খন্দকার আবদুল বাতেন
খন্দকার আবদুল বাতেন | |
---|---|
![]() | |
টাঙ্গাইল-৬ আসন আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮ – ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ | |
পূর্বসূরী | গৌতম চক্রবর্তী |
উত্তরসূরী | আহসানুল ইসলাম টিটু |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নাগরপুর, টাঙ্গাইল, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) | ১৭ মে ১৯৪৬
মৃত্যু | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ন্যাম ফ্ল্যাট, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা | (বয়স ৭২)
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
পেশা | মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ |
খন্দকার আবদুল বাতেন (জন্ম: ১৭ মে, ১৯৪৬ - মৃত্যু: ২১ জানুয়ারি, ২০১৯) ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ। তিনি টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে নবম ও দশম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]
আবদুল বাতেন ১৯৪৬ সালের ১৭ মে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার কোনড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম খন্দকার সিরাজুল ইসলাম ও মাতার নাম হাজেরা খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি সরকারী সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ[সম্পাদনা]
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে আবদুল বাতেন টাঙ্গােইলে তার নিজ নামে বাতেন বাহিনী নামে একটি গেরিলা বাহিনী গঠন করেন।[২] এ অঞ্চলে আবদুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন অপর বাহিনীটি ছিল কাদেরিয়া বাহিনী। বাতেন বাহিনী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, পাবনা ও ঢাকার কিছু এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেয়। ২১টি কোম্পানি অধীনে ৬৩টি প্লাটুন ও ১০০টি সেকশনে এ বাহিনী পরিচালিত হয়। বাহিনীর প্রধান হিসেবে আবদুল বাতেন বেশ কিছু গেরিলা আক্রমনের নেতৃত্ব দেন।[২]
১৯৭১ সালের ১৮ জুলাই বাতেন অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারত গমন করেন।[২] ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে আসেন। ৪ ফেব্রুয়ারি তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।[২]
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
আবদুল বাতেন ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যেমে রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ১৯৬৭-৬৮ মেয়াদে তিনি সরকারী সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) এবং ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।[৩] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে (জাসদ) যোগ দেন। পরবর্তীতে জাসদ গণবাহিনী গঠন করলে তিনি এর টাঙ্গাইল অঞ্চলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ১৯৮৬ সালে নাগরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯০-এর দশকে পুনরায় আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।[৩]
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪] ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।[৫] যদিও ১৯৯৬ সালে সপ্তম ও ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন।[৬]
মৃত্যু[সম্পাদনা]
২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭২ বছর বয়সে আবদুল বাতেন মৃত্যুবরণ করেন।[৩] ব্যক্তিগত জীবনে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।[৭]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "নির্বাচনী এলাকার নাম ও নম্বর ১৩৫ টাঙ্গাইল-৬"। জাতীয় সংসদ। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ "টাঙ্গাইলের বাতেন বাহিনী"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ ক খ গ "সাবেক সাংসদ আব্দুল বাতেনের ইন্তেকাল"। প্রথম আলো। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-২১।
- ↑ "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার।
- ↑ "খন্দকার আব্দুল বাতেন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "টাঙ্গাইলের বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন আর নেই"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯।