টিঙ্কার টেইলর সোলজার স্পাই (চলচ্চিত্র)
টিঙ্কার টেইলর সোলজার স্পাই | |
---|---|
পরিচালক | টমাস আলফ্রেডসন |
প্রযোজক | টিম বেভান এরিক ফেলনার রবিন স্লভো |
চিত্রনাট্যকার | ব্রিজিট ও'কনর পিটার স্ট্রোহান |
উৎস | জন লে কার রচিত টিঙ্কার, টেইলর, সোলজার, স্পাই |
শ্রেষ্ঠাংশে | গ্যারি ওল্ডম্যান কলিন ফার্থ বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ টম হার্ডি জন হার্ট টবি জোন্স মার্ক স্ট্রং |
সুরকার | আলবের্তো ইগলেসিয়াস |
চিত্রগ্রাহক | হয়েট ফন হয়েটেমা |
সম্পাদক | ডিনো হন্সাটের |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | স্টুডিও ক্যানালlইউকে (যুক্তরাজ্য) স্টুডিও ক্যানাল (ফ্রান্স) |
স্থিতিকাল | ১২৭ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাজ্য ফ্রান্স |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $২১ মিলিয়ন |
আয় | $৮০,৬৩০,৬০৮[১] |
টিঙ্কার টেইলর সোলজার স্পাই টমাস আলফ্রেডসন পরিচালিত একটি স্পাই ফিল্ম। ২০১১ সালে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ চলিচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। জন লে কার রচিত টিঙ্কার, টেইলর, সোলজার, স্পাই উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা করেন ব্রিজিট ও'কনর এবং পিটার স্ট্রোহান। মূল চরিত্র জর্জ স্মাইলি চরিত্রে অভিনয় করেন গ্যারি ওল্ডম্যান। অন্যান্য কলাকুশলীর মধ্যে ছিলেন কলিন ফার্থ, বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, টম হার্ডি, জন হার্ট, টবি জোন্স, মার্ক স্ট্রং, সিয়ারান হাইন্ডস প্রমুখ। চলচ্চিত্রটির পটভূমি ১৯৭০-এর শুরুর দিকের লন্ডন। ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগের উচ্চপর্যায়ে লুকিয়ে থাকা এক সোভিয়েত ডাবল এজেন্টকে খুঁজে বের করা নিয়ে চলচ্চিত্রটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে।
কাহিনী সংক্ষেপ
[সম্পাদনা]১৯৭৩ সালের অক্টোবর। ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্সের (এজেন্টদের কাছে দ্য সার্কাস নামে পরিচিত, এমআই সিক্স) প্রধান "কন্ট্রোল" এজেন্ট জিম প্রিডোকে সমাজতান্ত্রিক হাঙ্গেরিতে প্রেরণ করে এক হাঙ্গেরিয়ান জেনারেলের কাছে, যিনি দাবি করেছেন তার কাছে একটা জরুরি তথ্য রয়েছে। কিন্তু প্রিডো ঘটনাস্থলে গুলি খায় আর সোভিয়েত এজেন্টদের হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনার ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং কন্ট্রোল আর তার ডান-হাত বলে পরিচিত জর্জ স্মাইলি সার্কাস থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কন্ট্রোল আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। এ ঘটনার কিছুদিন পরেই সে মৃত্যুবরণ করে।
পার্সি অ্যালালাইন সার্কাসের নয়া প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে। বিল হেইডেন তার ডেপুটির পদ গ্রহণ করে আর তাদের সঙ্গ দেয় ঘনিষ্ঠ রয় ব্লেন্ড ও টবি এস্টাহার্স। এরা চারজন "উইচক্র্যাফ্ট" নামের একটা প্রোজেক্ট হাতে নেয়। তারা দাবি করে, উইচক্র্যাফ্ট প্রোজেক্ট থেকে ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স উচ্চপর্যায়ের রাশিয়ান গোপন তথ্য পেতে পারবে। কন্ট্রোল আর স্মাইলির কাছে প্রোজেক্টটা কখনোই খুব বেশি সুবিধার মনে হয় নি। উইচক্র্যাফ্ট থেকে পাওয়া এসব তথ্য আবার মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় মূল্যবান মার্কিন গোপন নথির বিনিময়ে।
এদিকে এমআই সিক্সের এক এজেন্ট রিকি টার দাবি করে যে, সার্কাসের উচ্চপর্যায়ে একজন রাশিয়ার এজেন্ট চুপিসারে কাজ করে যাচ্ছে; একজন মোল। কন্ট্রোলেরও একই সন্দেহ সবসময় ছিল। অলিভার লেকন, সার্কাসে কর্মরত একজন বেসামরিক কর্মকর্তা স্মাইলিকে অবসর থেকে ফিরিয়ে আনে। তার কাজ হবে গোপনে এই মোলকে খুঁজে বের করা। স্মাইলি কয়েকজন সহকারী বেছে নিয়ে কাজে নেমে পড়ে। তার এবং কন্ট্রোলের সমসাময়িক যেসব কর্মকর্তাদের সার্কাস থেকে ছাঁটাই করে দেয়া হয়, তাদের সাথে কথা বলা শুরু করে সে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ব্রিটিশ চলচ্চিত্র
- ২০১১-এর চলচ্চিত্র
- লন্ডনের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- প্যারিসের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- বুদাপেস্টে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- স্টুডিওক্যানেলের চলচ্চিত্র
- ১৯৭৩-এর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ১৯৭৪-এর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- লন্ডনে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- বাফটা বিজয়ী (চলচ্চিত্র)
- শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ চলচ্চিত্র বিভাগে বাফটা পুরস্কার বিজয়ী
- ২০১০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র