চিন মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চিন মসজিদ
Çin məscidi
চিন মসজিদের অভ্যন্তর
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থাপুনরুদ্ধার: নিউমিসম্যাটিক মিউজিয়াম
অবস্থান
অবস্থান পুরাতন শহর, বাকু
দেশআজারবাইজান
চিন মসজিদ আজারবাইজান-এ অবস্থিত
চিন মসজিদ
আজারবাইজানের মধ্যে প্রদর্শিত
স্থানাঙ্ক৪০°২১′৫৭″ উত্তর ৪৯°৪৯′৫৭″ পূর্ব / ৪০.৩৬৫৯৫৭° উত্তর ৪৯.৮৩২৫৯৬° পূর্ব / 40.365957; 49.832596
স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলীইসলামী স্থাপত্য, শিরভান-আবশেরন স্থাপত্য শৈলী
প্রতিষ্ঠাতাফজলুল্লাহ ইমাম ইবনে ওসমান শিরভানী
সম্পূর্ণ হয়১৩৭৫-১৩৭৬

চিন মসজিদ (আজারবাইজানি: Çin məscidi) ১৪শ শতাব্দীর একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন মসজিদ। এটি বাকুর পুরনো শহরের একটি অংশ। এটি আজারবাইজানের বাকু শহরের শিরবনশাহদের প্রাসাদের নিকটে কিছিক গালা রাস্তার বাঁকে অবস্থিত। আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ২০০১ সালের ২রা আগস্ট ভবনটি একটি জাতীয় স্থাপত্য স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে নিবন্ধিত হয়, যার স্মৃতিচিহ্ন নং: ১৩২।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রবেশদ্বারের উপরের অংশের শিলালিপি অনুসারে, মসজিদটি ১৩৭৫ সালে (হিজরি: ৭৭৭) নির্মাণ করা হয়। এহাড়াও, শিলালিপি দেখে ধারণা করা হয় যে, মসজিদটি "ফজলুল্লাহ ইমাম ইবনে ওসমান শিরভানী" কর্তৃক নির্মিত হয়। এ কারণে মাঝে মাঝে মসজিদকে তার নামে ডাকা হয়।[২][৩]

সম্মুখভাগের অন্যান্য খোদাই করা লেখা থেকে এটি স্পষ্ট জানা যায় যে, মাসুদ আলী ১৭৭২ থেকে ১৭৭৩ সালে (হিজরি: ১১৮৬) মসজিদটি পুনরুদ্ধার করেন।[২][৩]

এছাড়াও, "পুরাতন শহর রাষ্ট্রীয় ঐতিহাসিক-স্থাপত্য সংরক্ষণ বিভাগ" ২০১২ সালে মসজিদের জাদুঘরের উল্লেখযোগ্য মেরামত ও পুনরুদ্ধারের কাজ করে।[৩]

বিবরণ[সম্পাদনা]

মসজিদের অভ্যন্তরের দক্ষিণ দেয়ালে একটি আয়তক্ষেত্র দিয়ে তৈরি করা পাঁচটি স্তর নিয়ে স্থিতিশীল মিহরাব গঠিত। যা সামগ্রিকভাবে "শিরভান-আবশেরন স্থাপত্য শৈলীর" নির্দিষ্ট মোটিফের আদলে তৈরি।[৪] আর প্রান্তের দিকে ছোট কুলুঙ্গি স্থাপিত রয়েছে।[২]

মসজিদের প্রধান সম্মুখভাগ অপ্রতিসম এবং অনমনীয়। এর বৃহদায়তন গঠন ধ্রুপদী-ঘরনার প্রবেশদ্বারের মত গুরুত্ব বহন করে।[২][৩]

প্রাচীরের বহির্ভাগের দেয়ালে, প্রবেশদ্বারের সঠিক রেখার আয়তক্ষেত্রাকার ফ্রেম, গহ্বর এবং আরবি ভাষার খোদাই করা শিরোনামগুলো ধ্রুপদী আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। শহরের মধ্যযুগের পূর্ব শৈলীর অন্যান্য প্রবেশদ্বারগুলোর মধ্যে এই মসজিদের প্রবেশদ্বারটি সবচেয়ে ধ্রুপদী।[২][৩]

প্রদর্শনী[সম্পাদনা]

মসজিদে মুদ্রা ও প্রাচীন মুদ্রা প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা আছে। জাদুঘরের প্রধান প্রদর্শনী হলো মুদ্রা, পয়সা এবং সাসানিড, সাফাভিড, শিরভানশা ও অন্যান্যদের যুগের আকর্ষণীয় প্রাচীন প্রদর্শনী, যা আজারবাইজানে অর্থ প্রচলনের শুরু থেকে বিভিন্ন সময়কালে বিদ্যমান ছিল। প্রদর্শনীগুলোকে পৃথক পৃথক সময়কালে বিভক্ত এবং বিভিন্ন শ্রেণীর প্রদর্শনীতে গোষ্ঠীভুক্ত করা। সময়কালের সাধারণ বৈশিষ্ট্য, বিস্তারিত বিবরণ, ধরন এবং সেই সময়ের মুদ্রা ইউনিটের অবস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য প্রদর্শনীর বাইরে একটি পৃথক বোর্ডে লিখে রাখা হয়েছে।[৪]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Azərbaycan Respublikası ərazisində dövlət mühafizəsinə götürülmüş daşınmaz tarix və mədəniyyət abidələrinin əhəmiyyət dərəcələrinə görə bölgüsünün təsdiq edilməsi haqqında Azərbaycan Respublikasi Nazirlər Kabinetinin qərarı"e-qanun.az। ৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮ 
  2. ""Çin" məscidi" (আজারবাইজানী ভাষায়)। scwra.gov.az। ১৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  3. "ÇİN MƏSCİDİ" (আজারবাইজানী ভাষায়)। icherisheher.gov.az। ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  4. ""Çin" məscid - qədim sikkələrin nümayiş olunduğu məkan" (আজারবাইজানী ভাষায়)। azertag.az। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮