন্য কোন কোম্পানির বেশিরভাগ শেয়ার বা মালিকানা স্বত্ব কিনে নেয় এবং উক্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন তাকে অধিগ্রহণ বলে। অধিগ্রহণকারী কোম্পানিটি অধিগ্রহণকৃত কোম্পানির নুন্মতম ৫১ শতাংশ শেয়ার বা মালিকানা স্বত্ব কিনে নেয়।[৫] এক্ষেত্রে বড় বড় কোম্পানিগুলো তুলনামূলক দুর্বল কোম্পানিকে টার্গেট করে এবং মালিকানা কিনে নেয়। অন্যদিকে যখন দুটি আলাদা কোম্পানি স্বেচ্ছায় একীভূত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি কোম্পানি হিসেবে ব্যবসায় পরিচালনা করে তখন তাকে একত্রীকরণ বা মার্জার বলে।[৬] সাধারণত, মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধি, পরিচালন ব্যয় হ্রাস, নতুন বাজার প্রসারিত করা, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি কোম্পানির লাভ বাড়ানোর জন্য একত্রীকরণ করা হয়।
- বিদেশী কোম্পানির ভোটদানের সত্তা কিনে নেয়া- এক্ষেত্রে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বিদেশি অন্য কোন কোম্পানির শেয়ার বা মালিকানা স্বত্ব কিনে কোম্পানি পরিচালনায় তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে অর্থাৎ ভোট দানের ক্ষমতা অর্জন করে।
- যৌথ উদ্যোগে বিদেশী কোম্পানির সাথে ব্যবসায় করা- যৌথ উদ্যোগে বিদেশী কোম্পানির সাথে কোন ব্যবসায় শুরু করা বা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ের বিদেশি কোন কোম্পানি নেয়া হয়। শুধুমাত্র ব্যবসায়ের ক্ষেত্রেই নয় বরং গবেষণা ও উন্নয়ন বা অন্যকোন নির্দিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে এই ধরনের বিনিয়োগ হতে পারে। তবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই উভয় পক্ষের নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য থাকে এবং লাভ-ক্ষতিও নিজেদের মাঝে আনুপাতিক হারে ভাগ করে নেয়।
- বিদেশী কোম্পানির সাবসিডিয়ারি হিসেবে ব্যবসায় করা- এক্ষেত্রে একটি কোম্পানি অন্য একটি কোম্পানির সাবসিডিয়ারি হিসেবে কাজ করে কিন্তু ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ থাকে মুল কোম্পানি বা প্যারেন্ট কোম্পানির হাতে।
এছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষ আরও কিছু পন্থা দেখা যায় মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ হয়ে থাকে।
প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রণোদনাসমূহ
[সম্পাদনা]একটি দেশের সরকার তার দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য নানাবিধ প্রণোদনা বা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে।নিন্মে এরূপ কিছু প্রণোদনার উল্লেখ করা হলঃ[৭]
- কম কর্পোরেট কর হার এবং কর রেয়াত সুবিধা
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
- ইপিজেড- রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ব্যবহারের সুবিধা
- পছন্দসই শুল্ক নির্ধারণ
- শুল্কাধীন গুদাম সুবিধা
- বিনিয়োগের উপর ভর্তুকি
- বিনামূল্যে জমি বা জমি ক্রয়ে ভর্তুকি
- অবকাঠামো নির্মাণে ভর্তুকি
- সহজে পানি এবং বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া
- গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়তা
প্রদত্ত সকল প্রণোদনা বা বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেয়ার মুখ্য উদ্দেশ্যই থাকে বেশি বেশি প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। তবে অনেক দেশে বিশেষ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করার জন্য সে দেশের সরকার বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেশীয় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকার এই ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।[৮]
প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের গুরুত্ব এবং বাধাসমূহ
[সম্পাদনা]যেকোনো দেশের বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে দ্রুত গতিশীল করতে বিশেষত শিল্পায়নকে শক্তিশালী করতে ওই দেশের সরকার বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করে।যদিও প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু বাধা রয়েছে। প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের সাধারণত নিন্মক্ত বাধাসমূহ দেখা যায়। [৯][১০]
- আমলাতান্ত্রিক বা প্রশাসনিক সমস্যা
- আইনী জটিলতা
- অর্থনৈতিক অবস্থা
- ব্যবসায়ের অবকাঠামোগত সমস্যা
- রাজনৈতিক অস্থিরতা
- সাংস্কৃতিক বিবেচনা
- দুর্নীতি ও অপরাধ
- মালিকানা সত্ত্ব অধিকারের অভাব
এসব বাধাসমুহ দূর করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং তাদের আস্থা অর্জনে করতে পারলে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে।
দেশ অনুযায়ী প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের চিত্র
[সম্পাদনা]চীন
[সম্পাদনা]বহু বছর ধরে কাঁচামালের সহজলভ্যতা, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এবং তুলনামূলক সস্তা এবং অভিজ্ঞ জনশক্তির কারণে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চীন অগ্রাধিকার পাচ্ছে। বিশেষ করে গত দশকে চীনে বৈদেশিক বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালে চীনে এফডিআই এর পরিমাণ ছিল প্রায় ১১৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১২ সালের প্রথমার্ধে চীনে এফডিআই এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৯.১০ বিলিয়ন ডলার যা কোন একক দেশে সর্বোচ্চ।। ২০১৯ সালে চীনে এফডিআই এর পরিমাণ ছিল প্রায় ১৩৭ বিলিয়ন ডলার।[১১][১২][১৩][১৪]
চীনে বিনিয়োগকারী উল্লেখযোগ্য বিদেশি কোম্পানিসমূহের একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হল:[১৫]
- অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড
- মাইক্রোসফট কর্পোরেশন
- কোকা-কোলা
- ওয়ালমার্ট
- প্যানাসনিক
- স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স
- জেনারেল মোটর্স
- তোশিবা কর্পোরেশন
- হিউলেট-প্যাকার্ড
- ভক্সওয়াগেন এজি
বাংলাদেশ
[সম্পাদনা]বাংলাদেশে স্বাধীনতার পূর্বে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের আগে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ ছিল খুবই কম। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সরকার সময়ে সময়ে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রচলিত আইন এবং নীতির পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে আসছে। সেইসাথে তুলনামূলক সস্তা শ্রম, কাঁচামালের সহজলভ্যতা এবং অর্থনৈতিক সম্ভবনার ফলে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমান প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের পাশাপাশি চীন, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং কানাডার মত অনেক দেশের বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের সরকার এফডিআই আকর্ষণের জন্যে অনুকূল শিল্পনীতি প্রণয়নের পাশাপাশি ব্যাপক প্রণোদনা ও উৎসাহমূলক সুবিধার ব্যবস্থা রেখেছে। যদিও অতিমাত্রায় আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রীতা, দলিলপত্র প্রক্রিয়াকরণে অনিয়ম ও দুর্নীতি, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় স্থিরমনস্কতার অভাব, অহেতুক বিলম্ব এবং আমদানি সংক্রান্ত শুল্ক নীতিতে ঘন ঘন পরিবর্তনের কারণে প্রকৃত প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।১৯৯৬ এবং ২০০০ সালে বাংলাদেশে এফডিআই এর পরিমান ছিল যথাক্রমে প্রায় ০.২৩ এবং ০.৫৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালে এফডিআই এর পরিমান দাড়ায় প্রায় ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার।[১৬] জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ট্রেড এন্ড ডেভেলপমেন্ট (UNCTAD) প্রণীত বিশ্ব বিনিয়োগের প্রতিবেদন, ২০১৯ অনুসারে, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশে এফডিআই এর পরিমাণ দাড়ায় যথাক্রমে ২.১৫ এবং ৩.৬১ বিলিয়ন ডলার।[১৭][১৮][১৯]
বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী উল্লেখযোগ্য বিদেশি কোম্পানিসমূহের একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হল:[২০]
- টেলিনর
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
- এইচএসবিসি
- আজিয়াটা গ্রুপ
- সিটিব্যাংক
- শেভরন
- নভো নরডিস্ক[২১]
- নোভার্টিস[২১]
- এসিআই[২১]
- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স[২১]
- এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস[২১]
- স্যামসাং[২২]
- এলজি[২২]
- নকিয়া[২২]
- অপো[২২]
- ভিভো[২২]
- গেটওয়েল[২৩]
- নিপ্রো[২৩]
- হোন্ডা[২৪]
- সুজুকি[২৪]
- হিরো[২৪]
- রানার[২৪]
ভারত
[সম্পাদনা]ভারতে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের সুযোগ শুরু হয় মূলত ১৯৯১ সালে ভারতীয় অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর থেকে। ওই সময়ে ভারতের বৈদেশিক বিনিময় ভারসাম্যে চরম সঙ্কট দেখা দেয়। সেই সাথে যুক্ত হয় ব্যাপক রাজস্ব বাজেট সঙ্কট। এই সঙ্কট মোকাবেলায় ভারত প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়টা উপলদ্ধি করে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-এর আওতায় বিদেশি বেক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরাসরি বিনিয়োগের দ্বার উন্মোচন করে।১৯৯১ সাল অবধি ভারতে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমান ছিল ১ বিলিয়ন ডলারেরও কম। কিন্তু ২০১৫ সালে ভারতে এফডিআই এর পরিমান দাড়ায় প্রায় ৬৩ বিলিয়ন ডলার। জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ট্রেড এন্ড ডেভেলপমেন্ট (UNCTAD) প্রণীত বিশ্ব বিনিয়োগের প্রতিবেদন, ২০১৯ অনুসারে, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে ভারতে এফডিআই এর পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে ৪০ এবং ৪২ বিলিয়ন ডলার।[২৫][২৬]
ভারতে বিনিয়োগকারী উল্লেখযোগ্য বিদেশি কোম্পানিসমূহের একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলঃ-[২৭][২৮][২৯]
- গুগল
- মাইক্রোসফট কর্পোরেশন
- ফোর্ড মোটর কোম্পানি
- পেপসিকো
- জেপি মরগ্যান
- সিমেনস
- বিপি পি.এল.সি
- অপো ইলেক্ট্রনিকস ভারত
- ফোসান ইন্টারন্যাশনাল
- হাইয়ার ইলেকট্রনিক্স
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
[সম্পাদনা]মুক্ত বাজার অর্থনীতি, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম বাঁধার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়ে আসছে। ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এফডিআই এর পরিমাণ ছিল প্রায় ২২৭ বিলিয়ন ডলার।[১৪] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ব্যুরোর তথ্যমতে ২০১২ এবং ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এফডিআই এর পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে ২৫৮ এবং ২৭৩ বিলিয়ন ডলার ।[৩০] জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ট্রেড এন্ড ডেভেলপমেন্ট (UNCTAD ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে) প্রণীত বিশ্ব বিনিয়োগের প্রতিবেদন, ২০১৯ অনুসারে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এফডিআই এর পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে ২৭৭ এবং ২৫২ বিলিয়ন ডলার।[৩১]
যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগকারী উল্লেখযোগ্য বিদেশি কোম্পানিসমূহের একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলঃ-[৩২]
- বিপি আমেরিকা
- শেল অয়েল
- টয়োটা মোটর উত্তর আমেরিকা
- হোন্ডা উত্তর আমেরিকা
- নিসান মোটর (ইউএসএ)
- সিমেনস
- নেসলে ইউএসএ
- সনি কর্পোরেশন অব আমেরিকা
- এইচএসবিসি ব্যাংক ইউএসএ
- স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Globalisation and foreign direct investment - Population and economic activities in the UK - Edexcel - GCSE Geography Revision - Edexcel"। BBC Bitesize (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৪।
- ↑ "Foreign Investment in the United States, by Mack Ott: The Concise Encyclopedia of Economics | Library of Economics and Liberty"। www.econlib.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৪।
- ↑ "Foreign Direct Investment (FDI) - Overview, Benefits & Disadvantages"। Corporate Finance Institute (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৪।
- ↑ "Foreign Direct Investment (Brownfield, Greenfield) | Types of FDI"। WallStreetMojo (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৪।
- ↑ King, David; Dalton, Dan; Daily, Catherine; Covin, Jeffrey (২০০৪-০১-০১)। "Meta-analyses of Post-acquisition Performance: Indications of Unidentified Moderators"। Strategic Management Journal।
- ↑ Berman, Dennis K. (২০১০-১১-০৯)। "WSJ M&A 101: A Guide to Merger Agreements"। WSJ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৫।
- ↑ Buckley, Peter J.; Clegg, L. Jeremy; Cross, Adam; Liu, Xin; Voss, Hinrich; Zheng, Ping (২০১০)। Buckley, Peter J., সম্পাদক। Foreign Direct Investment, China and the World Economy (ইংরেজি ভাষায়)। London: Palgrave Macmillan UK। পৃষ্ঠা 81–118। আইএসবিএন 978-0-230-24832-8। ডিওআই:10.1057/9780230248328_6।
- ↑ Sarkodie, Samuel Asumadu; Strezov, Vladimir (২০১৯-০১-০১)। "Effect of foreign direct investments, economic development and energy consumption on greenhouse gas emissions in developing countries"। Science of The Total Environment (ইংরেজি ভাষায়)। 646: 862–871। আইএসএসএন 0048-9697। ডিওআই:10.1016/j.scitotenv.2018.07.365।
- ↑ "দেশের সমৃদ্ধি এবং বিদেশি বিনিয়োগ"। Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৪।
- ↑ Mahbub, Tareq; Jongwanich, Juthathip (২০১৯-০১-০১)। "Barriers to foreign direct investment in the power sector: evidence from Bangladesh"। International Journal of Development Issues। 18 (3): 310–333। আইএসএসএন 1446-8956। ডিওআই:10.1108/IJDI-11-2018-0182।
- ↑ "China says its foreign direct investments increased 5.8% in 2019"। CNBC (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৯।
- ↑ "China's 2019 foreign direct investment grew most in two years"। South China Morning Post (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৯।
- ↑ "News Release of National Assimilation of FDI From January to October 2018Statistics"। english.mofcom.gov.cn। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৯।
- ↑ ক খ "China tops U.S. as investment target in 1st half 2012: U.N. agency"। Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১০-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৯।
- ↑ Hays, Jeffrey। "FOREIGN COMPANIES AND FOREIGN INVESTMENT IN CHINA | Facts and Details"। factsanddetails.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "Welcome to BIDA"। bida.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "Welcome to BIDA"। bida.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ Express, The Financial। "Bangladesh's FDI rises over 5pc from July to October"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "Bangladesh sees highest ever foreign investment"। Dhaka Tribune। ২০১৯-০৫-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "BIDA - Home"। bida.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "BIDA - Pharma & API"। bida.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "BIDA - Electronics"। bida.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫।
- ↑ ক খ "BIDA - Medical Equipment"। bida.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ "BIDA - Motorcycle & Parts"। bida.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫।
- ↑ "India Is Now the World's Top Greenfield FDI Destination"। Time (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ Kala, Anant Vijay (২০১৫-০৬-২৫)। "India Attracts Enough FDI to Join Global Top Ten"। WSJ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "China"। www.investindia.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "United States"। www.investindia.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "United Kingdom"। www.investindia.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।
- ↑ "Foreign Direct Investment in the U.S.: Balance of Payments and Direct Investment Position Data | U.S. Bureau of Economic Analysis (BEA)"। www.bea.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৯।
- ↑ "Foreign direct investment (FDI) in the United States"। Nordea। ১৫ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৯।
- ↑ "The Largest Foreign Investments In The U.S."। Forbes (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১০।