বিষয়বস্তুতে চলুন

থুথথুক্কুড়ি ম্যাকারুন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
থুথথুক্কুড়ি ম্যাকারুন
থুথথুক্কুড়ি ম্যাকারুন
অন্যান্য নামতুতিকোরিন ম্যাকারুন
ধরনবিস্কুট
প্রকারজলখাবার
উৎপত্তিস্থলভারত
অঞ্চল বা রাজ্যতামিলনাড়ু
প্রধান উপকরণচিনি, ডিমের সাদা অংশ এবং কাজু

থুথথুক্কুড়ি ম্যাকারুন (বা তুতিকোরিন) হল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের থুথথুক্কুড়ি বন্দর শহরের এক ধরনের ম্যাকারুন। ডিমের সাদা অংশ, চিনি এবং বাদাম দিয়ে ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় ম্যাকারুন তৈরি করা হয়। থুথথুক্কুড়িতে স্থানীয়ভাবে উপলব্ধ কাজু দিয়ে এই বাদামকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।[][]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ইউরোপীয় ম্যাকারুনকে থুথথুক্কুড়িতে ভারতীয়করণ করে থুথথুক্কুড়ি ম্যাকারুন তৈরি করা হয়। ফ্রান্স এবং ইতালিতে ম্যাকারুন উদ্ভূত হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সেটি পৌঁছে গেছে। এই অঞ্চলগুলির অনেক জায়গাতেই নতুন উপাদান যোগ বা পরিবর্তন করে রন্ধনপ্রণালীতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিছু অঞ্চলে স্থানীয় স্বাদ যোগ করার জন্য কুচি করা নারকেল যোগ করা হয়েছে। থুথথুক্কুড়িতে স্থানীয়ভাবে পাওয়া কাজু দিয়ে বাদামকে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল। পর্তুগিজরা ভারতে ম্যাকারুন চালু করে। এটি সিংহল (বর্তমান শ্রীলঙ্কা) হয়ে এসে দক্ষিণ ভারতের একটি বন্দর শহর থুথুক্কুড়িতে পৌঁছেছিল।[][]

পদ্ধতি

[সম্পাদনা]

থুথথুক্কুড়ির বেশ কয়েকটি বেকারি শতাব্দী প্রাচীন একই পদ্ধতি ব্যবহার করে ম্যাকারুন তৈরি করে। প্রক্রিয়াটি কাজুবাদাম পিষে শুরু হয়। চূর্ণন দুটি ভাগে করা হয়। প্রথম ভাগে মোটা কাজুবাদাম গুঁড়ো উৎপাদিত হয় এবং দ্বিতীয় ভাগে সূক্ষ্ম গুঁড়া তৈরি হয়। দুই ধরনের কাই চূড়ান্ত পণ্যের গঠন এবং স্বাদ যোগ করে। দুই ধরনের কাজু পাউডার একটি বৈদ্যুতিক মিক্সারে গুঁড়ো চিনির সাথে মেশানো হয়। এদিকে ডিমের সাদা অংশ কুসুম থেকে আলাদা করে সংরক্ষণ করা হয়। সবশেষে ডিমের সাদা অংশ কাজুবাদাম ও চিনির মিশ্রণে মেশানো হয়। এটি হাত দ্বারা করা হয়। প্রক্রিয়াটি ভাঁজ হিসাবে পরিচিত এবং এই মিশ্রণে বাতাস যোগ করা হয়। এটি চূড়ান্ত পণ্যটিকে একটি তুলতুলে গঠন দেয়। অবশেষে, প্রস্তুত মিশ্রণটি এবং পিপিং শঙ্কুতে ঢেলে দেওয়া হয়। থুথথুক্কুড়ি ম্যাকারুনের একটি সর্পিল শঙ্কুর মতো বাহ্য অবস্থা এবং এর ইউরোপীয় সমকক্ষের তুলনায় মোদকের সাথে বেশি সাদৃশ্য রয়েছে। এটি ১৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ছয় ঘন্টার জন্য একটি ধীর বেকিং প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Datta, Rangan (৩০ জুলাই ২০২২)। "Tuticorin Macaroon: The pearly-white treasure of Thoothukudi"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২২ 
  2. Gerald, Olympia (৮ ডিসেম্বর ২০১২)। "In search of Thoothukudi macaroon"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৫