বিষয়বস্তুতে চলুন

কাসাসুন নাবিয়্যিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাসাসুন নাবিয়্যিন
আরবি সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকআবুল হাসান আলী হাসানী নদভী
মূল শিরোনামআরবি: قصص النبيين
দেশভারত
ভাষাআরবি
বিষয়নবীগণের জীবন কাহিনী
প্রকাশিত১৯৪৩ – ১৯৭৭
মিডিয়া ধরনশক্তমলাট
আইএসবিএন ৯৭৮১৮৭২৫৩১০৯০ ইংরেজি সংস্করণ
ওসিএলসি১৮৭২৫৩১০৯১
ওয়েবসাইটabulhasanalinadwi.org

কাসাসুন নাবিয়্যিন (আরবি: قصص النبيين) ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর নবীগণের জীবন কাহিনী নিয়ে আরবি ভাষায় লিখিত একটি শিশু-কিশোর সিরিজ গ্রন্থ।[] এটির মোট পাঁচ খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশের পর থেকে এটি সৌদি আরব সহ বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বইটি দামেশক আরবি একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিল।[] বইটির ভূমিকা লিখেছেন সাইয়েদ কুতুব। এ বইয়ের বৈশিষ্ট্য হলো, তা যুগপৎভাবে ভাষাও শেখায় আবার ধর্মীয় চেতনা ও আকিদা বিশ্বাসও তৈরী করে। লেখক বলেন, যদি তার কোনো কিতাব সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে বিস্মিতবোধ করেন এবং কণ্ঠে অনুযোগ ঝরিয়ে কথা বলেন, তাহলে সেটি হলো এটি-কাসাসুন নাবিয়্যিন

প্রেক্ষাপট

[সম্পাদনা]

দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামায় কামেল কিলানী'র হেকায়াতে উতফাল নামে একটি সিরিজ পড়ানো হতো। আরব বিশ্বেও সিরিজটি সমাদৃত ছিলো। নদভীর মতে সিরিজটি সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারায় লেখা হয়েছে। ধর্মের কোনো ছোঁয়া ও পরশ নেই। আগাগোড়া জীবজন্তুর ছবিতে ভরা। ১৯৪২ সালে নদভীর উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদিও সিরিজটি নিয়ে নিজের আপত্তি তুলে ধরেন এবং তা নদওয়ার ছাত্রদের জন্যে উপযোগী নয় বলে মতামত দেন। একারণেই নদভী ১৯৪৩ – ১৯৪৪ সালের দিকে কাসাসুন নাবিয়্যিন সিরিজ রচনা শুরু করেন। কিন্তু মুসার ঘটনার উপর রচিত তৃতীয় খণ্ডে এসে সিরিজটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালে তিনি পুনরায় লেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সালের অক্টোবরে এ সিরিজের সমাপ্তি হয়।[]

বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

বইটির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য:[]

  1. শব্দভাণ্ডার কম। কিন্তু পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে সীমিত সে শব্দগুলোকেই আত্মস্থ করানো হয়।
  2. লেখার ভাষা আরবি ভাষা, কুরআনের ভাষাও আরবি। কুরআনের আয়াতকে বইটির জায়গায় জায়গায় এমনভাবে জুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যেভাবে আংটির মধ্যে পাথর জুড়ে দেয়া হয়।
  3. গল্পের ছত্রে ইসলামি আকিদা বিশ্বাসের শিক্ষা রয়েছে।
  4. গল্প ও কাহিনী বলা হয়েছে সম্প্রসারিত ঢঙ্গে। এতে রয়েছে দিক নির্দেশনামূলক এমন উপকরণ, যা শিশুদের মনে জন্ম দেবে একদিকে কুফরি ও শিরকের প্রতি ঘৃণা, অপরদিকে ইমান ও তাওহিদের প্রতি এবং নবী রাসূলদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ।

মূল্যায়ন

[সম্পাদনা]

আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদি বলেন,[]

মাসউদ আলম নদভী ভূমিকায় বলেছেন,

কিতাবটির দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকায় সাইয়েদ কুতুব লিখেছেন,

প্রকাশনা

[সম্পাদনা]

প্রকাশের পর গ্রন্থটি সৌদি আরবের অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং ভারত, পাকিস্তানের অনেক মাদ্রাসায়ও আরবি সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম খণ্ডটি প্রকাশিত হয় মুআসসাসাতুর রিসালাহ, বৈরুত থেকে। লেখকের আরেক গ্রন্থ নবীয়ে রহমত–এর ভিত্তি ছিলো ‘কাসাসুন নাবিয়্যিন’-এর পঞ্চম ও শেষ খণ্ডটি।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি

[সম্পাদনা]
  1. আহমেদ, আব্দুস সগির (২০১২)। Contribution Of Abul Hasan Ali Nadwi To The Development Of Arabic Childrens Literature A Study [আরবি শিশু সাহিত্যের বিকাশে আবুল হাসান আলী নদভীর অবদান একটি অধ্যয়ন] (গবেষণাপত্র)। ভারত: আরবি বিভাগ, গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৯২–২০৩। hdl:10603/382062 
  2. মিনহাজ উদ্দিন, মুহাম্মদ (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চিন্তানায়ক ও আধ্যাত্মিক রাহবার: সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.)"ঢাকা পোস্ট 
  3. নদভী, আবুল হাসান আলী (২০১৫)। কারওয়ানে যিন্দেগী। বাংলাবাজার, ঢাকা: মুহাম্মদ ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা ২১১–২১৫। আইএসবিএন 978-984-91840-1-0 

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]