আগদাম মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আগদাম মসজিদ
আগদাম মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানডে জুরি আজারবাইজান শুশা, আজারবাইজান
স্থাপত্য
স্থপতিকারবালাই সাফিখান করবাখী
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামী স্থাপত্য
সম্পূর্ণ হয়১৮৭৫-১৮৭৬
মিনার

আগদাম মসজিদ (আজারবাইজানি: Ağdam məscidi)আজারবাইজানের আগদামের গৌস্ট শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। আগদামের গৌস্ট শহর[১] আজারবাইজানের ডে জুরি অংশ তবে ডি ফ্যাক্টো আর্টসখ প্রজাতন্ত্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে শহরের অনেক ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। কিছু ভবন টিকে থাকে যার মধ্যে মসজিদটি অন্যতম। [২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

স্থপতি কারবালাই সাফিখান কারাবাখী ১৮৬৮ থেকে ১৮৭০ সালের মধ্যে মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি কারাবাখ অঞ্চলে মসজিদের জন্য সাধারণ শৈলীতে নির্মিত হয়। যার অধীনে পাথরের কলাম দিয়ে দ্বিতল বিশিষ্ট চিত্রশালা এবং গম্বুজযুক্ত ছাদ ব্যবহার করা হয়েছে। এই শৈলীতে নির্মিত অন্যান্য মসজিদগুলির মধ্যে রয়েছে বারদা মসজিদ, শুশার ইউখারি গোবরের আগা মসজিদ, ফিজুলির একটি মসজিদ এবং গোরাদিজ গ্রামের একটি মসজিদ।[৩]

১৯৯২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি কারাবাখ-আর্মেনিয়ান বাহিনীর দ্বারা খোজালির আক্রমণের পরে ২০০ জনের মরদেহ এই মসজিদে সমাহিত করা হয়। [৪] তবে মসজিদের পরিচালক সেয়িদ সাদিকভের মতে মসজিদে ৪৭৭ জনের মরদেহ সমাহিত করা হয়।[৫]

বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

মসজিদটি আগদমের টিকে থাকা কয়েকটি আবাসিক ভবনগুলির মধ্যে একটি। আজারবাইজানীয় সূত্র অনুসারে, মসজিদের ছাদ এবং চিলেকোঠা ভাঙ্গে ফেলা হয়, আর জানালা, দরজা, অভ্যন্তরীণ ভবন এমনকি পাথরের তলটিও ধ্বংস করা হয়।[৬].

২০১০ সালের জুনে মসজিদে আসা আলোকচিত্ৰগ্রাহক আন্দ্রেই গালাফিয়েভ জানান যে "আগামের ধ্বংসাবশেষে দিনের বেলা ঘুরে বেড়ানো গবাদি পশুর খাদ্য ও গোবর দিয়ে মসজিদটির মেঝে পুরোপুরি নোংরা করা"।[৭] তার ছবিতে মসজিদের মধ্যে গবাদি পশু দেখানো হয়। এই প্রতিবেদনে আজারবাইজানীয় সংবাদপত্র এবং একটি তুরস্কের সংস্থা সমালোচনা ও অভিযোগ করে, যে মসজিদটি গরু এবং শূকরের আবাস্থল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

২০১০ সালের নভেম্বরে নাগর্নো-কারাবাখ সরকার ঘোষণা করে, যে মসজিদ এবং এর আশেপাশের জায়গাটি পরিষ্কার করা হয়েছে।[৮] তারা এও ঘোষণা করে যে আগদামের মসজিদ, পাশাপাশি শুশার মসজিদগুলিও সংস্কার করা হয়েছে। [২]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Paul, Amanda (১৭ মে ২০১১)। "Agdam -- an Azerbaijani ghost town"Today's Zaman। ২০১৫-১২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-১৩ 
  2. "Armenian Karabakh Official Says Mosques Being Repaired"Radio Free Europe/Radio Liberty। ১৮ নভেম্বর ২০১০। 
  3. ВЛИЯНИЕ ХРИСТИАНСТВА НА АРХИТЕКТУРУ АЗЕРБАЙДЖАНА (রুশ ভাষায়)। Bakilililar.az। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১০ 
  4. ДОКЛАД ПРАВОЗАЩИТНОГО ЦЕНТРА «МЕМОРИАЛ» (রুশ ভাষায়)। Memo.ru। ৩১ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১০ 
  5. Goltz, Thomas। "Xocalı soyqırımı dünyanın gözü ilə"Xocalı Faciəsi (আজারবাইজানী ভাষায়)। Washington Post। ২০১১-০২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১০ 
  6. "Exposed: Armenians turned the mosque in Azerbaijani Agdam region into a.."Today.az। ২৬ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১০ 
  7. "Turks complain to Pope on vandalism in Karabakh church by Armenians"news.az। ২০ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১০ 
  8. "Works on preservation of Muslim cultural heritage in Nagorno-Karabakh underway"news.am। ১৭ নভেম্বর ২০১০। ২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২০