জাতীয় বিজ্ঞান সংগ্রহালয় পরিষদ
সংক্ষেপে | এনসিএসএম (NCSM) |
---|---|
গঠিত | ৪ এপ্রিল ১৯৭৮ |
ধরন | সামাজিক |
আইনি অবস্থা | সরকারি |
উদ্দেশ্য | শিক্ষামূলক |
সদরদপ্তর | জিএন ব্লক, সেক্টর ৫, বিধাননগর, পশ্চিমবঙ্গ |
অবস্থান |
|
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৪′১২″ উত্তর ৮৮°২৫′৪৩″ পূর্ব / ২২.৫৭০০০° উত্তর ৮৮.৪২৮৬১° পূর্ব |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বৈশ্বিক |
ডিরেক্টর জেনারেল | এ. ডি. চৌধুরী |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | সংস্কৃতি মন্ত্রক, ভারত সরকার |
বাজেট | ₹ ৭৪০ কোটি (ইউএস$ ৯০.৪৫ মিলিয়ন) (২০২০–২১)[১] |
স্টাফ | ৮৫২ (৩১ মার্চ ২০১৯[হালনাগাদ]) -এর হিসাব অনুযায়ী[২] |
ওয়েবসাইট | ncsm |
মন্তব্য | ১,৪৪,০৯,৫৫৫ জন আগন্তুক (৩১ মার্চ ২০১৯[হালনাগাদ]) -এর হিসাব অনুযায়ী[২] |
জাতীয় বিজ্ঞান সংগ্রহালয় পরিষদ (ইংরেজি: National Council of Science Museums; হিন্দি: राष्ट्रीय विज्ञान संग्रहालय परिषद्) বা এনসিএসএম (ইংরেজি: NCSM) ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীন এক স্বতন্ত্র বৈজ্ঞানিক সংগঠন, যার উদ্দেশ্য ভারত জুড়ে একাধিক বিজ্ঞান জাদুঘর ও বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে বিজ্ঞান নিয়ে সচেতন করা।[৩] এর অধীনে ২৪টি বিজ্ঞান কেন্দ্র ও জাদুঘর এবং একটি গবেষণা ও বিকাশ ও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২ মে ১৯৫৯-এ কলকাতায় ভারতের প্রথম বিজ্ঞান জাদুঘর বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা (বিআইটিএম) চালু হয়েছিল। জুলাই ১৯৬৫-এ বেঙ্গালুরুতে দেশের দ্বিতীয় জাদুঘর বিশ্বেশ্বরায় শিল্প ও প্রযুক্তি জাদুঘর (ভিআইটিএম) চালু হয়েছিল। কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর পর ১৯৭৪ সালে মুম্বইতে আরেকটি বিজ্ঞান জাদুঘরের নির্মাণ শুরু হয়েছিল। বিজ্ঞান জাদুঘরের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পায় এবং ১৯৭০-এর দশকে ইউনিয়ন প্ল্যানিং কমিশন বিভিন্ন বিজ্ঞান জাদুঘরের কার্যকলাপ মূল্যায়নের জন্য এক টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছিল। সেই টাস্ক ফোর্স দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয়, রাজ্য ও জেলা স্তরে বিজ্ঞান জাদুঘর এবং এক কেন্দ্রীয় সমবায় সংস্থা তৈরি করার সুপারিশ দিয়েছিল। ১৯৭৮ সালে ভারত সরকার বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (সিএসআইআর) অধীনস্থ কলকাতা, বেঙ্গালুরু ও মুম্বইয়ের বিজ্ঞান জাদুঘরকে এক সদ্য তৈরি হওয়া জাতীয় বিজ্ঞান সংগ্রহালয় পরিষদের অধীনে আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল, যা ৪ এপ্রিল ১৯৭৮-এ রেজিস্ট্রিকৃত।[৪]
বিজ্ঞান কেন্দ্রের তালিকা
[সম্পাদনা]জাতীয় স্তরের কেন্দ্র
[সম্পাদনা]- কেন্দ্রীয় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ গবেষণাকেন্দ্র, বিধাননগর — ১ জানুয়ারি ১৯৮৮ থেকে সক্রিয় এবং ১৩ মার্চ ১৯৯৩-এ জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছিল।
- জাতীয় বিজ্ঞান কেন্দ্র, দিল্লি — ৯ জানুয়ারি ১৯৯২-এ চালু করা হয়েছিল।
- নেহেরু বিজ্ঞান কেন্দ্র, মুম্বই — ১১ নভেম্বর ১৯৮৫-এ উদ্বোধন করা হয়েছিল।
- বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা (বিআইটিএম), কলকাতা — ২ মে ১৯৫৯-এ উদ্বোধন করা হয়েছিল।
- বিশ্বেশ্বরায় শিল্প ও প্রযুক্তি জাদুঘর (ভিআইটিএম), বেঙ্গালুরু — ১৯৬৫ থেকে সক্রিয়।
- সায়েন্স সিটি, কলকাতা — ১ জুলাই ১৯৯৭-এ সম্পূর্ণভাবে চালু করা হয়েছিল।
স্যাটেলাইট কেন্দ্র
[সম্পাদনা]- আঞ্চলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র, গুয়াহাটি — ১৫ মার্চ ১৯৯৪-এ উদ্বোধন করা হয়েছিল।
- আঞ্চলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র, তিরুপতি — ১৯৯৩ থেকে সক্রিয়।
- আঞ্চলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র, ভুবনেশ্বর — ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯-এ উদ্বোধন করা হয়েছিল।
- গোয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র, পানাজি — ২০০২ থেকে সক্রিয়।
- জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র, কলবুরগি — ১৯৮৪ থেকে সক্রিয়।
- জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র, পুরুলিয়া — ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮২-এ উদ্বোধন করা হয়েছিল।
- ঢেঙ্কানাল বিজ্ঞান কেন্দ্র, ঢেঙ্কানাল — ৫ জুন ১৯৯৫-এ উদ্বোধন করা হয়েছিল।
- দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র ও জাতীয় বিজ্ঞান ক্যাম্প, দীঘা — ৩১ আগস্ট ১৯৯৭-এ উদ্বোধন করা হয়েছিল।
- বর্ধমান বিজ্ঞান কেন্দ্র, গোলাপবাগ, বর্ধমান — ৯ জানুয়ারি ১৯৯৪-এ উদ্বোধন করা হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ https://www.indiaculture.nic.in/sites/default/files/pdf/DDG_2020_21_rotated_05_05_2020.pdf
- ↑ ক খ Activity Report 2018–19. p–63. National Council of Science Museums publication.
- ↑ Ministry of Culture official website. indiaculture.nic.in.
- ↑ "National Council of Science Museums"। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- উইকিমিডিয়া কমন্সে জাতীয় বিজ্ঞান সংগ্রহালয় পরিষদ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট