গুলশান শহর
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
গুলশান گلشن | |
---|---|
পৌরসভা | |
গুলশান ই ইকবাল শহর ইউনিয়ন পরিষদ | |
দেশ | পাকিস্তান |
প্রদেশ | সিন্ধু প্রদেশ |
জেলা শহর | করাচী |
প্রতিষ্ঠিত | ১৪ আগস্ট ২০০১ |
ইউনিয়ন কাউন্সিল | |
সরকার | |
• ধরন | শহর কাউন্সিল |
• নাজিম টাউন | মুহাম্মদ ওয়াসে জলিল |
• নায়েব নাজিম | শোয়েব আক্তার |
• পৌর কর্মকর্তা | মুহাম্মদ শফিকুর রেহমান |
জনসংখ্যা (১৯৯৮) | |
• মোট | ৬,৪৬,৬৬২ |
অফিশিয়াল অবস্থান | প্লট # ১৪, স্কিম ২৪, নাগরিক কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় রোড, করাচি সংলগ্ন |
ইমেইল | nazim@tmagulshan.com |
যোগাযোগ | (০২১) ৯৯২৩০৩৫৫-৯ এবং (০২১) ৯৯২৩১৩৬৩ |
ওয়েবসাইট | গুলশান অফিশিয়াল ওয়েবসাইট |
গুলশান-ই ইকবাল শহর (উর্দু: گلشن ٹاؤن) পাকিস্তানের সিন্ধু, করাচির অন্যতম একটি শহর। শহরটির উত্তরে গাদাপ শহর, পূর্বে ফয়সাল এবং মলির ক্যান্টনমেন্টস, দক্ষিণ-পশ্চিমে জামশেদ শহর এবং পশ্চিমে গুলবার্গ এবং লিয়াকতাবাদ অবস্থিত। গুলশান শহরটি পূর্ব করাচির আওতাধীন।
১৯৯৯ সালের আদমশুমারিতে গুলশান শহরটির জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৬,৫০,০০০ জন, যার মধ্যে ৯৯% মুসলমান। বিভিন্ন জাতিগত সহ গুলশান শহরে মুহাজির, সিন্ধি, পাঞ্জাবি, কাশ্মীরিরা, সরাইকিস, পশতুন, বালুচ, ইত্যাদি জনগোষ্ঠী রয়েছে। ২০১৩ সালের আদম শুমারির আগে গুলশান শহরটির জনসংখ্যা প্রায় দশ মিলিয়ন ছিল। গুলশান-ই-ইকবাল শহরের কোকান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটিতে অল্প সংখ্যক কোঙ্কানি মুসলমানও বসতি স্থাপন করেছেন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]করাচীর প্রয়াত কমিশনার জনাব সৈয়দ দরবার আলী শাহ ১৯৬৬ সালের ১৬ই এপ্রিল একটি নতুন শহর গুলশান-ই ইকবাল প্রতিষ্ঠার কল্পনা করেছিলেন। এটি মূলত কেডিএ স্কিম ২৪ ছিল যা মহান কবি আল্লামা মুহাম্মদ ইকবালের নামে নতুন নামকরণ করা হয়েছিল।
সিভিক সেন্টার এবং এক্সপো সেন্টার করাচিতে স্থাপনের পরে শহরের অনেক উন্নতি হয়েছে।
ফেডারেল সরকার ২০০০ সালে স্থানীয় সরকার সংস্কার চালু করে, যা পূর্ববর্তী তৃতীয় স্তর (প্রশাসনিক বিভাগ) কে সরিয়ে দেয় এবং চতুর্থ স্তরকে (জেলা) নতুন তৃতীয় স্তরে পরিণত করে। পাঁচটি জেলায় একীভূত হয়ে গুলশান শহরসহ আঠারোটি স্বায়ত্তশাসিত সংলগ্ন শহরগুলোর সাথে একটি নতুন করাচি শহর-জেলা গঠন করা হয়েছিল। সিন্ধু স্থানীয় সরকার আইন ২০১৩ কার্যকর করার পরে করাচির পাঁচটি জেলা পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল এবং কোরঙ্গি নামে একটি নতুন জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; তদুপরি, শহরগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য উপ-বিভাগ গঠন করা হয়েছিল। গুলশান শহরটি মহকুমা গুলশানের সাথে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল এবং গুলশান শহরের কিছু অংশ মহকুমা জামশেদ ও মহকুমার গুলজার-ই-হিজরির অংশ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের আদমশুমারিতে গুলশানের মহকুমার জনসংখ্যা গণনা করা হয়েছিল।
বিনোদন
[সম্পাদনা]গুলশান শহরটি মূল করাচি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এবং সেই সাথে করাচির সিটি জেলা সরকার এবং সিন্ধু প্রদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কয়েকটি বড় বড় উদ্যানও রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে আজিজ ভাট্টি পার্ক, আসকারি পার্ক, আলাদিন পার্ক এবং সাফারি পার্ক উল্লেখযোগ্য।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]গুলশান-ই-ইকবালকে এক ডজনেরও বেশি উচ্চশিক্ষার সুযোগবিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, ফলে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর বলা যেতে পারে। কয়েকটি বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিম্নরূপ:
- করাচি বিশ্ববিদ্যালয়
- এনইডি-ইউইটি করচি
- আইবিএ করচি
- এসএসইউইটি
- ফেডারেল উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়
- উসমান বিশ্ববিদ্যালয়
- আঘা খান বিশ্ববিদ্যালয়
- লিয়াকত জাতীয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
- সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়
- করাচি স্কুল অফ আর্টস
- ইকরা বিশ্ববিদ্যালয়
- আইসিএমএপি
এবং এছাড়াও বেশ কয়েকটি রয়েছে।