নোয়াশাল
নোয়াশাল | |
---|---|
ধরন | নাটক, হাসি, গ্রামীণ জীবন |
নির্মাতা | মীর সাব্বির |
উন্নয়নকারী | মীর সাব্বির |
অভিনয়ে | এটিএম শামসুজ্জামান খায়রুল আলম সবুজ চিত্রলেখা গুহ ডলি জহুর আলীরাজ মীর সাব্বির রওনক হাসান ফারুক আহমেদ নাজনীন হাসান চুমকি অহনা নিশা বিনয় ভদ্র আমিন আজাদ সুভাশীষ ভৌমিক বাদল হায়দার দেব মিঠু |
সুরকার | কামরুল হাসান ও আকাশ রঞ্জন |
মূল দেশ | বাংলাদেশ |
মূল ভাষা | বাংলা |
পর্বের সংখ্যা | ৮৭১ |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | মীর সাব্বির প্রোডাকশনস, আরটিভি |
নির্মাণের স্থান | বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্ব |
ব্যাপ্তিকাল | ৩০ মিনিট |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | আরটিভি |
ছবির ফরম্যাট | এক্স-ডি |
মূল মুক্তির তারিখ | ২/৩রা ফেব্রুয়ারি ২০১৪ – ১৮ জুলাই ২০১৯ |
ক্রমধারা | |
পূর্ববর্তী | বরিশাল বনাম নোয়াখালী |
নোয়াশাল হল কামরুল হাসান ও আকাশ রঞ্জন রচিত ও মীর সাব্বির পরিচালিত একটি বাংলাদেশী ধারাবাহিক কমেডি বা হাসির নাটক।[১][২]
কাহিনী সংক্ষেপ
[সম্পাদনা]নোয়াখালী এবং বরিশালের দুটি পরিবারের গল্প নিয়ে ধারাবাহিকটি তৈরি করা হয়েছে। ধারাবাহিকটিতে এ টি এম শামসুজ্জামান নোয়াখালী পরিবারের কর্তা এবং খায়রুল আলম সবুজ বরিশাল পরিবারের কর্তা। দুই পরিবারের এই দুইজন কর্তাব্যক্তির মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকে। এদের এই ঝগড়াঝাটি একটা পর্যায়ে তাদের বাড়ির স্ত্রী সন্তানদের মধ্যে ছড়িয়ে পরে। ফলশ্রুতিতে নানান সব ঘটনা ঘটতে থাকে।[১] নাটকের গল্পে দেখা যায়, মোহনপুর গ্রামের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি। একজনের নাম শাহাবুদ্দিন আরেক জনের নাম কুব্বত আলী। একজন ইটের ব্যবসায়ী, অন্যজন বালুর ব্যবসায়ী। একজনের বাড়ি বরিশাল অন্য জনের বাড়ি নোয়াখালী। শাহাবুদ্দিনের এক ছেলে এক মেয়ে ও কুব্বত আলীর এক ছেলে এক মেয়ে। দীর্ঘ বছর ধরে পাশাপাশি তারা বসবাস করে। দুই পরিবারের মিলমিশ যেমন আছে তেমনি খুনসুটিও আছে। এই দুই পরিবার নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে এক ধরনের আকর্ষণও আছে, কারণ এই দুই পরিবারের ঝগড়াঝাটি এলাকাবাসীর মধ্যে এক ধরনের হাস্যরস তৈরি করে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় এই দুই পরিবার উত্তোজিত হয়ে ঝগড়া করে আবার মিলেও যায়। নোয়াখালী এবং বরিশাল এলাকার বাসিন্দা হওয়ার কারণে তারা এলাকায় অত্যধিক জনপ্রিয়। কেউ কেউ এই দুই পরিবারকে মিল করে নোয়াশাল পরিবার বলে ডাকে। মূলত এই দুই পরিবারের হাসি, কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনা এবং ঝগড়াঝাটির মাধ্যমে নাটকটিতে পুরো বাংলাদেশকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।[২]
অভিনয়
[সম্পাদনা]এতে অভিনয় করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান, খায়রুল আলম সবুজ, চিত্রলেখা গুহ, ডলি জহুর, আলীরাজ, মীর সাব্বির, রওনক হাসান, ফারুক আহমেদ, নাজনীন হাসান চুমকি, অহনা, নিশা, বিনয় ভদ্র, আমিন আজাদ, সুভাশীষ ভৌমিক, বাদল, হায়দার, দেব মিঠু সহ আরও অনেকে।[২] অভিনেত্রী ইশানা ৯৬ তম পর্ব থেকে নাটকটিতে যুক্ত হন।[৩] নাটকের শেষ পরবে এটিএম শামসুজ্জামান অনুপস্থিত ছিলেন।[৪][৫]
সম্প্রচার
[সম্পাদনা]২০১৪ সালের ২ বা ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি সোম, মঙ্গল ও বুধবার ৯টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশী বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে ধারাবাহিটির সম্প্রচার শুরু হয়।[১][২][৬] দর্শকপ্রিয়তার কারণে নাটকটির পর্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়[৭] এবং প্রচারের এক পর্যায়ে নাটকটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।[৮] ২০১৯ সালের ১৮ জুলাইয়ে ৮৭১তম পর্ব সম্প্রচারের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকটির সম্প্রচারের পরিসমাপ্তি ঘটে।[২]
নির্মাণ
[সম্পাদনা]নাটক সম্পর্কে মীর সাব্বির বলেন, "নোয়াখালীর নোয়া আর বরিশালের শাল নিয়ে নাটকের নাম দেয়া হয়েছে নোয়াশাল। এর আগে ‘বরিশাল বনাম নোয়াখালী’ নামের খন্ড নাটক পরিচালনা করার পর দর্শকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। তার ধারাবাহিকতায় দর্শকের জন্য এই নাটকটি নির্মাণ করা। আশা করি দর্শক এর প্রতিটি পর্বই এনজয় করবে।"[১] তিনি আরও বলেন, "আরটিভিতে যখন এই নাটকটি শুরু হয় তখন আমরা ২৬ অথবা ৫২ পর্বের নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু এই নাটকটি যে এত দীর্ঘ নাটক হবে সেটা এখনো আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। এটা যে এত জনপ্রিয় হবে কল্পনাই করতে পারিনি। দুটো অঞ্চলের ভাষা নিয়ে তৈরি একটি নাটক আপামর জনতা গ্রহণ করেছে এবং তাদের ভালোবাসা পেয়েছি। এটা কিন্তু আমাদের একটা সফলতা। তবে এই শেষই শেষ নয়। আমরা নতুন কিছু করতে চাই।"[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "শুরু হচ্ছে সাব্বিরের নোয়াশাল"। banglanews24.com। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "শেষ হচ্ছে নোয়াশাল"। কালের কণ্ঠ। ১৭ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "'নোয়াশাল' নিয়ে ইশানা"। প্রিয়.কম। ১৪ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "নেই এটিএম শামসুজ্জামান"। যুগান্তর। ৭ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "এটিএমকে ছাড়াই 'নোয়াশাল'র শুটিং"। যায় যায় দিন। ৭ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "৮০০ পর্বে 'নোয়াশাল'"। দৈনিক সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "১০০তম পর্বে 'নোয়াশাল'"। প্রথম আলো। ২৭ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (৩ মার্চ ২০১৬)। "জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ধারাবাহিক নোয়াশাল"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০।