প্রজা পার্টি
প্রজা পার্টি কৃষক প্রজা পার্টি কৃষক শ্রমিক পার্টি | |
---|---|
প্রাক্তন প্রাদেশিক দল | |
![]() প্রজা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এ কে ফজলুল হক | |
প্রতিষ্ঠা | ১৯২৯ |
ভাঙ্গন | ১৯৫৮ |
মতাদর্শ | সামন্তবাদ বিরোধী কৃষিবাদ প্রগতিবাদ পপুলিজম সামাজিক গণতন্ত্র |
রাজনৈতিক অবস্থান | মধ্য-বামপন্থী |
প্রজা পার্টি ছিল ব্রিটিশ ভারতে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল। প্রথমদিকে একে কাউন্সিল প্রজা পার্টি বা বঙ্গীয় প্রজা পার্টি বলা হত। পরে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি ও আরো পরে কৃষক প্রজা পার্টি নাম দেয়া হয়। ১৯২৯ সালের জুলাই মাসে এই দল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তা টিকে ছিল। পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানে কৃষক শ্রমিক প্রজা পার্টি নামে দল পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়।
দলটির রাজনীতি বাঙালি মুসলিমদের মাঝে রাজনৈতিক চেতনা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এর পাশাপাশি তারা বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের সমর্থনও পেয়েছিল, যারা জমিদারদের প্রভাবে বেশ অসন্তুষ্ট ছিল।
এই দলটি ছিল বাঙালি আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ এ কে ফজলুল হকের রাজনৈতিক বাহন।[১] এ কে ফজলুল হক বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাড়া দলটির আরো দুজন সদস্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন: আবু হোসেন সরকার এবং আতাউর রহমান খান (পরবর্তীকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী)। এছাড়া, দলের অন্যতম নেতা আবদুস সাত্তার পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন।
প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]
১৯২৯ সালে বঙ্গীয় আইন পরিষদের ১৮ সদস্য নিখিলবঙ্গ প্রজা সমিতি (অল বেঙ্গল টেন্যান্টস অ্যাসোসিয়েশন) গঠন করেন, যা প্রজা পার্টি নামে পরিচিতি লাভ করে। দলটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে একে ফজলুল হক, স্যার আজিজুল হক, মৌলভি তমিজউদ্দিন খান এবং স্যার আবদুর রহিম ছিলেন উল্লেখযোগ্য। মূলত, বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন (সংশোধিত) ১৯৩৮ -এর কারণে কৃষকদের মধ্যে যে ক্ষোভ ছিল, তা পুঁজি করে দলটি জনমত গঠন করে। ফলে তারা মুসলমানদের পাশাপাশি ধনী হিন্দুদের সমর্থনও লাভ করেছিল।[২]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Syedur Rahman (২৭ এপ্রিল ২০১০)। Historical Dictionary of Bangladesh। Scarecrow Press। পৃষ্ঠা 176। আইএসবিএন 978-0-8108-7453-4।
- ↑ "প্রজা পার্টি - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। ২০১৫-০২-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২১।