বিষয়বস্তুতে চলুন

এলিমিনেশন চেম্বার (২০১৫)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এলিমিনেশন চেম্বার
বিবরণ
সংস্থাডাব্লিউডাব্লিউই
ব্র্যান্ড
স্ম্যাকডাউন
তারিখ৩১ মে ২০১৫ (2015-05-31)
মাঠআমেরিকান ব্যাংক সেন্টার
শহরকর্পাস ক্রিস্টি, টেক্সাস
দর্শক সংখ্যা৭,০০০[]
ডাব্লিউডাব্লিউই নেটওয়ার্কের অনুষ্ঠানের কালানুক্রমিক
এনএক্সটি টেকওভার: আনস্টপেবল মানি ইন দ্য ব্যাংক
এলিমিনেশন চেম্বার-এর কালানুক্রমিক
২০১৪ ২০১৭

এলিমিনেশন চেম্বার (এছাড়াও জার্মানিতে নো ওয়ে আউট নামে পরিচিত[][নোট ১]) একটি পেশাদার কুস্তি প্রতি-দর্শনে-পরিশোধ (পিপিভি) এবং ডাব্লিউডাব্লিউই নেটওয়ার্কের অনুষ্ঠান ছিল, যা ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডাব্লিউডাব্লিউই) তাদের ব্র্যান্ড এবং স্ম্যাকডাউনের জন্য প্রযোজনা করেছে।[] এটি এলিমিনেশন চেম্বার কালানুক্রমিকের অধীনে প্রচারিত ষষ্ঠ অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানটি ২০১৫ সালের ৩১শে মে তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের কর্পাস ক্রিস্টির আমেরিকান ব্যাংক সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রাক-প্রদর্শনে একটিসহ মূল অনুষ্ঠান মিলিয়ে সর্বমোট সাতটি ম্যাচ এই অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের সর্বশেষ ম্যাচে ডিন অ্যামব্রোজ ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে সেথ রলিন্সকে পরাজিত করেছে। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় ম্যাচে, রাইব্যাক ডাব্লিউডাব্লিউই আন্তঃমহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আয়োজিত এলিমিনেশন চেম্বার ম্যাচে শেইমাস, ডলফ জিগলার, মার্ক হেনরি, আর-ট্রুথকিং বেরেটকে এবং একক ম্যাচে কেভিন ওয়েন্স জন সিনাকে পিনফলের মাধ্যমে পরাজিত করেছে।

কাহিনী

[সম্পাদনা]

এই অনুষ্ঠানে পূর্ব নির্ধারিত কাহিনীর ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেখানে কুস্তিগিরগণ পূর্ব নির্ধারিত কাহিনী অনুযায়ী অনুষ্ঠানগুলোতে নায়ক, খলনায়ক অথবা পার্থক্যহীন চরিত্র ধারণ করেছেন যা এক বা একাধিক ম্যাচে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এই ম্যাচগুলোর ফলাফল এবং স্ম্যাকডাউন ব্র্যান্ডে নিযুক্ত ডাব্লিউডাব্লিউইয়ের লেখকদের দ্বারা পূর্বনির্ধারিত ছিল,[][] যার ধারাবাহিক কাহিনী ডাব্লিউডাব্লিউইয়ের সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং স্ম্যাকডাউনে প্রদর্শন করা হয়েছে।[]

পটভূমি

[সম্পাদনা]

এলিমিনেশন চেম্বার হলো ডাব্লিউডাব্লিউই দ্বারা আয়োজিত একটি বার্ষিক সরাসরি অনুষ্ঠান, যা সাধারণত প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৯ সালের শেষের দিকে, ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডাব্লিউডাব্লিউই) তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটে একটি জরিপ পরিচালনা করে; যেখানে ভক্তরা ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রতি-দর্শনে-পরিশোধের (পিপিভি) জন্য একটি নামটি নির্ধারণ করার সুযোগ পায়। পছন্দগুলোর মধ্যে ছিল: এলিমিনেশন চেম্বার, হেভি মেটাল, ব্যাটেল চেম্বার, চেম্বার অব কনফ্লিক্ট এবং নো ওয়ে আউট (যা পূর্ববর্তী এলিমিনেশন চেম্বার-ভিত্তিক অনুষ্ঠানের নাম ছিল)।[] উক্ত জরিপে এলিমিনেশন চেম্বার নামটি জয়লাভ করেছিল, তবে অনুষ্ঠানটি বর্তমানেও জার্মানিতে "নো ওয়ে আউট" হিসেবে প্রচারিত হয়, কেননা এটি আশঙ্কা করা হয়েছিল যে "এলিমিনেশন চেম্বার" নামটি মানুষকে ইহুদি গণহত্যার সময় ব্যবহৃত গ্যাস চেম্বারগুলোর কথা মনে করিয়ে দিতে পারে।[][১০] শুধুমাত্র ২০১১ সালের জন্য, জার্মান সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এটির নামকরণ "নো এস্কেপ" করা হয়েছিল।[১১]

এই অনুষ্ঠানের ধারণাটি হচ্ছে প্রতিটি অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হবে এলিমিনেশন চেম্বারে মধ্যকার আয়োজিত ম্যাচ। এলিমিনেশন চেম্বার ম্যাচটি মূলত ২০০২ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং পূর্ববর্তী নো ওয়ে আউট অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রতি-দর্শনে-পরিশোধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই চেম্বারটি হচ্ছে ইস্পাতের এক বৃত্তাকার খাঁচা, যা আংটিটিকে ঘিরে চেইন এবং গার্ডার নিয়ে গঠিত। চেম্বারের মধ্যে চারটি পড সংযুক্ত রয়েছে, প্রতিটি রিং পোস্টের পিছনে একটি, যা রিংটির বাইরের চারপাশে একটি ইস্পাত প্ল্যাটফর্মে রয়েছে। সাধারণত ছয়জন কুস্তিগির এই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে; দুইজন কুস্তিগির ম্যাচ শুরু করে এবং বাকিরা চারটি পডের মধ্যে আবদ্ধ থাকে এবং নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এলোমেলোভাবে ম্যাচে প্রবেশ করে। কুস্তিগিরদের কেবল পিনফল অথবা সাবমিশনের মাধ্যমে নির্মূল করা যেতে পারে এবং সর্বশেষ কুস্তিগির বিজয়ী হন।

২০১৫ সালের এই অনুষ্ঠানটি এলিমিনেশন চেম্বার কালানুক্রমিকের ষষ্ঠ অনুষ্ঠান ছিল, যা ৩১শে জানুয়ারি তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের কর্পাস ক্রিস্টির আমেরিকান ব্যাংক সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি ঐতিহ্যগতভাবে প্রতি-দর্শনে-পরিশোধে সম্প্রচার করার পাশাপাশি, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধারাবাহিক সম্প্রচার পরিষেবা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ডাব্লিউডাব্লিউই নেটওয়ার্কে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

  1. জার্মানির পক্ষে আশঙ্কা ছিল যে "এলিমিনেশন চেম্বার" নামটি ইহুদি গণহত্যার সময় ব্যবহৃত গ্যাস চেম্বারের কথা লোকদের মনে করিয়ে দিতে পারে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. https://www.wrestleview.com/wwe-news/54705-wwe-attendance-5-29-6-1-elimination-chamber-tv-tapings/
  2. "WWE No Escape"WWE (জার্মান ভাষায়)। ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৩০, ২০১৮ 
  3. Hoffmann, Martin (ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮)। "Darum hat eine WWE-Show zwei Namen" [This is why a WWE show has two names]। Sport1 (জার্মান ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮ 
  4. https://pwtorch.com/artman2/publish/WWE_News_3/article_84934.shtml
  5. গ্রাবিয়ানোভস্কি, এড (১৩ জানুয়ারি ২০০৬)। "How Pro Wrestling Works" [পেশাদার কুস্তি কিভাবে কাজ করে]। HowStuffWorks (ইংরেজি ভাষায়)। ডিসকভারি ইনকো.। ১৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১২ 
  6. "Live & Televised Entertainment" [সরাসরি এবং টেলিভিশন বিনোদন]। webcitation (ইংরেজি ভাষায়)। ডাব্লিউডাব্লিউই। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১২ 
  7. স্টেইনবার্গ, ব্রায়ান (২৫ মে ২০১৬)। "WWE's 'Smackdown' Will Move To Live Broadcast On USA (EXCLUSIVE)" [ডাব্লিউডাব্লিউইয়ের 'স্ম্যাকডাউন' ইউএসএতে সরাসরি সম্প্রচার হবে (এক্সক্লুসিভ)]। Variety (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬ 
  8. Martin, Adam (সেপ্টেম্বর ২৪, ২০০৯)। "WWE to rename No Way Out PPV?"। WrestleView। সেপ্টেম্বর ২০, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২০, ২০০৯ 
  9. "No Way Out (Elimination Chamber) 2010 DVD"Silver Vision। জুন ২০, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২০, ২০১০ 
  10. Gerweck, Steve (ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১০)। "Elimination Chamber, Y2J, Cena, more"। WrestleView। জুন ২৯, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১০ 
  11. "WWE Germany"World Wrestling Entertainment। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২, ২০১১ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]