এ এম সহায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আনন্দমোহন সহায়
জন্ম(১৮৯৭-০৯-১০)১০ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭
পুরানী সরাই, নাথনগর ভাগলপুর বিহার
মৃত্যু১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১(1991-02-13) (বয়স ৯২)
পুরানী সরাই, নাথনগর ভাগলপুর বিহার
প্রতিষ্ঠানআজাদ হিন্দ ফৌজ
পরিচিতির কারণসামরিক সচিব
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
দাম্পত্য সঙ্গীসতী সেন (বি.১৯২৭)
সন্তান লেফটেন্যান্ট ভারতী আশা সহায় চৌধুরী (কন্যা)
রিজিয়া সেন (কন্যা)

আনন্দমোহন সহায় (১০ সেপ্টেম্বর ১৮৯৮ - ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১) ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের একজন কর্মী, যিনি পরবর্তীকালে ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর সামরিক সচিব হন। তিনি সুভাষ চন্দ্র বসুর একজন রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং আজাদ হিন্দ সরকারের মন্ত্রীর পর্যায়ের সচিব ছিলেন। [১]

জীবনী[সম্পাদনা]

আনন্দমোহন সহায়ের জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১০ সেপ্টেম্বর বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধুনা বিহার রাজ্যের ভাগলপুর জেলার নাথনগরের পুরানী সরায় গ্রামে।[২] পিতা লালমোহন সহায়। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে টিএনজে কলেজিয়েট হাইস্কুলে ছাত্রাবস্থায় তার উচ্চারিত বন্দে মাতরম্ ধ্বনির জন্য ইংরেজ শিক্ষক তাকে দণ্ড দেন। স্কুলের শিক্ষা শেষেই তিনি ঢাকার অনুশীলন সমিতির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশ নিতে শুরু করেন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে মহাত্মা গান্ধীর পাটনা সফরের সময় তিনি ডাক্তারি পড়া ছেড়ে দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে যান। ১৯২১ হতে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন। [২] ইতিমধ্যে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে গয়াতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র বসুর ও চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গে পরিচিত হন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে চিত্তরঞ্জন দাশের বোনঝি ( ঊর্মিলা দেবীর কন্যা) সতী সেনকে বিবাহ করেন এবং সস্ত্রীক দেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করতে জাপান রওয়ানা হন। রাসবিহারী বসুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হন। জাপানের কৌবেতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শাখা চালু করেন। "ভয়েস অফ ইন্ডিয়া" নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশসহ 'ইন্দো-জাপানিজ স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন', 'ইন্দো-বোদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশন', ওরিয়েন্টাল কালচারাল লিগ' ইত্যাদি সংগঠন গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে তার প্রথম কন্যা ভারতী আশা সহায় চৌধুরী, ভাই সত্যদেব সহায় এবং নিজে সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ তথা আজাদ হিন্দ সরকারের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি আজাদ হিন্দ সরকারের মন্ত্রীর পর্যায়ের সচিব ছিলেন। [৩] ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি থাইল্যান্ডে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন। [৪] তার কন্যা লেফটেন্যান্ট ভারতী আশা সহায় চৌধুরী ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনীর রাণী ঝাঁসি রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন। [৫] আর এক কন্যা রিজিয়া সেন ছিলেন বিজয়া তিলকের মাতা।

মন্তব্য[সম্পাদনা]

  1. Provisional govt. of India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত আগস্ট ১৯, ২০০৬ তারিখে
  2. "बिसराए जा रहे आजाद हिन्द फौज के सेनानी आनंद मोहन सहाय की स्मृतियां, जीर्णोद्धार के लिए शिक्षा तक लगाई गुहार (ইংরাজীতে)"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২৫ 
  3. Provisional govt. of India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত আগস্ট ১৯, ২০০৬ তারিখে
  4. "Archived copy"। ২০১২-১১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০৩ 
  5. "Lt. Bharati Asha Sahay Choudhry"Unsung Heroes Detail - Azadi Ka Amrit Mahotsav (75th Anniversary of Indian Independence)। Government of India, Ministry of Culture। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২২ 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]