নুনেতে ভাতেতে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নুনেতে ভাতেতে
নুনেতে ভাতেতে ১ এর প্রচ্ছদ
সম্পাদকরামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সান্যাল ও অনার্য তাপস
লেখকবিভিন্ন
প্রচ্ছদ শিল্পীএকতা ভট্টাচার্য
দেশভারত
ভাষাবাংলা
ধারাবাহিকএ পর্যন্ত তিনটি
বিষয়
প্রথম খণ্ড: খাদ্য সংস্কৃতি বিষয়ক সঙ্কলন
দ্বিতীয় খণ্ড: হারিয়ে যাওয়া খাবারের গল্প
তৃতীয় খণ্ড: পানীয় সংস্কৃতি
প্রকাশিতপ্রচ্ছদ:শক্তমলাট
প্রথম খণ্ড: ২০১৬
দ্বিতীয় খণ্ড: ২০১৭
তৃতীয় খণ্ড: ২০১৮
প্রকাশকদ্য ক্যাফে টেবল
মিডিয়া ধরনমুদ্রিত গ্রন্থ
পৃষ্ঠাসংখ্যাপ্রথম খণ্ড: ৩০৪
দ্বিতীয় খণ্ড: ২১৫
তৃতীয় খণ্ড: _ _

নুনেতে ভাতেতে হল দ্য ক্যাফে টেবল প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত উপমহাদেশের খাদ্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিষয়ক বই। বাংলা ভাষায় খাদ্য নিয়ে লেখালেখির চর্চা মূলত রন্ধনপ্রণালীতেই আটকে আছে। সেই তুলনায় এ বইটি ব্যতিক্রমী। নুনেতে ভাতেতে'র এ পর্যন্ত তিনটি খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর, আমেরিকার রেডইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর খাদ্যসংস্কৃতির বৈচিত্র‌্য ঠাঁই পেয়েছে নুনেতে ভাতেতে’র তিনটি খণ্ডে। এই বইয়ের সম্পাদনা করেছেন ভারতের রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সান্যাল ও বাংলাদেশের অনার্য তাপস। সম্পাদক অনার্য তাপস বর্তমানে ‘রজত কান্তি রায়’ নামে লেখালেখি করছেন বাংলাদেশে।[১]

বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]

অন্তর্জাল সম্প্রদায়ের সমবেত চর্চায় বাংলা সাহিত্যচর্চার অন্যতম উদাহরণ হল এই বই। ফেসবুকে শামিল সাহিত্যিকরা নিজেদের রচনা একত্র করে এই বইটি প্রকাশ করেন। বাঙালি রন্ধনশৈলী এবং রন্ধনসাহিত্যে অনুসন্ধিৎসু ও সফল একটি ফেসবুক গোষ্ঠীনুনেতে ভাতেতে সংকলনে লিখেছেন। খাদ্য সংস্কৃতি বিষয়ক এই বইয়ে খাবার নিয়ে ২৪টি প্রবন্ধ রয়েছে যা সম্পাদনা করেছেন রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সান্যাল ও অনার্য তাপস ওরফে রজত কান্তি রায়।[২] সম্পাদকগণ খাদ্যসংস্কৃতির একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন এইরকম:‌ ‘‘‌আমরা খাদ্য–‌সংস্কৃতি বলতে শুধুমাত্র রেসিপি বা রান্নার পদ্ধতিকেই নির্দেশ করছি না। বরং শস্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, খাদ্যোপযোগীকরণ, রান্না, পরিবেশনরীতি, খাওয়া, খাদ্য বা শস্যকে নিয়ে গড়ে ওঠা মানুষের আচার প্রথা সংস্কার (‌ইত্যাদি)‌ এবং বর্জ্যব্যবস্থাপনা— ‌এই পুরো চক্রটিই মূলত খাদ্যসংস্কৃতির অঙ্গীভূত বলে মনে হয় আমাদের কাছে।’’ তিনটি খণ্ডেই বাংলার তো বটেই, সেই সঙ্গে ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী, পুরুলিয়ার আদিবাসীদের খাদ্যসংস্কৃতি, উত্তর আমেরিকার আদিবাসী রান্নার টুকিটাকি আলোচনা করা হয়েছে‌ শ্লোক, ছড়া, লালনের গান, পাক–‌প্রণালী, ইতিহাস, ভূগোল সহ যাবতীয় মশলা সহযোগে।‌[৩][৪]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কলকাতা কড়চা, ২৫শে জুলাই ২০১৬, আনন্দবাজার পত্রিকা
  2. "'সাড়া দেবে না কবি?'"anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৪ 
  3. তৃপ্তির ঢেকুর[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], রাজীব ঘোষ
  4. "তৃপ্তির ঢেকুর"www.aajkaal.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]