জর্জ বিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জর্জ বিন
১৮৯৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জর্জ বিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজর্জ বিন
জন্ম৭ মার্চ, ১৮৬৪
সাটন-ইন-অ্যাশফিল্ড, নটিংহামশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১৬ মার্চ, ১৯২৩
ম্যান্সফিল্ড, নটিংহামশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম পেস
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭২)
১ জানুয়ারি ১৮৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২৮ মার্চ ১৮৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৪৭
রানের সংখ্যা ৯২ ৮,৬৩৪
ব্যাটিং গড় ১৮.৪০ ২০.৭০
১০০/৫০ ০/১ ৯/৪০
সর্বোচ্চ রান ৫০ ১৮৬
বল করেছে ১৭,০৭৬
উইকেট ২৬০
বোলিং গড় - ২৭.২৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং - ৮/২৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/০ ১৫৪/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ মার্চ ২০২০

জর্জ বিন (ইংরেজি: George Bean; জন্ম: ৭ মার্চ, ১৮৬৪ - মৃত্যু: ১৬ মার্চ, ১৯২৩) নটিংহামশায়ারের সাটন-ইন-অ্যাশফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ার ও সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৮৮৫ সাল থেকে ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত জর্জ বিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৮৮৬ থেকে ১৮৯৭ সময়কালে সাসেক্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। জন্মগতসূত্রে নটসের না হলেও বেশ কয়েকজন ইংরেজ ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে প্রভূতঃ সুনাম কুড়িয়েছেন। ১৮৮৫ সালে নটস একাদশের পক্ষে খেলায় সুযোগ কমে আসে। পরের বছরে অর্ধ-ডজন খেলার প্রস্তাবনা ফিরিয়ে দেন। আবাসিক মর্যাদা লাভের পর সাসেক্সের পক্ষে নিজেকে উজাড় করে দেন। এ পর্যায়ে তিনি সাসেক্সের অমূল্য ব্যাটসম্যান হিসেবে উপস্থাপন করতে সচেষ্ট হন।

১৮৮৫ সালে নিজ কাউন্টি নটিংহামশায়ারের পক্ষে এক মৌসুম খেললেও সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। এরপর, সাসেক্সের দিকে ধাবিত হন। ১৮৯১ সালে স্বর্ণালী মৌসুম অতিবাহিত করেন।

১৮৮৬ থেকে ১৮৯৮ সময়কালে সাসেক্সের পক্ষে ২১৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। এ পর্যায়ে দশটি শতরানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। নিজের দিনগুলোয় ব্রাইটনের উইকেট বেশ উপযোগী ছিল ও তার খেলার ধরনের সাথে একাত্মতা পোষণ করতো। অধিকাংশ কাটের মারই দূর্দান্তভাবে মেরেছেন ও প্যাভিলিয়নের কাছাকাছি সীমানা ছিল। অগণিত চারের মার উইকেটে না দৌঁড়িয়েই সম্পন্ন করেছেন। একবার খেলায় হাত ছুটলে বাকীদের বিশ্রামের অবকাশ মিলতো। ১৮৯১ সালে ব্রাইটনে নটসের বিপক্ষে অপরাজিত ১৪৫ ও ৯২ রান তুলেন। এ বছরে তিনি তার স্বর্ণালী সময় অতিক্রম করেন। সাসেক্সের গড়ে শীর্ষস্থানে ছিলেন ও পেশাদার ব্যাটসম্যানদের তুলনায় এগিয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জর্জ বিন। ১ জানুয়ারি, ১৮৯২ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৪ মার্চ, ১৮৯২ তারিখে অ্যাডিলেডে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

সুন্দর ঘরোয়া মৌসুম অতিবাহনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৯১-৯২ মৌসুমের শীতকালে লর্ড শেফিল্ড একাদশের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। তবে, তিনি এ সফরে নিজস্ব দক্ষতার কোন স্বাক্ষর কিংবা সেখানে খেলার ছন্দ ফিরিয়ে আনতে পারেননি। এ সফরে নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হন।

অবসর[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ডে ফিরে এক মৌসুম বেশ নিস্তেজ ছিলেন। ১৮৯২ সালেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাপক ছন্দপতন ঘটে। ফলে, ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলার জন্যে আর আমন্ত্রণ বার্তা পাননি। তবে, ১৮৯৩ সালে পুনরায় খেলার জগতে ফিরে আসেন। আবারও সাসেক্সের গড়ে শীর্ষে ছিলেন। ১৮৯৩ সালে সাসেক্সের পক্ষে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের জন্যে মনোনীত হন। সাসেক্সের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবন সম্পন্ন করার পর লর্ডসে মাঠ কর্মকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। আমৃত্যু সেখানে তিনি জ্যেষ্ঠ সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। ১৯২১ সালে লর্ডসে সফলতার সাথে আর্থিক সুবিধা লাভ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ফুসফুস প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হন। ১৬ মার্চ, ১৯২৩ তারিখে ৫৯ বছর বয়সে নটিংহামশায়ারের ম্যান্সফিল্ড এলাকায় জর্জ বিনের দেহাবসান ঘটে। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। এলিজা নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তার মৃত্যুর প্রায় ৯ বছর পূর্বে এলিজার দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১] ESPNcricinfo, ESPN, সংগ্রহের তারিখ: ২ মার্চ ২০২০

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]