দেশি পাঙ্গাশ
দেশি পাঙ্গাশ Yellowtail catfish | |
---|---|
দেশি পাঙ্গাশ মাছ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Siluriformes |
পরিবার: | Pangasiidae |
গণ: | Pangasius |
প্রজাতি: | P. pangasius |
দ্বিপদী নাম | |
Pangasius pangasius (Hamilton, 1822) |
দেশি পাঙ্গাশ (বৈজ্ঞানিক নাম: Pangasius pangasius) (ইংরেজি: Yellowtail catfish) হচ্ছে Pangasiidae পরিবারের Pangasius গণের একটি স্বাদুপানির মাছ।
বর্ণনা
[সম্পাদনা]মাথাটি মুখের কোণের পিছনে তার দৈর্ঘ্যের সমান বিস্তৃত। তুন্ড প্রায় গোলাকার। চোখ সরু চর্বি গঠিত পাতাযুক্ত এবং আংশিকভাবে মুখের কোণের নিচের স্তরে অবস্থিত। বক্ষকাটা পৃষ্ঠকাটার তুলনায় অধিক শক্তিশালী যা সম্মুখে ধারালো কিন্তু পশ্চাতে ছোট ছোট দাঁতযুক্ত। পুচ্ছপাখনা দ্বিবিভক্ত। চর্বিযুক্ত পাখনা ছোট। দেশি পাঙ্গাশ রুপালি রঙের পিঠের দিকটা কালচে এবং প্বার্শরেখা সামান্য ধূসর। দেহে কোনো আঁশ নেই।।[২] [৩]
বিস্তৃতি
[সম্পাদনা]এই প্রজাতির মাছ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং মায়ানমারে পাওয়া যায়।[৪]
স্বভাব
[সম্পাদনা]এরা শান্ত প্রকৃতির মাছ। স্বাদুপানি থেকে স্বাদুপানিতে অভিপ্রায়ন ঘটে। তবে হালকা লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। বর্ষার সময় মোহনা অঞ্চলে এদের প্রজনন ঘটে। বড় বড় নদীর নিচু অংশ এবং মোহনায় পাওয়া যায়।
খাদ্য
[সম্পাদনা]পাঙ্গাশ মাছ শামুক ও কীটপতঙ্গ খেয়ে বেঁচে জীবনধারণ করে। তবে আশানুরূপ ফল পাওয়ার জন্য পুকুরে তৈরি প্রাকৃতিক খাদ্য যথেষ্ট নয়। তাই পুকুরে সুষম খাদ্য প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাদ
[সম্পাদনা]দেশি পাঙাশ হলো এমন এক ধরনের মাছ যা অতি সহজেই রান্না করে খাওয়া যায় এবং আমাদের দেশের প্রায় সকল মানুষের কাছেই প্রিয়। অন্যান্য মাছের তুলনায় কাঁটা কম ও পাতলা হওয়ায় খুব সহজেই ভেজিটেবল স্যুপ, পাঙাশ কারি, পাঙাশ ভাজি করা যায়।
প্রজনন
[সম্পাদনা]পাঙ্গাশ মাছের পোনা মার্চ থেকে জুন মাসে বিভিন্ন নদীতে পাওয়া যায়। একটি ৫ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছ গড়ে প্রায় দেড় লক্ষ থেকে তিন লক্ষ ডিম দেয়।
চাষপদ্ধতি
[সম্পাদনা]পুকুর প্রস্তত করার পর প্রতি হেক্টরে ২০,০০০-২৫০০০ পিস ৮-১০ সে.মি. আকারের পাঙ্গাশ মাছের পোনা ছাড়তে হবে। আশানুরূপ ফলাফল পাওয়ার জন্য পুকুরে সুষম খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে। খাবার পুকুরের নির্দিষ্ট ৬-৮ টি স্থানে দৈনিক ২-৩ বার দিতে হবে।খাদ্যের পরিমাণ মাছের বয়স ও ওজনের উপর নির্ভর করে দিতে হবে। ৫-৬ মাস পর প্রতিটি মাছের গড় ওজন হবে ৫০০-৬০০ গ্রাম। উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করে প্রতি বছরে এক হেক্টর জমিতে ১৫-২০ মাছ উৎপাদন সম্ভব।
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ
[সম্পাদনা]আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে মহাবিপন্ন হিসেবে বিবেচিত।[৪]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Pangasius pangasius"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2014.1। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৪।
- ↑ জ্ঞানকোষ
- ↑ কৃষি তথ্য সার্ভিস( এআইসি),গগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
- ↑ ক খ এ কে আতাউর রহমান, ফারহানা রুমা (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৬৭–১৬৮। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)।