পাতি কামিলা
পাতি কামিলা Pike Eel | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
মহাবর্গ: | Elopomorpha |
বর্গ: | Anguilliformes |
পরিবার: | Muraenesocidae |
গণ: | Muraenesox |
প্রজাতি: | M. bagio |
দ্বিপদী নাম | |
Muraenesox bagio (F. Hamilton, 1822) | |
প্রতিশব্দ | |
Muraena bagio |
পাতি কামিলা (বৈজ্ঞানিক নাম: Muraenesox bagio) (ইংরেজি: Common Pike eel) Muraenesocidae পরিবারের Muraenesox গণের একটি স্বাদুপানির মাছ।
বর্ণনা[সম্পাদনা]
পাতি কামিলার দেহ অনেক লম্বা, সম্মুখে চোঙাকৃতির কিন্তু পশ্চাতে চাপা। তুণ্ড প্রলম্বিত। মুখ বড়, ম্যাক্রিলা চোখের অনেক পিছন পর্যন্ত প্রসারিত। সম্মুখ নাসারন্ধ্র নালীর ন্যায় ও তুণ্ডের সম্মুখ তৃতীয়াংশে অবস্থিত কিন্তু পশ্চাৎ নাসারন্ধ্র তুণ্ডের মধ্য তৃতীয়াংশে অবস্থিত। এদের জিহ্বা অনুপস্থিত।[১]
বিস্তৃতি[সম্পাদনা]
এই প্রজাতির মাছ বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে, লোহিত সাগর, ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপপুঞ্জ, চীন, ফিলিপাইন এবং জাপান অঞ্চলে পাওয়া যায়।[১]
স্বভাব ও আবাসস্থল[সম্পাদনা]
সমুদ্রের এবং পানির তলদেশ দিয়ে চলাচল করে। এদের স্বাদুপানিতে দেখা যায়। উপকূলীয় অঞ্চলের একমাত্র মাংসাশী এবং তলদেশের মাছ। ক্রাস্টেশিয়ান প্রাণীদেরকে এরা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। পাতি কামিলা নিশাচর স্বভাবের মাছ। এদেরকে উপকূলীয় জলাশয়, মোহনা এবং ১০০ মিটারেরও উপরে সাব লিটোরাল অঞ্চলে দেখা যায়। জোয়ার-ভাঁটার সময় এদের নদীতে পাওয়া যায়।[১]
অর্থনৈতিক গুরুত্ব[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা সমূহে প্রচুর পরিমাণে এই মাছ ধরা পড়ে। পাতি কামিলা মাছ ধরার জন্য 'ড্রিফট নেট' এবং 'ব্যাগ নেট' ব্যবহৃত হয়। বাজারে সাধারণত টাটকা মাছ বিক্রি হয়। কিছু মাছ টাটকা বা হিমায়িত অবস্থায় রপ্তানী হয়। আবার বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে শুটকী মাছের ও ব্যাপক চাহিদা আছে।
বাস্তুতান্ত্রিক ভূমিকা[সম্পাদনা]
পাতি কামিলা মাছ পানির তলদেশের অন্য মাছ শিকার করায় জলজ বাস্তুতন্ত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ[সম্পাদনা]
আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়। এখনও বঙ্গোপসাগরে এ মাছ সহজেই পাওয়া যায়।[১]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ আহমেদ, মোঃ ছগীর (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৪–১৫। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |