বিষয়বস্তুতে চলুন

এ.এফ.এম. রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এ.এফ.এম. রেজাউল করিম সিদ্দিকী

এ.এফ.এম. রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ শনিবার সকাল ৭ টা ৪০ মিনিট সময়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার পথে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে রাজশাহী শহরের শালবাগান বটতলা এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় করিম সিদ্দিকীকে আততায়ীরা চাপাতির আঘাতে হত্যা করে।[][]

পরিচয়

[সম্পাদনা]

এ.এফ.এম. রেজাউল করিম সিদ্দিকী ১৯৫৫ সালের ৭ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবুল কাশেম প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ছিলেন। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৬৯ সালে মাধ্যমিক এবং রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। তিনি কর্মজীবন শুরু করেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হিসাবে। দেড় বছর সেখানে শিক্ষকতা করার পর যোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হিসাবে। একই বিভাগে তিনি ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

বিচার

[সম্পাদনা]

রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২০১৬ সালের নভেম্বরে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) জেএমবির আট জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়। দোষী সাব্যস্ত পাঁচ জনের মধ্যে শরীফুল ইসলাম এই মামলার প্রধান আসামী। চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, শরিফুল নিজেই হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশের তথ্যানুযায়ী আটজনের মধ্যে তিনজন পুলিশের অভিযান ও বন্দুক যুদ্ধে মারা যায়। ২০১৮ সালের মে মাসে আদালত সিদ্দিকী হত্যা মামলায় ২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনকে যাবজ্জীবন দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন; রাবির ইংরেজি বিভাগের ছাত্র শরিফুল ইসলাম ও রাজশাহী পলিটেকনিকের ছাত্র মাশকাওয়াত হাসান সাকিব ওরফে আব্দুল্লাহ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রহমতউল্লাহ, আব্দুস সাত্তার ও রিপন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শস্য বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। এরা প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য ছিলেন। মৃত্যদন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামী শরীফুল রায় দেয়ার সময় পর্যন্ত পলাতক ছিলেন।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষদের উপর আক্রমণ

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]