তানজানিয়া–ভিয়েতনাম সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তানজানিয়া–ভিয়েতনাম সম্পর্ক
মানচিত্র Tanzania এবং Vietnam অবস্থান নির্দেশ করছে

তানজানিয়া

ভিয়েতনাম

তানজানিয়া–ভিয়েতনাম সম্পর্ক, তানজানিয়া এবং ভিয়েতনাম এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৬০ এর দশকে এই দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০১৪ সালে এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৫৬ মিলিয়ন (১৫.৬ কোটি) মার্কিন ডলার। এর মাঝে, তানজানিয়ায় ভিয়েতনামের রপ্তানি আয় ছিল ১০৫ মিলিয়ন (১০.৫ কোটি) মার্কিন ডলার। তানজানিয়ায়, ভিয়েতনামের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো হল; সিমেন্ট ক্লিংকার এবং চাল। ফিলিপাইন এর পর, তানজানিয়া হল, ভিয়েতনামের চালের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা। [১]

২০১৫ সালে এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২০৫ মিলিয়ন (২০.৫ কোটি) মার্কিন ডলারে। এ বছর পূর্বের বছরগুলোর তুলনায়, ভিয়েতনামে, তানজানিয়ার রপ্তানি আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ভিয়েতনাম, তানজানিয়ার কাজু বাদামের দ্বিতীয় বৃহত্তম খরিদ্দার। এছাড়াও, তানজানিয়ার তুলার তৃতীয় বৃহত্তম ক্রেতা হল ভিয়েতনাম।[২]

বিদেশি বিনিয়োগ[সম্পাদনা]

হ্যালোটেল হল, তানজানিয়াতে পরিচালিত হওয়া একমাত্র ভিয়েতনামের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) মার্কিন ডলারের প্রারম্ভিক বিনিয়োগ করেছে দেশটিতে। হ্যালোটেল, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি, তানজানিয়ার, গ্রামাঞ্চলে তাদের সেবা এবং সুযোগ সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এর প্রেক্ষিতে তানজানিয়া প্রতিষ্ঠানটিকে, তানজানিয়াতে ব্যবসা চালু করার জন্য অনুমতি পায় এবং তানজানিয়া সরকারের কাছ থেকে এর লাইসেন্স পায়। ২০১৪ সালে, তানজানিয়ার রাষ্ট্রপতি, জাকায়া কিকওয়েতের, ভিয়েতনামে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় হ্যালোটেল এ লাইসেন্স লাভ করে।[৩]

২০১৬ সালের মার্চ মাসে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি, ট্রুং তান সাং এর তানজানিয়া সফরের সময়, তার সফরসঙ্গী হিসেবে ভিয়েতনামের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী তানজানিয়াতে যান। এই ব্যবসায়ী দলের উদ্দেশ্য ছিল, তানজানিয়াতে ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশ এবং সম্ভাবনা যাচাই করে দেখা। ভিয়েতনামের এই ব্যবসায়ী দল তানজানিয়ার বিশেষ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করেন। তানজানিয়ায় বিনিয়োগের পরিবেশে দলটি সন্তুষ্ট হয়, এবং পূর্ব আফ্রিকাতে ভিয়েতনামের পণ্য রপ্তানির জন্য তানজানিয়াকে নিজেদের প্রবেশদ্বার বানানোর ব্যাপার আশাবাদ ব্যক্ত করে।[৪]

কূটনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

১৯৬৫ সালে, ভিয়েতনাম এবং তানজানিয়ার মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। [১]

তানজানিয়ার রাজধানী দারুস সালাম-এ ভিয়েতনামের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। মূলত, এই দূতাবাসের মাধ্যমেই ভিয়েতনাম, সমস্ত পূর্ব আফ্রিকার সাথে নিজেদের কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখে এবং বিভিন্ন কূটনৈতিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। কিন্তু ভিয়েতনামে, তানজানিয়ার কোন দূতাবাস নেই। চীনের রাজধানী বেইজিং-এ অবস্থিত তানজানিয়ার দূতাবাসের নিকট, ভিয়েতনাম সম্পর্কিত সকল কূটনৈতিক এবং অন্যান্য কার্যক্রমের দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে। এই দূতাবাসের মাধ্যমেই তানজানিয়া, ভিয়েতনামের সাথে কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং সম্পর্ক বজায় থাকে।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "New development in Vietnam-Tanzania relations"ভিয়েতনামপ্লাস। ২০১৬-০৩-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০৩ 
  2. "Export destinations of Raw Cotton from Tanzania (2013)"দ্যা অবজারভেটরি ইকনোমিক কমপ্লেক্সিটি। ২০১৬-০৪-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০৩ 
  3. "Tanzania: Trade Ties With Vietnam Poised to Grow Stronger"অলআফ্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০৩ 
  4. "Tanzania, Vietnam eye $1bn trade volume"www.thecitizen.co.tz। ২০১৬-০৪-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০৩ 
  5. "Tanzania China Embassy Profile"www.webcitation.org। ২০১৫-০৩-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০৩