কুতুবখানায়ে ইস্কান্দারিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুতুবখানায়ে ইস্কান্দারিয়া
মূল সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকশিবলী নোমানী
মূল শিরোনামউর্দু: کتابخانه ی اسکندریه‎‎
দেশব্রিটিশ ভারত
ভাষাউর্দু
বিষয়আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাচীন গ্রন্থাগার
ধরনগবেষণা গ্রন্থ
প্রকাশিত১৮৯২
মিডিয়া ধরনশক্তমলাট
পৃষ্ঠাসংখ্যা৭৬
ওসিএলসি৩১৬১০১৩০৩

কুতুবখানায়ে ইস্কান্দারিয়া (উর্দু: کتابخانه ی اسکندریه‎‎) আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাচীন গ্রন্থাগার নিয়ে লিখিত শিবলী নোমানীর একটি গবেষণা গ্রন্থ।[১] তৎকালীন ইউরোপ জুড়ে একটি তথ্য ব্যাপকভাবে গৃহীত ছিল যে, মুসলমানরা অসভ্য ও মূর্খ জাতি। কারণ ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর আলেকজান্দ্রিয়া বিজয়ের সময় সেখানের প্রাচীন গ্রন্থাগারটি পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল। শিবলী এই গ্রন্থটি রচনার মাধ্যমে ইউরোপীয় পণ্ডিতদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। শিবলী এই গ্রন্থে প্রমাণ করেছেন গ্রন্থাগারের অর্ধেক একজন প্রাচীন মিশরীয় সম্রাট কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং জুলিয়াস সিজারের সময়কাল থেকে গ্রন্থাগারটি পুড়ে আসছিল। এটি ধ্বংসের পেছনে খলিফা উমরের কোনো হাত ছিল না। শিবলীর গ্রন্থটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছিল এবং অনেক ইউরোপীয় পণ্ডিত তাদের পূর্ববর্তী ধারণা ভুল স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন।[২] বইটির ইংরেজি অনুবাদ "An Enquiry into the destruction of the ancient Alexanderian library" যেটি ১৮৯৩ সালে প্রকাশিত হয়। শিবলী নোমানীকে প্রথম ব্যক্তি বিবেচনা করা হয় যিনি গবেষণার মাধ্যমে এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।[৩]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি[সম্পাদনা]

  1. ভাট, সামি উল্লাহ (২০১৯)। "দ্যা ইম্পর্ট্যানস অব ওয়ার্কস অব মুহাম্মদ শিবলী নোমানী"জার্নাল অব ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড হিউম্যানিটিজ (ইংরেজি ভাষায়)। (২): ১৭৬। আইএসএসএন 2527-838Xডিওআই:10.21580/jish.32.2921। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১ 
  2. ইসলাম, আরশাদ (২০০৫)। "আল্লামা শিবলী নোমান (১৮৫৭–১৯১৪) : একজন স্মৃতিসৌধিক ইসলামি পণ্ডিত" (পিডিএফ)পাকিস্তান জার্নাল অব হিস্টোরি এন্ড কালচার২৬ (১)। আইএসএসএন 1012-7682 
  3. মোশাররফ, মুহাম্মদ নাবিল (১ জানুয়ারি ২০১৬)। "আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাচীন গ্রন্থাগার কে পুড়িয়েছিল?"অস্ট্রেলিয়ান জার্নাল অফ হিউম্যানিটিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ গবেষণা: ২০। 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]