গ্রানাডার ত্রয়োদশ মুহাম্মদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ
محمد الثالث عشر
আল-জাগল
১৩শ থেকে ১৫শ শতাব্দীর মধ্যে নাসরি রাজবংশ শাসিত গ্রানাডা আমিরাত
গ্রানাডার আমির
রাজত্ব১৪৮৫–১৪৮৬
পূর্বসূরিআবুল হাসান আলী
উত্তরসূরিদ্বাদশ মুহাম্মদ
জন্মআনু. ১৪৪৪
আলহামরা, গ্রানাডা
মৃত্যুআনু. ১৪৯৪
তলেমসেন
পূর্ণ নাম
আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ আল-জাগল
রাজবংশনাসরি রাজবংশ
পিতাআবু নাসর সা'দ
ধর্মইসলাম

আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ বা ত্রয়োদশ মোহাম্মদ বা আল-জাগল (আরবি: أبو عبد الله محمد الثالث عشر; আনু. ১৪৪৪– আনু. ১৪৯৪) ছিলেন স্পেনের গ্রানাডা আমিরাতের নাসরি রাজবংশের ২৩তম শাসক। তিনি কেবল ত্রয়োদশ মুহাম্মদ বা আল জাগল নামে অধিক পরিচিত ছিল। খ্রিস্টানরা তাকে মহোমা ১৩শ বা এল জাগাল বলে ডাকত।[১] ১৪৮৬ সালে গ্রানাডার নাসরি বংশের করুণ সময়ে তিনি নিজের ভাই আবুল হাসান আলির হাত থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেন; কিন্তু কাস্তিল ও আরাগনের সম্মিলিত খ্রিস্টানবাহিনীর হাতে গ্রানাডা যুদ্ধে পরাজিত হন এবং গ্রানাডার ক্ষমতা তার ভাইয়ের পুত্র বোয়াবদিলের হাতে চলে যায়। বোয়াবদিল রাণী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিন্যান্ডের সাথে সমঝেতা করে নিজের পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেও তার ক্ষমতা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন পর ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিন্যান্ডের হাতেই তিনি সম্পূর্ণ ক্ষমতা হারান এবং স্পেনের ইতিহাসে মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে।[২][৩]

গ্রানাডা যুদ্ধের পরপর কাস্তিলের রাণীর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা অনুযায়ী তিনি আন্দালুস থেকে আলজেরিয়াতে চলে যান এবং সেখানে আল মাকরি আল-তিলমিসানির সময় কাল পর্যন্ত তার বংশধররা আন্দালুসের সুলতানের পুত্র হিসাবে পরিচিত ছিল।[৪]

সংক্ষিপ্ত জীবনী[সম্পাদনা]

মুহাম্মদ তার ভাই আবুল-হাসান আলীর পাশে গ্রানাডা যুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, যিনি "মিলি হাজান" নামেও পরিচিত ছিলেন।[৫]

তিনি ১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দে তার ভাইয়ের স্থলাভিষিক্ত হন। গৃহযুদ্ধে তার ভাতিজা দ্বাদশ মুহাম্মাদের কাছে রাজ্য ও সিংহাসন দেওয়ার পর ( যিনি বোআবদিল নামেও পরিচিত) আল জাগাল তার শেষ দিনগুলিতে রাজ্যের কিছু ভাঙা অবশিষ্টাংশের উপর শাসন করেছিলেন।[৬]

তিনি সম্ভবত ১৪৯৪ সালে উত্তর-পশ্চিম আলজেরীয় শহর তলেমসেনে মারা যান।[৫]

তার বংশধর থেকে আনসারিয়ার বনু জাগল ( বা বনু আল-আহমার) নামে একটি বিশাল এবং প্রাচীন গোত্র রয়েছে, যারা মাগরেব, শামমিশর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।[৪]

গ্রানাডা যুদ্ধ ও আল জাগল[সম্পাদনা]

ক্ষমতা গ্রহণ[সম্পাদনা]

১৪৭৮ সালে সম্পাদিত হওয়া একটি যুদ্ধবিরতি তখন পর্যন্ত তাত্ত্বিকভাবে কার্যকর ছিল, যখন ১৪৮১ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রানাডীয়রা একটি খ্রিস্টান অভিযানের প্রতিশোধের অংশ হিসাবে জাহারার বিরুদ্ধে একটি আকস্মিক ও বৃহৎ আক্রমণ শুরু করে। [৭] অভিযানে শহরটির পতন ঘটে এবং এর নাগরিকদেরকে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী দাস করা হয়। তবে এই প্রতিশোধমূলক আক্রমণটি একটি বড় উস্কানি হিসাবে প্রমাণিত হয় এবং আন্দালুসিয়ায় যুদ্ধের পক্ষের দলগুলি এটিকে একটি পাল্টা হামলার সমর্থন হিসেবে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে সহায়তা করেছিল এবং একটি বিস্তৃত যুদ্ধকে সমর্থন করেছিল। আলহামরা দখল এবং এর পরবর্তী রাজকীয় অনুমোদনকে সাধারণত গ্রানাডার যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। [৭] আবু হাসান মার্চে একটি অবরোধের মাধ্যমে আল হামরার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। বাকি কাস্তিল ও আরাগন থেকে শক্তিবৃদ্ধি ১৪৮২ সালের এপ্রিলে আল-হামারা পুনরুদ্ধার করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয় এবং আরাগনের রাজা ফার্ডিনান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ১৪৯২ সালের ১৪ মে আল হামরা প্রসাদের সামরিক ক্ষমতা পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ করেন এবং গ্রানাডা রাজ্য প্রায় বিচ্ছিন্ন ও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে খ্রিস্টানরা লোজা ঘেরাও করার চেষ্টা করে; কিন্তু তারা শহরটি দখল করতেও ব্যর্থ হয়। এই ধাক্কা একটি মোড় দ্বারা ভারসাম্যপূর্ণ ছিল, যা গ্রানাডীয়দের ব্যাপক সাহায্য করে। লোজা যেদিন মুক্ত হয়েছিল সেই দিনই আবুল হাসান আলীর পুত্র আবু আব্দুল্লাহ (যিনি বোআব্দিল নামেও পরিচিত ছিলেন) পার্শ্ববর্তী খ্রিস্টান রাজ্যগুলির প্ররোচনায় নিজের পিতা রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং নিজেকে গ্রানাডার আমির দ্বাদশ মুহাম্মদ নামে ভূষিত করেন। [৮] পরে তাদের মাঝে এই গৃহযুদ্ধ ১৪৮৩ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে।

এমন সময় আবুল হাসানের ছোটো ভাই আল জাগাল মালাগার পূর্বে আক্সারকিয়ার পাহাড়ে একটি সুবিশাল খ্রিস্টান আক্রমণকারী বাহিনীকে পরাজিত করে এবং তাদের পিছিয়ে যেতে বাধ্য করেন। লুসেনায় খ্রিস্টানরা বোয়াব্দিলকে পরাজিত এবং বন্দী করতে সক্ষম হয়। পূর্বে ফার্দিনান্দ ও রাণী ইসাবেলার সমগ্র গ্রানাডা জয় করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। তবে রাজা বোবদিলকে বন্দী করার সাথে সাথে ফার্দিনান্দ তাকে সম্পূর্ণরূপেই গ্রানাডা জয় করার কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৪৮৩ সালের আগস্ট মাসে লিখিত একটি চিঠিতে ফার্দিনান্দ লিখেছিলেন, "গ্রানাডাকে বিভক্ত করতে ও এটিকে ধ্বংস করার জন্য আমরা তাকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ... এই জন্যে তাকে (বোআব্দিল) তার পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে"।[৮] ছদ্ম-খ্রিস্টান মিত্র হিসেবে বোয়াব্দিলের মুক্তির সাথে পুনরায় গ্রানাডার গৃহযুদ্ধ চলতে থাকে। একজন গ্রানাডীয় কাহিনীকার মন্তব্য করেন, বোয়াব্দিলের বন্দীকরণ ছিল 'পিতৃভূমির ধ্বংসের প্রধান কারণ'। [৮]

১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দে আল-জাগাল তার ক্ষমতার মূল ঘাঁটি আলবাজিন থেকে বোয়াব্দিলকে বহিষ্কার করেন এবং আল-জাগল তার বৃদ্ধ ভাই ও নামমাত্র আমির আবুল হাসানকে সিংহাসনচ্যুত করে নিজেই দেশ ও জাতির শাসনভার গ্রহণ করেন, যিনি অল্প সময়ের মধ্যেই মারা যান। [৯] বোআব্দিল ফার্দিনান্দ ও ইসাবেলার সুরক্ষায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তবে মুসলিম রাজ্যে ক্ষমতা ও পদবী নিয়ে অব্যাহত বিভাজন ও কাডিযের মার্কুইসের ধূর্ততা ১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দে অস্বাভাবিক গতিতে গ্রানাডার পশ্চিম অঞ্চল দখল হতে সহায়তা করে। রন্ডা শহরের নেতাদের সাথে তার আলোচনায় বিলম্ব হওয়ায় পনের দিন পর এটি তাদের দখলে পড়ে। রন্ডা পতনের ফলে গ্রানাডীয় নৌ-বহরের ঘাঁটি মার্বেলাকে পরবর্তী খ্রিস্টীয় অধিগ্রহণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। [৯]

এদিকো গ্রানাডা নিয়ন্ত্রণের জন্যে তার ভূমিকা পুনরায় শুরু করার জন্যে বোআবদিল শীঘ্রই খ্রিস্টান সুরক্ষা থেকে মুক্তি পায় এবং পরের ৩ বছর রাজা ফার্দিনান্দ ও রাণী ইসাবেলার একজন পোষ্য দাস হিসেবে কাজ করে। [৯] তিনি নাগরিকদের কাছে গ্রানাডার সীমিত স্বাধীনতা ও খ্রিস্টানদের সাথে শান্তির প্রতিশ্রুতি দেন। ক্যাথলিক রাজাদের কাছ থেকে তিনি তার নিয়ন্ত্রিত শহরগুলি পরিচালনার জন্য ডিউক উপাধি পান। [১০] গ্রানাডায় পরাজিত হওয়ার পর আল জাগল পুনরায় নিজেকে সংগঠিত করার চেষ্টা করতে থাকেন।

মালাগা অবরোধ[সম্পাদনা]

১৪৮৭ সালে গ্রানাডার প্রধান সমুদ্রবন্দর মালাগা যে কোন মূল্যে দখল করা কাস্তিলীয় সেনাবাহিনীর প্রধান লক্ষ্য ছিল। আমির আল জাগল অবরোধ মুক্ত করার প্রচেষ্টায় ধীরগতিতে অগ্রসর হতে থাকেন এবং চলমান গৃহ যুদ্ধের কারণে খ্রিস্টীয় সেনাবাহিনীকে নিরাপদে হয়রানি করতেও অক্ষম ছিলেন। এমনকি মালাগাকে সাহায্য করার জন্য শহর ত্যাগ করার পরও বোয়াব্দিল ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে শহর রক্ষা করার জন্যে তাকে আলহামরাতে বহু সৈন্য ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। [১১]

খ্রিস্টীয় সেনাবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হওয়া প্রথম প্রধান শহর ভেলেজ মালাগা ১৪৮৭ সালের ২৭ শে এপ্রিলে আত্মসমর্পণ করে। যুদ্ধে বোয়াব্দিলের স্থানীয় সমর্থক বিদ্রোহীরা সরাসরি খ্রিস্টান অবরোধকারীদের সাহায্য করেছিল। [১১] ১৪৮৭ সালের ৭ মে থেকে ১৮ আগস্ট, ১৪৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বর্ধিত মালাগা অবরোধের সময় অতিবাহিত হয়। পরে শহরের সেনাপতি আত্মসমর্পণ করার চেয়ে মৃত্যুকে বেঁছে নেন এবং আফ্রিকান সৈন্য ও খ্রিস্টান বিদ্রোহীরা ( যারা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয় ) পরাজয়ের পরিণতির ভয়ে দৃঢ়তার সাথে লড়াই করতে থাকেন। শেষের দিকে মালাগার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করার প্রস্তাব দেন; কিন্তু ফার্ডিনান্ড তাদের প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ শর্ত দিয়ে ইতোমধ্যে দুই বার তাদের প্রস্তাব করা হয়েছিল। [১২] অবশেষে যখন শহরের পতন ঘটে যায়, ফার্দিনান্দ এর প্রায় সব বাসিন্দাকে তাদের অন্তিম প্রতিরোধের জন্য দাসত্বের শাস্তি দিয়েছিল এবং বিদ্রোহীদের জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয় বা বর্শা দিয়ে তাদের শরীর বিদ্ধ করা হয়। মালাগার ইহুদিরা অবশ্য এতে রক্ষা পেয়েছিল; কারণ কাস্তিলীয় ইহুদিরা তাদের দাসত্ব থেকে মুক্তি দেয়। [১১]

ঐতিহাসিক উইলিয়াম প্রেসকট মালাগার পতনকে এই যুদ্ধের সবচে' গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করেন; কারণ গ্রানাডা যুক্তিসঙ্গতভাবেই নিজের প্রধান বন্দর মালাগা ছাড়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে চালিয়ে যেতে পারে না। মালাগা বন্দর অচল হয়ে যাওয়ার ফলে গ্রানাডার আর্থিক চাকা স্থবির হয়ে পড়ে।[১৩]

বাজা অবরোধ[সম্পাদনা]

মালাগার পতনের ফলে আল জাগল নিজের প্রতিপত্তি হারিয়ে ফেলেন এবং ১৪৮৭ সালে বোআব্দিল পুনরায় গোটা গ্রানাডা শহরের দখল নেয়। তিনি ভেলেজ-রুবি, ভেলেজ-ব্ল্যাঙ্কো ও ভেরা অঞ্চল দিয়ে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকেও নিয়ন্ত্রণ করতেন। তবে আল-জাগল রাজা হিসেবে তখনও বাজা, গুয়াডিক্স ও আল্মেরিয়া শহর নিয়ন্ত্রণ করতেন। খ্রিস্টান বাহিনী তার কিছু ভূমি নিয়ে যাওয়ার পরেও সম্ভবত তাকে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এই কথা অনুমান করে বোআব্দিল কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। [১১]

১৪৮৯ সালে খ্রিস্টীয় সেনাবাহিনী বাজা শহরে একটি বেদনাদায়ক দীর্ঘ ও কঠোর অবরোধ শুরু করে দেয়, যা আল–জাগলের অবশিষ্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ ছিল। বাজা অত্যন্ত প্রতিরক্ষামূলক শহর ছিল; কারণ এতে খ্রিস্টানদের তাদের সৈন্যবাহিনীকে বিভক্ত করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল এবং এর বিরুদ্ধে কামান খুব কমই কাজে লেগেছিল। সেনাবাহিনী সরবরাহের ফলে কাস্তিলীয়দের বিশাল অর্থের ঘাটতি দেখা দেয়।

সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে রাখার জন্যে মাঝে মাঝে বেতন ও চাকরি থেকে বঞ্চিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছিল এবং এমনকি রাণী ইসাবেলাকে অভিজাত ও সৈন্য উভয়েরই মনোবল বজায় রাখতে ব্যক্তিগতভাবে অবরোধে আসতে হয়েছিল। এর প্রায় ৬ মাস পর আল জাগল আত্মসমর্পণ করেন, যদিও তার আওতাধীন আফ্রিকীয় সৈন্যদল তখন পর্যন্তও অনেকাংশেই অক্ষত ছিল। কারণ তিনি প্রায় নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, খ্রিস্টান সৈন্যরা যতক্ষণ সময় লাগবে অবরোধ বজায় রাখার বিষয়ে অনড় ছিল এবং তার সাহায্যের আশা ছাড়া আর কোন রকমের প্রতিরোধই অসম্ভব ছিল, যার কোনও লক্ষণ ছিল না।[১১] [১৪]

নির্বাসন ও মৃত্যু[সম্পাদনা]

যুদ্ধের কিছুদিন পর আল জাগাল রাজা ফার্ডিনান্ডের সাথে একটি চুক্তি করেন এবং তাকে আলমেরিয়া ও গুয়াডিক্স ছেড়ে দিতে বাধ্য হন এবং তখন তিনি রাজা ফার্ডিন্যান্ডের অধীনস্থ হয়ে আলপুজাররাসের শাসক হিসেবে থাকেন। কিছু সময় পর তিনি নিজের রাজ্যের বাকি অংশটুকু ৫ মিলিয়ন মারাভেদের বিনিময়ে তার কাছে বিক্রি করে স্বেচ্ছায় আফ্রিকায় নির্বাসনে চলে যান।[১৫]

১৪৯১ সালে তিনি আফ্রিকায় নির্বাসনে গিয়েছিলেন; কিন্তু সেখানে তিনি বোয়াবদিলের বন্ধু ফেজের রাজা তাকে বন্দী করেছিলেন এবং যিনি তাকে অন্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন। তিনি সম্ভবত ১৪৯৪ সালে উত্তর-পশ্চিম আলজেরিয়ার তলেমসেনে শহরে মারা যান। [২]

গ্রন্থপঞ্জী[সম্পাদনা]

  • Harvey, Leonard Patrick (1992), Islamic Spain 1250 to 1500, University of Chicago Press
  • Irving, Washington (1832), Tales of the Alhambra, Éditions Phébus, 1998 (online edition)

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. راغب السرجاني: تاريخ الاندلس 
  2. نفح الطيب من غصن الأندلس الرطيب، أحمد بن المقري التلمساني، الجزء 4، ص 4 
  3. মুহাম্মদ সাল্লাবি : আন্দালুসের ইতিহাস 
  4. "بنو نصر/النصريون/بنو الأحمر في غرناطة"www.hukam.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮ 
  5. রাগিব সারজানি; আন্দালুসের ইতিহাস 
  6. "আন্দালুসের ইতিহাসঃ ১ম-২য় খণ্ড (২টি বইয়ের সেট) - ড. রাগিব সারজানি"www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৪ 
  7. Hillgarth, p. 370.
  8. Hillgarth, p. 381.
  9. Hillgarth, p. 382.
  10. Hillgarth, pp. 383–384.
  11. Hillgarth, pp. 383–384.
  12. Prescott, p. 207.
  13. Prescott, p. 211.
  14. Prescott, p. 224.
  15. نفح الطيب من غصن الأندلس الرطيب, par Al Maqqari, Dar Sader, 1997, partie 4, p 524