গাজাখলার মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৪০°৪০′১২″ উত্তর ৪৬°২০′০৫″ পূর্ব / ৪০.৬৬৯৯° উত্তর ৪৬.৩৩৪৬° পূর্ব / 40.6699; 46.3346
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাজাখলার মসজিদ

Qazaxlar məscidi
স্থানাঙ্ক: ৪০°৪০′১২″ উত্তর ৪৬°২০′০৫″ পূর্ব / ৪০.৬৬৯৯° উত্তর ৪৬.৩৩৪৬° পূর্ব / 40.6699; 46.3346
স্থাপত্য তথ্য
ধরন আরান স্কুল অফ আর্কিটেকচার
মূল প্রবেশদ্বার থেকে পোর্টাল ভিউ

গাজাখলার মসজিদ (আজারবাইজানীয়: Qazaxlar məscidi) হল ১৯ শতকের একটি ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্য নিদর্শন, যা গানজা (আজারবাইজান) শহরে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মসজিদটি ১৮০১-১৮০২ সালে গাজাখ অঞ্চল থেকে গাঞ্জায় আগত উপজাতিদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। গাজাখলার মসজিদটি জুমা মসজিদের পরিকল্পনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছিল। মসজিদের স্থপতি কে তা জানা যায়নি।[১]

১৯২০ সালে আজারবাইজানে সোভিয়েত ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার পর ধর্মের বিরুদ্ধে বলশেভিকদের সংগ্রাম শুরু হয়। অন্যান্য অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মতো গাজাখলার মসজিদটির কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং এটি একটি গুদাম, স্কুল এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

২ আগস্ট, ২০০১-এ গৃহীত আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রিপরিষদের ১৩২ নং সিদ্ধান্ত অনুসারে, গাজাখলার মসজিদটিকে স্থানীয় গুরুত্বের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অস্থাবর স্মৃতিস্তম্ভের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।[২]

২০১৪ সালে এই মসজিদটিতে আগুন লেগেছিল। যার ফলস্বরূপ মসজিদটির ছাদের কিছু অংশ পুড়ে যায়। এরপর ২০১৮ সালে মসজিদের পুনরুদ্ধারের কাজ করা হয়েছিল[৩] বর্তমানে, এই ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য নিদর্শনটি একটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৪]

স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

মসজিদের ভিত্তি নদী পাথরে নির্মিত। মসজিদের দেয়াল লাল পোড়া ইট দিয়ে নির্মন করা হয়েছে। সমস্ত দেয়ালের পুরুত্ব ১২-২০ সেমি, এবং উচ্চতা ১.৫ মিটার। মসজিদের মুখ লাল ইট দিয়ে আবৃত, যা এই এলাকার জন্য আদর্শ। জুমা মসজিদ-এর মতো গাজাখলার মসজিদেও তিনটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। মূল প্রবেশদ্বারটি একটি গভীর খিলানযুক্ত পোর্টালের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়েছে। অন্যান্য দরজাগুলো মসজিদের ডান ও বামে। মসজিদটিতে তেরটি কাঠের জানালা এবং একটি সিঁড়ি রয়েছে। মসজিদের দেয়ালে কিতাবা ও বিভিন্ন অলংকার নেই।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "525.az - print"525.az। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৩ 
  2. Cabinet of Ministers of the Republic of Azerbaijan (২০১৫-১২-০৮)। "Yerli əhəmiyyətli daşınmaz tarix və mədəniyyət abidələrinin siyahısı"। ২০২২-০৮-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৩ 
  3. edsirat; Perishable (২০২১-০৯-১২)। "Gəncə şəhəri Qazaxlar məscidi"Sirat.az (আজারবাইজানী ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৩ 
  4. Vzglayd.az। "В Гянджинской мечети произошёл пожар"vzglyad.az (রুশ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৩