নুক্তা (হিন্দি: नुक़्ता, উর্দু: نقطہ, প্রতিবর্ণী. নুক়্তা), যা বিন্দু বা ফুট নামেও পরিচিত, বাংলা-অসমীয়া, দেবনাগরী ইত্যাদি লিপিতে ব্যবহৃত একধরনের চিহ্ন, যা দিয়ে মূল লিপিতে অবর্তমান এমন ধ্বনিকে প্রকাশ করা যায়।[ক][১]
বাংলা-অসমীয়া লিপিতে "ড", "ঢ" ও "য" বর্ণের নিচে বিন্দু সহযোগে যথাক্রমে "ড়", "ঢ়" ও "য়" ব্যবহার করা হয়। বাংলা ভাষায় "ড়" ও "ঢ়" বর্ণ দুইটি যথাক্রমে /ɽ/ ও /ɽʱ/ ধ্বনিকে প্রকাশ করে এবং "য়" বর্ণের কোনো নির্দিষ্ট উচ্চারণ নেই। অসমীয়া ভাষায় "ড়", "ঢ়" ও "য়" বর্ণ তিনটি যথাক্রমে /ɹ/, /ɹɦ/ ও /j/ ধ্বনিকে প্রকাশ করে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বাংলা বর্ণমালা বিন্যাসে এরা সর্বপ্রথম বাংলা লিপিতে স্থান পায়।[২] যদিও সংস্কৃত ও নব্যভারতীয় আর্যভাষাগুলোতে "ড" ও "ঢ"-এর শব্দের মধ্যে অবস্থানভেদে এর উচ্চারণ কখনো কখনো যথাক্রমে "ড়" ও "ঢ়"-এর মতো হতো তবুও বাংলায় "ড়" ও "ঢ়" বর্ণদের স্বতন্ত্র বর্ণ রূপে সৃষ্টি করা হয়েছে।[৩] বাংলায় এদের শব্দের আদিতে ব্যবহার করা হয় না।
↑Kulshreshtha, Manisha; Mathur, Ramkumar (২৪ মার্চ ২০১২)। Dialect Accent Features for Establishing Speaker Identity: A Case Study (ইংরেজি ভাষায়)। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন978-1-4614-1137-6। A few sounds, borrowed from the other languages like Persian and Arabic, are written with a dot (bindu or nukta) as shown in Table 2.2.উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৫৩০।
↑ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৫৩০।